নির্ভার আবাহনীর ১৫তম জয়
সবারই যখন শেষ বাঁশির অপেক্ষা, তখনই গোল করে ম্যাচের স্কোরলাইনে নিজের নামটা তুললেন শেরিফ দ্বীন মোহাম্মদ।
গোলটা না হলেও ক্ষতি ছিল না আবাহনীর। তার আগেই মুক্তিযোদ্ধার জালে চারটি গোল ঢুকে গেছে। তার পরও ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার গোল না পেলে তাঁর বড় দুঃখ থেকে যেত। আবাহনী গোলের খাতা খোলার আগেই যে তাঁর হ্যাটট্রিক হয়ে যাওয়ার কথা!
তা হয়নি বলে আবাহনীর চিন্তারও কিছু ছিল না। প্রতিপক্ষ দলটা মুক্তিযোদ্ধা এবং আগের দুই ম্যাচে তারা শেখ রাসেল ও মোহামেডানের কাছে তিনটি করে গোল হজম করেছে। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে খেলতে নামা আবাহনীকে জয়ের জন্য কখনোই আসলে ভাবতে হয়নি।
তবে ৫-০ নয়, এদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবাহনী জিততে পারত অন্তত ১০ গোলে। বলা বাহুল্য, গোলের পাশাপাশি গোল মিসের মহড়াও ছিল। শুরুটা অবশ্য বেশ ভালোই করেছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তা আর ধরে রাখতে পারল না অবনবমন অঞ্চলে থাকা দলটি। আবাহনী নিজেদের সেরা ফুটবল না খেলেও গোল-উৎসব করতে পারল এ কারণেই। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণ খেই হারিয়ে আবাহনীকে গোল-উৎসব করারই সুযোগ করে দেয়।
আবাহনী তা ছাড়বে কেন? পেশাদার ফুটবলে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তোলার মিশনটাকে নিশ্ছিদ্র রেখেই এগোনোর চেষ্টা করছে আবাহনী। একের পর এক জয় তুলে আবাহনীর জয়রথ ছুটছে। ১৬ ম্যাচে ১৫ জয় ও একমাত্র ড্র থেকে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী ধরে রেখেছে তাদের অগ্রগামিতা। ১৫ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের পয়েন্ট ৩৯। এখনো অবশ্য লিগে অনেক নাটক ঘটতে পারে।
নাটকীয় কিছু ঘটুক সেটা চাইবে না আবাহনী। তাদের কাজ জয় তুলে মাঠ ছাড়া। কাল এই জয়ের সন্ধানে আবাহনী প্রথম গোলটা পায় ১৯ মিনিটে। ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন ইব্রাহিম। তিন মিনিট পরই মেহেদি হাসানের (উজ্জ্বল) গড়ানো শটে ২-০। তৃতীয় গোলটা পেতে আবাহনীর অপেক্ষা ছিল ৭১ মিনিট পর্যন্ত। বদলি স্ট্রাইকার এনামুল মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক নিজাম মজুমদারকে কাটিয়ে করে দেন ৩-০। আরেক বদলি মিডফিল্ডার আবুল ৮০ মিনিটে ৪-০ করার পর অতিরিক্ত সময়ে শেরিফের গোলে ৫-০।
মুক্তিযোদ্ধার জন্য স্বস্তির খবর, বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ তাদের। ১৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ভান্ডারে, সামনে ছোট ম্যাচ, অবনমন এড়ানোর সুযোগ থাকছে।
চট্টগ্রামে ড্র: এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থানীয় আবাহনীর সঙ্গে কাল ড্র করেছে ব্রাদার্স। চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দ্বিতীয়ার্ধে দুদলের খেলোয়াড় দেদার ফাউল করায় ম্যাচে কোনো সৌন্দর্য ছিল না। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুদলের খেলোয়াড়েরা। চট্টগ্রাম আবাহনীর এক কর্মকর্তা মাঠেও ঢুকে পড়েন।
৩০ মিনিটে ব্রাদার্সের দিদারুল আলম বল জালে জড়ালেও সহকারী রেফারি জালাল উদ্দিন অফসাইডের পতাকা তোলেন। এতে ক্ষিপ্ত ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান ম্যাচ রেফারি আর আলমের কাছে রেফারিং নিয়ে আপত্তি জানান। পাঁচ মিনিট পর ইউসুফের সৌজন্যে আত্মঘাতী গোল খেয়ে যায় ব্রাদার্স।
চার মিনিট পরই ব্রাদার্সকে ম্যাচে ফেরান এনক বেন্টিল। এই বেন্টিলই জেতাতে পারতেন দলকে। সহজ সুযোগ নষ্ট করে দলকে তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিতই করেছেন এই স্ট্রাইকার।
১৫ ম্যাচে ব্রাদার্সের পয়েন্ট ১৫। সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ১৭।
গোলটা না হলেও ক্ষতি ছিল না আবাহনীর। তার আগেই মুক্তিযোদ্ধার জালে চারটি গোল ঢুকে গেছে। তার পরও ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার গোল না পেলে তাঁর বড় দুঃখ থেকে যেত। আবাহনী গোলের খাতা খোলার আগেই যে তাঁর হ্যাটট্রিক হয়ে যাওয়ার কথা!
তা হয়নি বলে আবাহনীর চিন্তারও কিছু ছিল না। প্রতিপক্ষ দলটা মুক্তিযোদ্ধা এবং আগের দুই ম্যাচে তারা শেখ রাসেল ও মোহামেডানের কাছে তিনটি করে গোল হজম করেছে। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে খেলতে নামা আবাহনীকে জয়ের জন্য কখনোই আসলে ভাবতে হয়নি।
তবে ৫-০ নয়, এদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবাহনী জিততে পারত অন্তত ১০ গোলে। বলা বাহুল্য, গোলের পাশাপাশি গোল মিসের মহড়াও ছিল। শুরুটা অবশ্য বেশ ভালোই করেছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তা আর ধরে রাখতে পারল না অবনবমন অঞ্চলে থাকা দলটি। আবাহনী নিজেদের সেরা ফুটবল না খেলেও গোল-উৎসব করতে পারল এ কারণেই। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণ খেই হারিয়ে আবাহনীকে গোল-উৎসব করারই সুযোগ করে দেয়।
আবাহনী তা ছাড়বে কেন? পেশাদার ফুটবলে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তোলার মিশনটাকে নিশ্ছিদ্র রেখেই এগোনোর চেষ্টা করছে আবাহনী। একের পর এক জয় তুলে আবাহনীর জয়রথ ছুটছে। ১৬ ম্যাচে ১৫ জয় ও একমাত্র ড্র থেকে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী ধরে রেখেছে তাদের অগ্রগামিতা। ১৫ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের পয়েন্ট ৩৯। এখনো অবশ্য লিগে অনেক নাটক ঘটতে পারে।
নাটকীয় কিছু ঘটুক সেটা চাইবে না আবাহনী। তাদের কাজ জয় তুলে মাঠ ছাড়া। কাল এই জয়ের সন্ধানে আবাহনী প্রথম গোলটা পায় ১৯ মিনিটে। ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন ইব্রাহিম। তিন মিনিট পরই মেহেদি হাসানের (উজ্জ্বল) গড়ানো শটে ২-০। তৃতীয় গোলটা পেতে আবাহনীর অপেক্ষা ছিল ৭১ মিনিট পর্যন্ত। বদলি স্ট্রাইকার এনামুল মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক নিজাম মজুমদারকে কাটিয়ে করে দেন ৩-০। আরেক বদলি মিডফিল্ডার আবুল ৮০ মিনিটে ৪-০ করার পর অতিরিক্ত সময়ে শেরিফের গোলে ৫-০।
মুক্তিযোদ্ধার জন্য স্বস্তির খবর, বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ তাদের। ১৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ভান্ডারে, সামনে ছোট ম্যাচ, অবনমন এড়ানোর সুযোগ থাকছে।
চট্টগ্রামে ড্র: এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থানীয় আবাহনীর সঙ্গে কাল ড্র করেছে ব্রাদার্স। চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দ্বিতীয়ার্ধে দুদলের খেলোয়াড় দেদার ফাউল করায় ম্যাচে কোনো সৌন্দর্য ছিল না। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুদলের খেলোয়াড়েরা। চট্টগ্রাম আবাহনীর এক কর্মকর্তা মাঠেও ঢুকে পড়েন।
৩০ মিনিটে ব্রাদার্সের দিদারুল আলম বল জালে জড়ালেও সহকারী রেফারি জালাল উদ্দিন অফসাইডের পতাকা তোলেন। এতে ক্ষিপ্ত ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান ম্যাচ রেফারি আর আলমের কাছে রেফারিং নিয়ে আপত্তি জানান। পাঁচ মিনিট পর ইউসুফের সৌজন্যে আত্মঘাতী গোল খেয়ে যায় ব্রাদার্স।
চার মিনিট পরই ব্রাদার্সকে ম্যাচে ফেরান এনক বেন্টিল। এই বেন্টিলই জেতাতে পারতেন দলকে। সহজ সুযোগ নষ্ট করে দলকে তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিতই করেছেন এই স্ট্রাইকার।
১৫ ম্যাচে ব্রাদার্সের পয়েন্ট ১৫। সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ১৭।
No comments