আইপিএলের বলিমন্ত্রী
কূটনীতি থেকে রাজনীতির ময়দানে এসেও তরতর করে এগোচ্ছিলেন শশী থারুর। ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের টিকিটে সংসদ সদস্য হয়ে মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত পেয়েছিলেন। কিন্তু থারুর অবশেষে বুঝতে পারলেন, ক্রিকেট-রাজনীতিতে পাকা খেলোয়াড় হতে পারেননি। রাজনৈতিক চাপে ইনিংসের শুরুতেই তিনি ‘আউট’। আইপিএলের নতুন দুই দলের একটি কোচির মালিকানা নিয়ে গত কয়েক দিনের অব্যাহত বিতর্কে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মালিকানায় যাঁর অংশীদারি নিয়ে মূল বিতর্ক, থারুরের সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুনন্দা পুষ্কর ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁর অংশীদারি। তার পরও থারুর বাঁচাতে পারলেন না মন্ত্রিত্ব।
বিতর্কের সূত্রপাত গত ১১ এপ্রিল। আইপিএল কমিশনার লোলিত মোদি তাঁর টুইটার আপডেটে কোচি দলের শেয়ারধারীদের নাম প্রকাশ করেন। সেই সূত্রেই অভিযোগ ওঠে থারুর প্রভাব খাটিয়ে বান্ধবী সুনন্দা পুষ্করকে ‘ফ্রি ইক্যুইটি’ শেয়ার পাইয়ে দিয়েছেন, যার মূল্য ৭০ কোটি রুপি। শুধু তা-ই নয়, সুনন্দা নাকি উপলক্ষ মাত্র, শেয়ারের আসল মালিক থারুর নিজেই। কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক সুনন্দা থাকেন দুবাইয়ে। এমনও খবর আছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ৫৪ বছর বয়সী থারুর সুনন্দাকেই বিয়ে করতে চলেছেন।
অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন থারুর। মোদির সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগ্যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৪ এপ্রিল কোচির প্রধান নির্বাহী সত্যজিৎ গায়কোয়াড় অভিযোগ করেন, মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য মোদি নাকি তাঁদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছিলেন। কোনো প্রমাণ অবশ্য দেখাতে পারেননি তাঁরা। এই বিতর্কের রেশ ধরে আইপিএলের আর্থিক অনিয়মও প্রকাশ্যে চলে আসে। তৎপর হয়ে ওঠে আয়কর ও গোয়েন্দা বিভাগ।
এর পরই থারুরের বিরুদ্ধে তুরুপের তাস ছাড়েন মোদি। নিলামের আগে মোদিকে থারুরের করা এসএমএসগুলো আয়কর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা ও বিসিসিআই কর্তাদের দেখান। অসহায় হয়ে পড়েন থারুর। তাঁকে নিয়ে বিব্রত বোধ করে ক্ষমতাসীন দলও। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নির্দেশে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন থারুর। থারুর অবশ্য বলেছেন কোনো চাপে নয়, পদত্যাগ করেছেন স্বেচ্ছায়, ‘আমি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছি। আমি দলকে বিব্রত করতে চাই না। আমি চাইনি সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত হোক, এ জন্যই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
থারুর ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থায় যোগ দেন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে। ২০০৭ সালে অবশ্য জাতিসংঘের মহাসচিব পদে ভারতীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। ১১টির মতো বই লিখেছেন থারুর, পেয়েছেন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি বই, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল, ইন্ডিয়া: ফ্রম মিডনাইট টু দ্য মিলেনিয়াম।
এমন ঝা-চকচকে ব্যক্তিত্ব থারুরের বিরুদ্ধে আপাতত মোদিকেই জয়ী মনে হচ্ছে। আইসিসির সভায় যোগ দিতে এখন দুবাইয়ে থাকা মোদি সেখানেই কোচির নতুন চেয়ারম্যান হারশাদ মেহতার সঙ্গে দেখা করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। তার পরও মোদির স্বস্তিতে থাকার কারণ নেই। গোয়েন্দা ও আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর, তাদের পরবর্তী কার্যক্রমে কোনো ফাঁক না রাখতেই থারুরকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। আইপিএলের তহবিলে সন্ধান পাওয়া অনেক অবৈধ অর্থের তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও। সব মিলে আইপিএলের জন্য তারকাখ্যাতি পাওয়া মোদির জন্য কঠিন সময়ই অপেক্ষা করছে।
বিতর্কের সূত্রপাত গত ১১ এপ্রিল। আইপিএল কমিশনার লোলিত মোদি তাঁর টুইটার আপডেটে কোচি দলের শেয়ারধারীদের নাম প্রকাশ করেন। সেই সূত্রেই অভিযোগ ওঠে থারুর প্রভাব খাটিয়ে বান্ধবী সুনন্দা পুষ্করকে ‘ফ্রি ইক্যুইটি’ শেয়ার পাইয়ে দিয়েছেন, যার মূল্য ৭০ কোটি রুপি। শুধু তা-ই নয়, সুনন্দা নাকি উপলক্ষ মাত্র, শেয়ারের আসল মালিক থারুর নিজেই। কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক সুনন্দা থাকেন দুবাইয়ে। এমনও খবর আছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ৫৪ বছর বয়সী থারুর সুনন্দাকেই বিয়ে করতে চলেছেন।
অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন থারুর। মোদির সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগ্যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৪ এপ্রিল কোচির প্রধান নির্বাহী সত্যজিৎ গায়কোয়াড় অভিযোগ করেন, মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য মোদি নাকি তাঁদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছিলেন। কোনো প্রমাণ অবশ্য দেখাতে পারেননি তাঁরা। এই বিতর্কের রেশ ধরে আইপিএলের আর্থিক অনিয়মও প্রকাশ্যে চলে আসে। তৎপর হয়ে ওঠে আয়কর ও গোয়েন্দা বিভাগ।
এর পরই থারুরের বিরুদ্ধে তুরুপের তাস ছাড়েন মোদি। নিলামের আগে মোদিকে থারুরের করা এসএমএসগুলো আয়কর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা ও বিসিসিআই কর্তাদের দেখান। অসহায় হয়ে পড়েন থারুর। তাঁকে নিয়ে বিব্রত বোধ করে ক্ষমতাসীন দলও। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নির্দেশে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন থারুর। থারুর অবশ্য বলেছেন কোনো চাপে নয়, পদত্যাগ করেছেন স্বেচ্ছায়, ‘আমি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছি। আমি দলকে বিব্রত করতে চাই না। আমি চাইনি সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত হোক, এ জন্যই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
থারুর ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থায় যোগ দেন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে। ২০০৭ সালে অবশ্য জাতিসংঘের মহাসচিব পদে ভারতীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। ১১টির মতো বই লিখেছেন থারুর, পেয়েছেন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি বই, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল, ইন্ডিয়া: ফ্রম মিডনাইট টু দ্য মিলেনিয়াম।
এমন ঝা-চকচকে ব্যক্তিত্ব থারুরের বিরুদ্ধে আপাতত মোদিকেই জয়ী মনে হচ্ছে। আইসিসির সভায় যোগ দিতে এখন দুবাইয়ে থাকা মোদি সেখানেই কোচির নতুন চেয়ারম্যান হারশাদ মেহতার সঙ্গে দেখা করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। তার পরও মোদির স্বস্তিতে থাকার কারণ নেই। গোয়েন্দা ও আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর, তাদের পরবর্তী কার্যক্রমে কোনো ফাঁক না রাখতেই থারুরকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। আইপিএলের তহবিলে সন্ধান পাওয়া অনেক অবৈধ অর্থের তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও। সব মিলে আইপিএলের জন্য তারকাখ্যাতি পাওয়া মোদির জন্য কঠিন সময়ই অপেক্ষা করছে।
No comments