ইরাক যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। ইরাক আগ্রাসন বিষয়ে লন্ডনে এক তদন্ত কমিশনের সামনে ব্রাউন গতকাল শুক্রবার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সঠিক কারণেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত ওই তদন্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার যেসব প্রতিবেদন তিনি পেয়েছিলেন তাতে ইরাককে তার হুমকি বলে মনে হয়েছিল। ইরাক যুদ্ধের সময় ব্রাউন ছিলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স অনলাইনের।
কিছু দিন আগে তদন্ত কমিশনের সামনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ারও ইরাক যুদ্ধে যাওয়া সঠিক ছিল বলে জানিয়েছিলেন। গর্ডন ব্রাউন বলেন, তখন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর মনে হয়েছিল, ইরাক একটা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মোকাবিলা করতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা বিভাগ যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে তিনি ২০০২-০৩ সালের গোড়ার দিকে গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন।
ব্রাউন বলেন, তাঁর ওই বিশ্বাসের কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক দিন ধরে সাদ্দাম হোসেনকে বলে আসছিল তিনি যেসব আন্তর্জাতিক আইন ও দায়দায়িত্ব মেনে নিয়েছিলেন, সেগুলো যেন মেনে চলেন। জাতিসংঘে ১৪টি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, তাঁকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে রাজি করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত আশা করেছিলেন কূটনৈতিক প্রয়াস সফল হবে এবং যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে। ব্রাউন আরও বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। যখন দেখা যায়, সব কূটনৈতিক পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি সব সময় তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
অর্থায়নের অভাবে ব্রিটিশ সেনারা যথেষ্ট অগ্রগতি ছাড়াই যুদ্ধে গিয়েছেন বলে প্রায় অভিযোগ আনা হয়। তদন্তে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রাউন।
ইরাক যুদ্ধের জন্য কোনো অনুতাপ নেই বলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তবে গর্ডন ব্রাউন জেরার শুরুতেই ইরাক যুদ্ধে নিহত ইরাকি ও ব্রিটিশ সেনাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ব্রাউন বলেন, ‘কেউ যুদ্ধে জড়াতে চায় না। কেউ নিরীহ মানুষের মৃত্যু চায় না। কেউ তাঁদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে চান না। পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো গুরুতর বা সঠিক মনে না হওয়া পর্যন্ত কেউ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন না।
কিছু দিন আগে তদন্ত কমিশনের সামনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ারও ইরাক যুদ্ধে যাওয়া সঠিক ছিল বলে জানিয়েছিলেন। গর্ডন ব্রাউন বলেন, তখন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর মনে হয়েছিল, ইরাক একটা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মোকাবিলা করতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা বিভাগ যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে তিনি ২০০২-০৩ সালের গোড়ার দিকে গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন।
ব্রাউন বলেন, তাঁর ওই বিশ্বাসের কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক দিন ধরে সাদ্দাম হোসেনকে বলে আসছিল তিনি যেসব আন্তর্জাতিক আইন ও দায়দায়িত্ব মেনে নিয়েছিলেন, সেগুলো যেন মেনে চলেন। জাতিসংঘে ১৪টি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, তাঁকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে রাজি করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত আশা করেছিলেন কূটনৈতিক প্রয়াস সফল হবে এবং যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে। ব্রাউন আরও বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। যখন দেখা যায়, সব কূটনৈতিক পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি সব সময় তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
অর্থায়নের অভাবে ব্রিটিশ সেনারা যথেষ্ট অগ্রগতি ছাড়াই যুদ্ধে গিয়েছেন বলে প্রায় অভিযোগ আনা হয়। তদন্তে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রাউন।
ইরাক যুদ্ধের জন্য কোনো অনুতাপ নেই বলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তবে গর্ডন ব্রাউন জেরার শুরুতেই ইরাক যুদ্ধে নিহত ইরাকি ও ব্রিটিশ সেনাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ব্রাউন বলেন, ‘কেউ যুদ্ধে জড়াতে চায় না। কেউ নিরীহ মানুষের মৃত্যু চায় না। কেউ তাঁদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে চান না। পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো গুরুতর বা সঠিক মনে না হওয়া পর্যন্ত কেউ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন না।
No comments