উত্তর মহাসাগরে নিঃসরণ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ মিথেন
উত্তর মহাসাগরে ‘পারমাফ্রস্টের’ আবরণ ভেদ করে বিপুল পরিমাণ মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পারমাফ্রস্ট বা পারমাফ্রস্ট সয়েল হলো শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে কম তাপমাত্রায় দুই বছরের বেশি সময় থাকা এক ধরনের মাটি। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেছেন, উত্তর মহাসাগরে তাঁদের ধারণার চেয়ে দ্রুত হারে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ হচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা ফেয়ারব্যাংকস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নাতালিয়া শাখোভা ও ইগর সেমিলেতভের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উত্তর মহাসাগরের পূর্ব সাইবেরিয়া অঞ্চলে গবেষণা চালায়। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স-এ তাদের এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই গবেষণা থেকে জানা গেছে, স্থলভাগ নয়, বরং পানির নিচে থাকা পারমাফ্রস্টের আবরণ ভেদ করে মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এই নিঃসরণের পরিমাণ বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্বে উষ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে নাটকীয় প্রভাব পড়বে। সাইবেরিয়ায় আগের গবেষণাগুলোয় স্থলভাগের পারমাফ্রস্ট থেকে মিথেন নিঃসরণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন থেকেই ধারণা করে আসছিলেন, পূর্ব সাইবেরিয়ার বরফ স্তরের নিচে থাকা পারমাফ্রস্ট মিথেন গ্যাস আটকে রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরফের স্তরের ওপরে চলে আসা পারমাফ্রস্ট আবরণের বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র রয়েছে। এতে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে এবং বিশ্বে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মিথেন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস এবং বিশ্বে তাপমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর মহাসাগরের তলদেশের এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের শতকরা ৮০ ভাগের বেশি পানিতে মিথেনের মাত্রা সাধারণ সমুদ্রের পানিতে মিথেনের মাত্রার চেয়ে আট গুণ বেশি। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, বরফের নিচে জমা থাকা মিথেন রাশির সামান্য অংশও বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হলে তা জলবায়ু পরিবর্তনে বড় প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা ফেয়ারব্যাংকস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নাতালিয়া শাখোভা ও ইগর সেমিলেতভের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উত্তর মহাসাগরের পূর্ব সাইবেরিয়া অঞ্চলে গবেষণা চালায়। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স-এ তাদের এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই গবেষণা থেকে জানা গেছে, স্থলভাগ নয়, বরং পানির নিচে থাকা পারমাফ্রস্টের আবরণ ভেদ করে মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এই নিঃসরণের পরিমাণ বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্বে উষ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে নাটকীয় প্রভাব পড়বে। সাইবেরিয়ায় আগের গবেষণাগুলোয় স্থলভাগের পারমাফ্রস্ট থেকে মিথেন নিঃসরণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন থেকেই ধারণা করে আসছিলেন, পূর্ব সাইবেরিয়ার বরফ স্তরের নিচে থাকা পারমাফ্রস্ট মিথেন গ্যাস আটকে রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরফের স্তরের ওপরে চলে আসা পারমাফ্রস্ট আবরণের বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র রয়েছে। এতে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে এবং বিশ্বে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মিথেন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস এবং বিশ্বে তাপমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর মহাসাগরের তলদেশের এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের শতকরা ৮০ ভাগের বেশি পানিতে মিথেনের মাত্রা সাধারণ সমুদ্রের পানিতে মিথেনের মাত্রার চেয়ে আট গুণ বেশি। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, বরফের নিচে জমা থাকা মিথেন রাশির সামান্য অংশও বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হলে তা জলবায়ু পরিবর্তনে বড় প্রভাব ফেলবে।
No comments