আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ সামলাতে হবে: মনমোহন
ভারত বলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় তাদের কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু যতক্ষণ না পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে ভারতবিরোধী ‘সন্ত্রাসী তত্পরতা’ বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছে, ততক্ষণ শান্তি আলোচনায় অর্থবহ অগ্রগতি হওয়ার কোনো আশা নেই। গতকাল শুক্রবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব দিয়ে রাখা বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ কথা বলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকোন্নয়নে আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানানোর পরের দিনই মনমোহন সিং এ ঘোষণা দিলেন। এএফপি ও জিনিউজ অনলাইন।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে ভারত-পাকিস্তান বৈঠক হয়। মনমোহন বলেন, ওই বৈঠক কোনো ‘আচমকা’ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়নি বরং তা কূটনৈতিক পূর্বপরিকল্পনা মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান যদি তার ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের ভারতবিরোধী তত্পরতা বন্ধে ব্যর্থ হয়, তাহলে এসব আলোচনার উদ্যোগ মোটেও ফলপ্রসূ হবে না। অর্থবহ আলোচনা করতে হলে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসছে বলে লোকসভায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন মনমোহন সিং। এ ছাড়া দুই দেশের আলোচনায় সৌদি আরব মধ্যস্থতা করছে বলেও বিরোধী দলের দেওয়া বক্তব্য অস্বীকার করেন তিনি।
মনমোহন বলেন, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক, এমন তত্ত্বে তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হলে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শীতলযুদ্ধের সময়ও তাদের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর ভারত-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর প্রথমবারের মতো গত সপ্তাহে দিল্লিতে দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক করেন।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে ভারত-পাকিস্তান বৈঠক হয়। মনমোহন বলেন, ওই বৈঠক কোনো ‘আচমকা’ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়নি বরং তা কূটনৈতিক পূর্বপরিকল্পনা মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান যদি তার ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের ভারতবিরোধী তত্পরতা বন্ধে ব্যর্থ হয়, তাহলে এসব আলোচনার উদ্যোগ মোটেও ফলপ্রসূ হবে না। অর্থবহ আলোচনা করতে হলে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসছে বলে লোকসভায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন মনমোহন সিং। এ ছাড়া দুই দেশের আলোচনায় সৌদি আরব মধ্যস্থতা করছে বলেও বিরোধী দলের দেওয়া বক্তব্য অস্বীকার করেন তিনি।
মনমোহন বলেন, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক, এমন তত্ত্বে তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হলে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শীতলযুদ্ধের সময়ও তাদের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর ভারত-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর প্রথমবারের মতো গত সপ্তাহে দিল্লিতে দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক করেন।
No comments