বার্সার বাধা প্রকৃতি আর ইন্টার
আরেকটি শিরোপা থেকে বার্সেলোনার দূরত্ব মাত্র তিনটি ম্যাচ। সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচ আর ফাইনাল। কিন্তু সেমিফাইনালের প্রথম লেগটাই এখন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য যোজন যোজন দূরের পথ।
বিষয়টা মানচিত্রের বাস্তবতার সঙ্গেই মিলে গেছে। ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের সঙ্গে ভ্রমণক্লান্তি মিলিয়ে দেখুন চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগটা বার্সেলোনার জন্য কী কঠিন এক বাধা। তিনটি দেশ পেরিয়ে এই দূরপথ বার্সেলোনা পাড়ি দিয়েছে বাসে। বিমানে উঠে এই দূরত্ব তারা কয়েক ঘণ্টায় পাড়ি দিতে পারেনি শূন্যে। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতি। আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত আকাশে কালো মেঘ ছড়িয়ে দেওয়ায় গোটা ইউরোপের বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ঘরে ফেরা পর্যটকদের চাপে ট্রেনে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। বাধ্য হয়েই ইন্টার মিলানের মাঠে ম্যাচ খেলার জন্য বার্সেলোনাকে বেছে নিতে হয়েছে দুই দিনের বাসযাত্রা। আজ যদি সান সিরোতে ইন্টার মিলান বিজয়ের হাসি হাসে, তাহলে তারা প্রকৃতিকেও নতমস্তকে জানাতে পারে অভিবাদন। মাঠের লড়াইয়ের আগে বার্সেলোনাকে তো প্রকৃতির বিরুদ্ধেও লড়তে হলো এক প্রস্থ!
তবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর শাণিয়ে বসে নেই বার্সেলোনা। তারা সব কষ্ট জয় করে ম্যাচ জিতেই হাসতে চায় সাফল্যের হাসি। বার্সা স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ যেমন বলেছেন, ‘মিলানে আসার এই ঝক্কি আমাদের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলেছে সেটি দেখব পরে, তবে আমাদের দলটি সত্যিই এই লড়াইটার জন্য প্রস্তুত। কেনই-বা তা না হবে? এটি একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল।’ এই মৌসুমেই মিলান ছেড়ে বার্সেলোনার হওয়া এই সুইডিশ স্ট্রাইকার এই কথা বলেছেন রোববার রাতে দক্ষিণ ফ্রান্সের কানে পৌঁছে। বার্সেলোনা থেকে কানের দূরত্ব ৬৩৪ কিলোমিটার। আর কানে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে সকালে আবার যাত্রা শুরু করে আরও ৩৫১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাল সন্ধ্যায় তাদের মিলানে অনুশীলন করার কথা। রোববার স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় বার্সেলোনার যাত্রা শুরু হয়েছে এই ম্যাচটির জন্য, যেটির শেষ দুই দিন পর রাত পৌনে নয়টায়! কষ্টকর এই ভ্রমণটাকে মনের মধ্যে একেবারেই ঠাঁই দিতে নারাজ বার্সেলোনার মাঝমাঠের সেনাপতি জাভি, ‘এসব একেবারে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দিকেই মনোযোগ দিতে হবে আমাদের। আরেকটি ফাইনালে ওঠার সুযোগ এখন আমাদের সামনে এবং আমরা তা ছুড়ে ফেলে দিতে চাই না।’
‘সুযোগ ছুড়ে ফেলানো’ কথাটার মধ্যে একটা অহংবোধ লুকিয়ে থাকে! ইন্টার চার বছর ধরে ইতালির সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন, মাত্রই বছর দশক আগেও সিরি ‘আ’র গায়ে থাকত ইউরোপের সেরা লিগের তকমা। এবার রোমার চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও টানা পঞ্চম স্কুডেট্টো জয়ের সম্ভাবনা আছেই। শুধু স্কুডেট্টো কেন, গতবার এই বার্সেলোনা যেমন ট্রেবল জিতে ইতিহাস গড়েছে, এবার তারাও তা জিততে পারে। কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠেছে মরিনহোর দল, সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগটাও তো হাতছানি দেয় শিরোপাত্রয়ী জয়ের। এমন দলের বিপক্ষে সুযোগ ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কথার মধ্যে একটু আত্মম্ভরিতা আপনি দেখতেই পারেন। কিন্তু ঘটনা হলো এই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বেই এবার ইন্টারের বাধা টপকে বার্সেলোনা সেমিফাইনালে। প্রথম লেগে সান সিরো থেকে গোলশূন্য ড্র নিয়ে ফিরলেও নিজেদের মাঠে ইন্টারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বার্সেলোনা অনবদ্য ফুটবল খেলে।
এই বার্সেলোনা যতই দুঃসহ এক ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে মাঠে নামুক, তাদের বিপক্ষে পেরে ওঠা সহজ কথা নয়। এটা ভালো জানেন স্যামুয়েল ইতো, এ মৌসুমেই যে স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে অদলবদল করে চলে এসেছেন ইন্টার মিলানে। ‘বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে হলে কীভাবে প্রস্তুত হতে হবে আপনাকে? ঠান্ডা মাথায়। ম্যাচ শুরুর আগেই আমাদের মাথাটা খাটাতে হবে, কারণ এই ধরনের খেলা পায়ের চেয়ে মস্তিষ্ক দিয়েই খেলতে হয় বেশি’—বলেছেন ইন্টারের ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন, ইতো এবার ইন্টারের জার্সি গায়েও ইতিহাস গড়তে চান, ‘ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন বুনছি আমরা। বার্সেলোনা এই মুহূর্তে শ্রেষ্ঠ দল। তবে প্রতিটি ম্যাচেরই নিজস্ব ইতিহাস থাকে এবং আমরা বার্সেলোনার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাই।’
ইতিহাসের হাতছানি ইন্টার দেখতেই পারে। তবে সেটি দূরেও মিলিয়ে যেতে পারে সহসাই যদি মেসি-জাভি-ইব্রাহিমোভিচদের বার্সেলোনা তাদের ছন্দে খেলতে পারেন!
বিষয়টা মানচিত্রের বাস্তবতার সঙ্গেই মিলে গেছে। ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের সঙ্গে ভ্রমণক্লান্তি মিলিয়ে দেখুন চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগটা বার্সেলোনার জন্য কী কঠিন এক বাধা। তিনটি দেশ পেরিয়ে এই দূরপথ বার্সেলোনা পাড়ি দিয়েছে বাসে। বিমানে উঠে এই দূরত্ব তারা কয়েক ঘণ্টায় পাড়ি দিতে পারেনি শূন্যে। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতি। আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত আকাশে কালো মেঘ ছড়িয়ে দেওয়ায় গোটা ইউরোপের বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ঘরে ফেরা পর্যটকদের চাপে ট্রেনে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। বাধ্য হয়েই ইন্টার মিলানের মাঠে ম্যাচ খেলার জন্য বার্সেলোনাকে বেছে নিতে হয়েছে দুই দিনের বাসযাত্রা। আজ যদি সান সিরোতে ইন্টার মিলান বিজয়ের হাসি হাসে, তাহলে তারা প্রকৃতিকেও নতমস্তকে জানাতে পারে অভিবাদন। মাঠের লড়াইয়ের আগে বার্সেলোনাকে তো প্রকৃতির বিরুদ্ধেও লড়তে হলো এক প্রস্থ!
তবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর শাণিয়ে বসে নেই বার্সেলোনা। তারা সব কষ্ট জয় করে ম্যাচ জিতেই হাসতে চায় সাফল্যের হাসি। বার্সা স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ যেমন বলেছেন, ‘মিলানে আসার এই ঝক্কি আমাদের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলেছে সেটি দেখব পরে, তবে আমাদের দলটি সত্যিই এই লড়াইটার জন্য প্রস্তুত। কেনই-বা তা না হবে? এটি একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল।’ এই মৌসুমেই মিলান ছেড়ে বার্সেলোনার হওয়া এই সুইডিশ স্ট্রাইকার এই কথা বলেছেন রোববার রাতে দক্ষিণ ফ্রান্সের কানে পৌঁছে। বার্সেলোনা থেকে কানের দূরত্ব ৬৩৪ কিলোমিটার। আর কানে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে সকালে আবার যাত্রা শুরু করে আরও ৩৫১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাল সন্ধ্যায় তাদের মিলানে অনুশীলন করার কথা। রোববার স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় বার্সেলোনার যাত্রা শুরু হয়েছে এই ম্যাচটির জন্য, যেটির শেষ দুই দিন পর রাত পৌনে নয়টায়! কষ্টকর এই ভ্রমণটাকে মনের মধ্যে একেবারেই ঠাঁই দিতে নারাজ বার্সেলোনার মাঝমাঠের সেনাপতি জাভি, ‘এসব একেবারে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দিকেই মনোযোগ দিতে হবে আমাদের। আরেকটি ফাইনালে ওঠার সুযোগ এখন আমাদের সামনে এবং আমরা তা ছুড়ে ফেলে দিতে চাই না।’
‘সুযোগ ছুড়ে ফেলানো’ কথাটার মধ্যে একটা অহংবোধ লুকিয়ে থাকে! ইন্টার চার বছর ধরে ইতালির সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন, মাত্রই বছর দশক আগেও সিরি ‘আ’র গায়ে থাকত ইউরোপের সেরা লিগের তকমা। এবার রোমার চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও টানা পঞ্চম স্কুডেট্টো জয়ের সম্ভাবনা আছেই। শুধু স্কুডেট্টো কেন, গতবার এই বার্সেলোনা যেমন ট্রেবল জিতে ইতিহাস গড়েছে, এবার তারাও তা জিততে পারে। কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠেছে মরিনহোর দল, সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগটাও তো হাতছানি দেয় শিরোপাত্রয়ী জয়ের। এমন দলের বিপক্ষে সুযোগ ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কথার মধ্যে একটু আত্মম্ভরিতা আপনি দেখতেই পারেন। কিন্তু ঘটনা হলো এই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বেই এবার ইন্টারের বাধা টপকে বার্সেলোনা সেমিফাইনালে। প্রথম লেগে সান সিরো থেকে গোলশূন্য ড্র নিয়ে ফিরলেও নিজেদের মাঠে ইন্টারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বার্সেলোনা অনবদ্য ফুটবল খেলে।
এই বার্সেলোনা যতই দুঃসহ এক ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে মাঠে নামুক, তাদের বিপক্ষে পেরে ওঠা সহজ কথা নয়। এটা ভালো জানেন স্যামুয়েল ইতো, এ মৌসুমেই যে স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে অদলবদল করে চলে এসেছেন ইন্টার মিলানে। ‘বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে হলে কীভাবে প্রস্তুত হতে হবে আপনাকে? ঠান্ডা মাথায়। ম্যাচ শুরুর আগেই আমাদের মাথাটা খাটাতে হবে, কারণ এই ধরনের খেলা পায়ের চেয়ে মস্তিষ্ক দিয়েই খেলতে হয় বেশি’—বলেছেন ইন্টারের ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন, ইতো এবার ইন্টারের জার্সি গায়েও ইতিহাস গড়তে চান, ‘ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন বুনছি আমরা। বার্সেলোনা এই মুহূর্তে শ্রেষ্ঠ দল। তবে প্রতিটি ম্যাচেরই নিজস্ব ইতিহাস থাকে এবং আমরা বার্সেলোনার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাই।’
ইতিহাসের হাতছানি ইন্টার দেখতেই পারে। তবে সেটি দূরেও মিলিয়ে যেতে পারে সহসাই যদি মেসি-জাভি-ইব্রাহিমোভিচদের বার্সেলোনা তাদের ছন্দে খেলতে পারেন!
No comments