নারী কাউন্সিলরের মামলা -ব্যক্তির খেয়াল-খুশিমতো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি টানা দুবার বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধির জনপ্রিয়তা যে মাঝেমধ্যে জন-অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সম্প্রতি মেয়রের কাজকর্মে সেটাই প্রতিভাত হচ্ছে। একজন নারী কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। দলীয় সদস্যপদ নবায়ন উপলক্ষে সম্প্রতি মহানগরের বালুচড়া এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেয়র জনসমক্ষে তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে মহানগর আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের উপকমিশনারকে (উত্তর) নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ মামলাটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নাজুক হয়, এমন কিছু করা কারও উচিত নয়। অথচ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নারী কাউন্সিলরের প্রতি চাপ সৃষ্টি, তাঁকে ভয়ভীতি দেখানো কিংবা তাঁর বাসার সামনে কতিপয় দলীয় নেতা-কর্মীর ঝাড়ু মিছিল বের করা আমাদের অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। আইনের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা থাকলে এসব কাজ তাঁরা করতে পারতেন না। নারী কাউন্সিলর অন্য দলের হলে এই মামলাকে না হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু তিনি ও মেয়র একই দলের।
নারী কাউন্সিলরদের প্রতি পুরুষ সহকর্মীদের আচরণ নিয়ে এর আগেও বহু লেখালেখি হয়েছে, কাগজপত্রে নীতিমালাও ঘোষিত হয়েছে, কিন্তু তাতে পুরুষ জনপ্রতিনিধিদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, তা হলফ করে বলা যাবে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর যে অভিযোগ এনেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। কারও ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশিমতো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরে হাজারো সমস্যা রয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কর্তব্য আত্মকলহে সময় নষ্ট না করে তার প্রতি নজর দেওয়া এবং নগরবাসীর কল্যাণে একযোগে কাজ করা।
আদালত অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের উপকমিশনারকে (উত্তর) নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ মামলাটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নাজুক হয়, এমন কিছু করা কারও উচিত নয়। অথচ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নারী কাউন্সিলরের প্রতি চাপ সৃষ্টি, তাঁকে ভয়ভীতি দেখানো কিংবা তাঁর বাসার সামনে কতিপয় দলীয় নেতা-কর্মীর ঝাড়ু মিছিল বের করা আমাদের অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। আইনের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা থাকলে এসব কাজ তাঁরা করতে পারতেন না। নারী কাউন্সিলর অন্য দলের হলে এই মামলাকে না হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু তিনি ও মেয়র একই দলের।
নারী কাউন্সিলরদের প্রতি পুরুষ সহকর্মীদের আচরণ নিয়ে এর আগেও বহু লেখালেখি হয়েছে, কাগজপত্রে নীতিমালাও ঘোষিত হয়েছে, কিন্তু তাতে পুরুষ জনপ্রতিনিধিদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, তা হলফ করে বলা যাবে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর যে অভিযোগ এনেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। কারও ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশিমতো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরে হাজারো সমস্যা রয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কর্তব্য আত্মকলহে সময় নষ্ট না করে তার প্রতি নজর দেওয়া এবং নগরবাসীর কল্যাণে একযোগে কাজ করা।
No comments