ড্র ম্যাচে দ্রগবার জয়
মনের দিক দিয়ে দুজনই খুব শক্ত। প্রতিজ্ঞায় অবিচল থাকার প্রমাণ অনেক দিয়েছেন তাঁরা। তবে পরশু একজন প্রতিজ্ঞা রাখতে পারলেও আরেকজন পারেননি। প্রয়োজনে ভাঙা হাত নিয়ে পর্তুগালের বিপক্ষে আইভরিকোস্টের প্রথম ম্যাচে খেলার কথা বলেছিলেন দিদিয়ের দ্রগবা, তিনি খেলেছেন। গোল কবে আসবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এত দিন বলে আসছিলেন—‘সব বিশ্বকাপের জন্য জমিয়ে রেখেছি।’ পরশু আইভরিকোস্টের বিপক্ষে অন্তত তাঁর সেই জমিয়ে রাখা গোলের দেখা মেলেনি।
রোনালদো গোল পাননি। ভাঙা হাত নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পাননি দ্রগবাও। ‘মৃত্যুকূপ’ গ্রুপে পর্তুগাল-আইভরিকোস্টের প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র। এর পরও এই ম্যাচের পর একটা প্রশ্ন চারদিকে ঘুরছে—রোনালদো-দ্রগবার দ্বৈরথে জয় হলো কার? ম্যাচ যখন ড্র, এই দুই তারকার দ্বৈরথকেও ড্র বলে দিতে পারেন অনায়াসে।
একটা কিন্তু তবু থেকে যায়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দল পর্তুগাল, আর আইভরিকোস্টের র্যাঙ্কিং ৩১। এর ওপর আবার আইভরিয়ানদের সবচেয়ে বড় তারকা দ্রগবা পুরো ম্যাচে খেলেননি। এই বিবেচনায় আইভরিকোস্টের সঙ্গে পর্তুগালের ড্রটা একটু বেমানানই। দ্রগবা তো পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করাটাকেই দেখছেন এক প্রকার জয়, ‘বিশ্বের তিন নম্বর দলের সঙ্গে ড্র। এটা দারুণ। আমরা গর্ব করতে পারি। আমাদের তৃপ্ত হওয়া উচিত। কারণ বিশ্বকাপে আমাদের ইতিহাসটা সংক্ষিপ্তই।’
দ্রগবার তৃপ্তির পাশে রোনালদোর অতৃপ্তি ছিল স্পষ্টই। ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর চেহারায় ফুটে উঠেছে বিরক্তি। কারণটা জানাই—ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন, সেটা হয়নি। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এটা জানা গেল রোনালদোর কাছ থেকেও, ‘ম্যাচ-সেরা হওয়ার চেয়ে তিনটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেই ভালো লাগত আমার।’
তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলে যেটা করতে হতো সেটা পর্তুগাল করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে স্পষ্ট গোলের সুযোগ তারা তৈরি করতে পেরেছে মাত্র একটি। প্রথমার্ধে সেই সুযোগ এসেছিল রোনালদোর হাত ধরেই। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় কামান গতির শট নিয়েছিলেন গোলে। কিন্তু ভাগ্যও যেন সঙ্গে ছিল না রোনালদোদের। আইভরিকোস্টের গোলরক্ষক পরাস্ত হলেও রোনালদোর সেই শট ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে। জিততে না পারার পেছনে রোনালদোও দুর্ভাগ্যের কথাই বললেন, ‘আমরা ভালোই খেলেছি। এর পরও জিততে পারিনি, কারণ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না।’
কোচ কার্লোস কুইরোজ অবশ্য ভাগ্য-টাগ্যর কথা বলেননি। আইভরিকোস্টের অতি রক্ষণাত্মক মানসিকতার সমালোচনা করেছেন তিনি, ‘একটি মাত্র দল জিততে চেয়েছে এই ম্যাচে। আক্রমণও করতে চেয়েছে একটি দলই। কিন্তু আমাদের সামনে ১১ জন খেলোয়াড় ছিল বলে সেটাও অসম্ভব ছিল।’ রোনালদোও কণ্ঠ মিলিয়েছেন কোচের কণ্ঠে, ‘আমরা জানতাম আইভরিকোস্ট বেশি আক্রমণ করবে না এবং ডিফেন্সেই বেশি থাকবে। ওরা আসলে প্রথমার্ধে আমাদের ভয় পেয়েছিল।’
অনেকের ধারণা, এখন পর্তুগালেরও দ্বিতীয় রাউন্ডে না যেতে পারার ভয় আছে। আর ম্যাচের আগে রোনালদো নিজেই তো বলেছিলেন, আইভরিকোস্টের বিপক্ষে ম্যাচটি তাঁদের ‘ফাইনাল’। সেই ‘ফাইনাল’ ম্যাচের বাধা পেরোতে না পারলেও রোনালদো সবকিছুর শেষ এখানেই দেখছেন না। পর্তুগালকে দ্বিতীয় রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা তাঁর।
রোনালদো গোল পাননি। ভাঙা হাত নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পাননি দ্রগবাও। ‘মৃত্যুকূপ’ গ্রুপে পর্তুগাল-আইভরিকোস্টের প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র। এর পরও এই ম্যাচের পর একটা প্রশ্ন চারদিকে ঘুরছে—রোনালদো-দ্রগবার দ্বৈরথে জয় হলো কার? ম্যাচ যখন ড্র, এই দুই তারকার দ্বৈরথকেও ড্র বলে দিতে পারেন অনায়াসে।
একটা কিন্তু তবু থেকে যায়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দল পর্তুগাল, আর আইভরিকোস্টের র্যাঙ্কিং ৩১। এর ওপর আবার আইভরিয়ানদের সবচেয়ে বড় তারকা দ্রগবা পুরো ম্যাচে খেলেননি। এই বিবেচনায় আইভরিকোস্টের সঙ্গে পর্তুগালের ড্রটা একটু বেমানানই। দ্রগবা তো পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করাটাকেই দেখছেন এক প্রকার জয়, ‘বিশ্বের তিন নম্বর দলের সঙ্গে ড্র। এটা দারুণ। আমরা গর্ব করতে পারি। আমাদের তৃপ্ত হওয়া উচিত। কারণ বিশ্বকাপে আমাদের ইতিহাসটা সংক্ষিপ্তই।’
দ্রগবার তৃপ্তির পাশে রোনালদোর অতৃপ্তি ছিল স্পষ্টই। ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর চেহারায় ফুটে উঠেছে বিরক্তি। কারণটা জানাই—ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন, সেটা হয়নি। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এটা জানা গেল রোনালদোর কাছ থেকেও, ‘ম্যাচ-সেরা হওয়ার চেয়ে তিনটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেই ভালো লাগত আমার।’
তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলে যেটা করতে হতো সেটা পর্তুগাল করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে স্পষ্ট গোলের সুযোগ তারা তৈরি করতে পেরেছে মাত্র একটি। প্রথমার্ধে সেই সুযোগ এসেছিল রোনালদোর হাত ধরেই। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় কামান গতির শট নিয়েছিলেন গোলে। কিন্তু ভাগ্যও যেন সঙ্গে ছিল না রোনালদোদের। আইভরিকোস্টের গোলরক্ষক পরাস্ত হলেও রোনালদোর সেই শট ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে। জিততে না পারার পেছনে রোনালদোও দুর্ভাগ্যের কথাই বললেন, ‘আমরা ভালোই খেলেছি। এর পরও জিততে পারিনি, কারণ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না।’
কোচ কার্লোস কুইরোজ অবশ্য ভাগ্য-টাগ্যর কথা বলেননি। আইভরিকোস্টের অতি রক্ষণাত্মক মানসিকতার সমালোচনা করেছেন তিনি, ‘একটি মাত্র দল জিততে চেয়েছে এই ম্যাচে। আক্রমণও করতে চেয়েছে একটি দলই। কিন্তু আমাদের সামনে ১১ জন খেলোয়াড় ছিল বলে সেটাও অসম্ভব ছিল।’ রোনালদোও কণ্ঠ মিলিয়েছেন কোচের কণ্ঠে, ‘আমরা জানতাম আইভরিকোস্ট বেশি আক্রমণ করবে না এবং ডিফেন্সেই বেশি থাকবে। ওরা আসলে প্রথমার্ধে আমাদের ভয় পেয়েছিল।’
অনেকের ধারণা, এখন পর্তুগালেরও দ্বিতীয় রাউন্ডে না যেতে পারার ভয় আছে। আর ম্যাচের আগে রোনালদো নিজেই তো বলেছিলেন, আইভরিকোস্টের বিপক্ষে ম্যাচটি তাঁদের ‘ফাইনাল’। সেই ‘ফাইনাল’ ম্যাচের বাধা পেরোতে না পারলেও রোনালদো সবকিছুর শেষ এখানেই দেখছেন না। পর্তুগালকে দ্বিতীয় রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা তাঁর।
No comments