মানবাধিকার কমিশন -সরকারের আন্তরিকতার প্রমাণ চাই
২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রকাশিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কতগুলো অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছিল। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছিল, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার কমিশন গঠন ও ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে।’
নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ মাস পেরিয়ে গেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো আগের চেয়ে কমেছে, এমন কোনো পরিসংখ্যান কোনো সূত্রেই নেই। আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে। কিন্তু ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে। এই সম্পাদকীয় যখন লেখা হচ্ছে, সেদিনের সংবাদপত্রেও ছাপা হয়েছে ক্রসফায়ারে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর।
আসলে মানবাধিকারের বিষয়টি সরকারের কাছে যে গুরুত্বপূর্ণ, তার লক্ষণ স্পষ্ট নয়। বরং আইন পাসের নয় মাস পরও যখন দেখা যায়, মানবাধিকার কমিশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ, কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর কোনো উদ্যোগ নেই, তখন সরকারের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন জাগে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু তার প্রমাণ কোথায়? শুধু চেয়ারম্যান অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে মানবাধিকার কমিশন। বিধিমালা তৈরি করা হয়নি, তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি, অন্যান্য লোকবলও নেই। আইনানুযায়ী, চেয়ারম্যান ছাড়া অনধিক ছয়জন কমিশনারের পদ রয়েছে মানবাধিকার কমিশনে। নয় মাস আগে দুজন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন, তার পর থেকে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান-সর্বস্ব এক অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলছে। এ চলাকে চলা বলে না। প্রায় চার মাস আগে সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি বৈঠক করে কমিশনার পদে যোগ্য লোক খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়কে। আইন মন্ত্রণালয় কি যোগ্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না?
এ অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। প্রাথমিক একটি পদক্ষেপ হলো, মানবাধিকার কমিশনের জন্য একটি বিধিমালা। বিধি প্রণয়নে সরকার কমিশনকে কোনো সহযোগিতা করেনি, শেষে চেয়ারম্যান নিজেই বিধির খসড়া তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। গত বছরের আগস্ট থেকে সেটি পড়ে আছে আইন মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় সেটি এখনো চূড়ান্ত করেনি। এটা কি সরকারের আন্তরিকতার নমুনা? বিধিমালা ছাড়া কমিশন কোনো অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না; কমিশনের কোনো তদন্ত কর্মকর্তাও নেই, নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ পেলে তা তদন্তের জন্য সাহায্য নিতে হয় পুলিশ ও র্যাবের। কমিশনের চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতার অভাব আছে।
মানবাধিকার কমিশন একটি লোক-দেখানো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলবে—এটা কোনো কাজের কথা নয়। কমিশনকে পূর্ণাঙ্গভাবে গঠন করতে হবে। বিধিমালা চূড়ান্ত করতে হবে, ছয়জন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে, পর্যাপ্তসংখ্যক তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য লোকবল নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। মানবাধিকারের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের আন্তরিকতা মুখের কথায় নয়, কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হওয়ার বিষয়।
নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ মাস পেরিয়ে গেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো আগের চেয়ে কমেছে, এমন কোনো পরিসংখ্যান কোনো সূত্রেই নেই। আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে। কিন্তু ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে। এই সম্পাদকীয় যখন লেখা হচ্ছে, সেদিনের সংবাদপত্রেও ছাপা হয়েছে ক্রসফায়ারে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর।
আসলে মানবাধিকারের বিষয়টি সরকারের কাছে যে গুরুত্বপূর্ণ, তার লক্ষণ স্পষ্ট নয়। বরং আইন পাসের নয় মাস পরও যখন দেখা যায়, মানবাধিকার কমিশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ, কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর কোনো উদ্যোগ নেই, তখন সরকারের আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন জাগে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু তার প্রমাণ কোথায়? শুধু চেয়ারম্যান অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে মানবাধিকার কমিশন। বিধিমালা তৈরি করা হয়নি, তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি, অন্যান্য লোকবলও নেই। আইনানুযায়ী, চেয়ারম্যান ছাড়া অনধিক ছয়জন কমিশনারের পদ রয়েছে মানবাধিকার কমিশনে। নয় মাস আগে দুজন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন, তার পর থেকে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান-সর্বস্ব এক অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলছে। এ চলাকে চলা বলে না। প্রায় চার মাস আগে সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি বৈঠক করে কমিশনার পদে যোগ্য লোক খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়কে। আইন মন্ত্রণালয় কি যোগ্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না?
এ অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। প্রাথমিক একটি পদক্ষেপ হলো, মানবাধিকার কমিশনের জন্য একটি বিধিমালা। বিধি প্রণয়নে সরকার কমিশনকে কোনো সহযোগিতা করেনি, শেষে চেয়ারম্যান নিজেই বিধির খসড়া তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। গত বছরের আগস্ট থেকে সেটি পড়ে আছে আইন মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় সেটি এখনো চূড়ান্ত করেনি। এটা কি সরকারের আন্তরিকতার নমুনা? বিধিমালা ছাড়া কমিশন কোনো অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না; কমিশনের কোনো তদন্ত কর্মকর্তাও নেই, নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ পেলে তা তদন্তের জন্য সাহায্য নিতে হয় পুলিশ ও র্যাবের। কমিশনের চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতার অভাব আছে।
মানবাধিকার কমিশন একটি লোক-দেখানো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলবে—এটা কোনো কাজের কথা নয়। কমিশনকে পূর্ণাঙ্গভাবে গঠন করতে হবে। বিধিমালা চূড়ান্ত করতে হবে, ছয়জন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে, পর্যাপ্তসংখ্যক তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য লোকবল নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। মানবাধিকারের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের আন্তরিকতা মুখের কথায় নয়, কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হওয়ার বিষয়।
No comments