অর্থবছরের প্রথমার্ধে লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের উদ্বৃত্ত
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা দেখা দিয়েছে। ছয় মাসের এই উদ্বৃত্ত গত অর্থবছরের পুরো সময়ের সার্বিক উদ্বৃত্তকে ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে লেনদেনের সার্বিক ভারসাম্য দাঁড়িয়েছে ২০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
তবে গত অর্থবছরে লেনদেনের সার্বিক ভারসাম্য ছিল ২০৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা লেনদেনের ভারসাম্যকে উল্লেখযোগ্য হারে ইতিবাচক পর্যায়ে ধরে রেখেছে।
আলোচ্য সময়কালে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এর পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত ছিল ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
একইভাবে মূলধনী ও আর্থিক হিসাবেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে মূলধনী ও আর্থিক হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ও ৬১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এ দুইয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩ কোটি ডলার ও সাড়ে আট কোটি ডলার।
তবে অর্থবছরের প্রথমার্ধে লেনদেনের ভারসাম্যের চিত্রটি বাংলাদেশের গতানুগতিক চিত্র নয়, বরং কিছুটা অস্বাভাবিক বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানি-ব্যয় কমে যাওয়ার একটি প্রতিফলন লেনদেনের ভারসাম্যের চিত্রে পড়েছে। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কম থাকা এবং দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা কমে যাওয়া আমদানি-ব্যয় কমিয়েছে।’
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে এই সময়কালে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছে এক হাজার চার কোটি ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় করতে হয়েছিল এক হাজার ৬৮ কোটি ডলার।
একই সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ছিল ৭৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আহসান মনসুর বলেন, ‘একদিকে আমদানি ব্যয় কমেছে, অন্যদিকে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর ফলে আমাদের হাতে প্রচুর অর্থ জমে গেছে, অন্য সময় যা আমদানির জন্য ব্যয় করে ফেলতে হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে যা স্বস্তিদায়ক ব্যাপার। অন্যদিকে রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শ্লথগতি, যা উদ্বেগের বিষয়।’
আহসান মনসুর অবশ্য আশা প্রকাশ করেন যে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হবে, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াবে। ইতিমধ্যে এর লক্ষণও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বিশ্ববাজারেও পণ্যমূল্য বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকেও দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ডিসেম্বরে যেখানে ২০৩ কোটি ডলারের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, সেখানে জানুয়ারিতে এই আমদানি ঋণপত্র খোলার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩৪ কোটি ডলার।
এ দুইয়ের যুগপত্ প্রভাবে দ্বিতীয়ার্ধে আমদানি-ব্যয় বাড়বে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি সাধারণত যে রকম অবস্থায় থাকে, সে রকম অবস্থায় ফিরে যাবে।’ অর্থাত্ বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে, চলতি হিসাব ও সার্বিক লেনদেনের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত কমবে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
আবার এই সময়কালে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি ঋণপ্রবাহ বেড়ে হয়েছে ১১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে লেনদেনের সার্বিক ভারসাম্য দাঁড়িয়েছে ২০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
তবে গত অর্থবছরে লেনদেনের সার্বিক ভারসাম্য ছিল ২০৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা লেনদেনের ভারসাম্যকে উল্লেখযোগ্য হারে ইতিবাচক পর্যায়ে ধরে রেখেছে।
আলোচ্য সময়কালে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এর পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত ছিল ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
একইভাবে মূলধনী ও আর্থিক হিসাবেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে মূলধনী ও আর্থিক হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ও ৬১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এ দুইয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩ কোটি ডলার ও সাড়ে আট কোটি ডলার।
তবে অর্থবছরের প্রথমার্ধে লেনদেনের ভারসাম্যের চিত্রটি বাংলাদেশের গতানুগতিক চিত্র নয়, বরং কিছুটা অস্বাভাবিক বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানি-ব্যয় কমে যাওয়ার একটি প্রতিফলন লেনদেনের ভারসাম্যের চিত্রে পড়েছে। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কম থাকা এবং দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা কমে যাওয়া আমদানি-ব্যয় কমিয়েছে।’
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে এই সময়কালে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছে এক হাজার চার কোটি ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় করতে হয়েছিল এক হাজার ৬৮ কোটি ডলার।
একই সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ছিল ৭৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আহসান মনসুর বলেন, ‘একদিকে আমদানি ব্যয় কমেছে, অন্যদিকে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর ফলে আমাদের হাতে প্রচুর অর্থ জমে গেছে, অন্য সময় যা আমদানির জন্য ব্যয় করে ফেলতে হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে যা স্বস্তিদায়ক ব্যাপার। অন্যদিকে রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শ্লথগতি, যা উদ্বেগের বিষয়।’
আহসান মনসুর অবশ্য আশা প্রকাশ করেন যে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হবে, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াবে। ইতিমধ্যে এর লক্ষণও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বিশ্ববাজারেও পণ্যমূল্য বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকেও দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ডিসেম্বরে যেখানে ২০৩ কোটি ডলারের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, সেখানে জানুয়ারিতে এই আমদানি ঋণপত্র খোলার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩৪ কোটি ডলার।
এ দুইয়ের যুগপত্ প্রভাবে দ্বিতীয়ার্ধে আমদানি-ব্যয় বাড়বে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি সাধারণত যে রকম অবস্থায় থাকে, সে রকম অবস্থায় ফিরে যাবে।’ অর্থাত্ বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে, চলতি হিসাব ও সার্বিক লেনদেনের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত কমবে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
আবার এই সময়কালে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি ঋণপ্রবাহ বেড়ে হয়েছে ১১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
No comments