বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন -শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে
যেকোনো প্রতিষ্ঠান সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য আইন যে হালনাগাদ ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু গেল শতকের নব্বইয়ের দশকে। এ জন্য ১৯৯১ সালে একটি আইনও প্রণয়ন করা হয়েছিল। সে সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। বর্তমানে অর্ধশতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। সে ক্ষেত্রে নতুন আইন জরুরি হয়ে পড়ছে। তবে তা হতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে। এই প্রেক্ষাপটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইনটি পর্যালোচনা ও বিবেচনার দাবি রাখে।
প্রস্তাবিত আইনে উপাচার্যের ক্ষমতা বাড়ানো এবং তাঁকে সিন্ডিকেটের প্রধান করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানই এই দায়িত্ব পালন করেন। এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে পারবে না। এ ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকার প্রয়োজন আছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত বেতন আদায় করলেও শিক্ষার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে না। এ নিয়ে পত্রিকায় বহু লেখালেখি হয়েছে। ইউজিসির উদ্যোগে একাধিকবার তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
ইউজিসি যেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল, নানা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে সেগুলোরও কোনো কোনোটি অনুমোদন আদায় করে নিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ভবন, মুক্ত আঙিনা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা-উপকরণ নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রস্তাবিত আইনে অনেক সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা এর বিরোধিতা করে আসছে। তাঁদের দাবি, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর করলে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।
বেসরকারি উদ্যোগে সরকার অযথা নাক গলাক, সেটা কারও কাম্য নয়। আবার একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে খেয়ালখুশিমতো কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে। সে কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই নিয়মনীতির আওতায় আনতে হবে। মালিকপক্ষের যুক্তিসংগত বক্তব্য থাকলে তাও সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রস্তাবিত আইন সংশোধনও করা যেতে পারে। তবে কোনো অজুহাতেই আইনটিকে হিমাগারে রাখা চলবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যাতে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সে জন্য তদারকির প্রয়োজন আছে। তবে সরকারি প্রতিনিধি মনোনয়নের নামে অযাচিত হস্তক্ষেপ যেন না হয়, সে নিশ্চয়তাও থাকা প্রয়োজন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়। সংসদে বিলটি পেশ করার আগেই দুই পক্ষ আলোচনায় বসে এ ব্যাপারে একটা সমঝোতায় আসতে পারে। পারস্পরিক সহযোগিতাই পারে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে।
প্রস্তাবিত আইনে উপাচার্যের ক্ষমতা বাড়ানো এবং তাঁকে সিন্ডিকেটের প্রধান করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানই এই দায়িত্ব পালন করেন। এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে পারবে না। এ ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকার প্রয়োজন আছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত বেতন আদায় করলেও শিক্ষার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে না। এ নিয়ে পত্রিকায় বহু লেখালেখি হয়েছে। ইউজিসির উদ্যোগে একাধিকবার তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
ইউজিসি যেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল, নানা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে সেগুলোরও কোনো কোনোটি অনুমোদন আদায় করে নিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ভবন, মুক্ত আঙিনা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা-উপকরণ নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রস্তাবিত আইনে অনেক সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা এর বিরোধিতা করে আসছে। তাঁদের দাবি, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর করলে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।
বেসরকারি উদ্যোগে সরকার অযথা নাক গলাক, সেটা কারও কাম্য নয়। আবার একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে খেয়ালখুশিমতো কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে। সে কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই নিয়মনীতির আওতায় আনতে হবে। মালিকপক্ষের যুক্তিসংগত বক্তব্য থাকলে তাও সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রস্তাবিত আইন সংশোধনও করা যেতে পারে। তবে কোনো অজুহাতেই আইনটিকে হিমাগারে রাখা চলবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যাতে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সে জন্য তদারকির প্রয়োজন আছে। তবে সরকারি প্রতিনিধি মনোনয়নের নামে অযাচিত হস্তক্ষেপ যেন না হয়, সে নিশ্চয়তাও থাকা প্রয়োজন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়। সংসদে বিলটি পেশ করার আগেই দুই পক্ষ আলোচনায় বসে এ ব্যাপারে একটা সমঝোতায় আসতে পারে। পারস্পরিক সহযোগিতাই পারে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে।
No comments