জলবায়ু শরণার্থী ও বাংলাদেশ by আশরাফ মাহমুদ দেওয়ান
পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। ফলে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের জন্য তাপমাত্রার বৃদ্ধি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন গবেষণায় এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে জলবায়ুর পরিবর্তন বিভিন্ন সেক্টরকে প্রতিঘাত করবে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুতি। বাংলাদেশ একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ হওয়ায় জলবায়ুর নিয়ামকগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি চলকের পরিবর্তন অবশ্যই গত কয়েক শ বছরের প্রচলিত জীবিকার ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করবে। যেমন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় তিন কোটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব দ্রুততর হবে, অন্যদিকে জনসংখ্যার বাস্তুচ্যুতির বিষয়টিও তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কাদের ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলব? এমনিতেই জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপের দরুন বাংলাদেশে গ্রামীণ মানুষের নগর-অভিগমনের হার অত্যন্ত বেশি। এর সঙ্গে আবার যোগ হয় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগসৃষ্ট অভিগমন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের বড় বড় শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যান্য কারণের মধ্যে অন্যতম হলো দুর্যোগসৃষ্ট মানুষের স্থানচ্যুতি।
১৯৫৮ সাল থেকে ‘জলবায়ু শরণার্থী’ শব্দটি ব্যবহূত হয়ে আসছে। আবার কোনো কোনো গবেষক এবং বিজ্ঞানী ‘জলবায়ু শরণার্থী’ শব্দটির পরিবর্তে পরিবেশগত কারণে বাস্তুভিটা হারানো মানুষকে ‘পারিবেশিক উদ্বাস্তু’ ‘পারিবেশিক অভিবাসী’, ‘পারিবেশিক বাস্তুহারা’ ইত্যাদি নামে অভিহিত করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলতে যেসব লোককে বোঝানো হচ্ছে, তারা হচ্ছে: যারা জলবায়ুর নিয়ামকের পরিবর্তনের কারণে বসতভিটা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে, কিন্তু সেসব জনগোষ্ঠী বা ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত নিজ দেশেই অবস্থান করে। তবে এখন পর্যন্ত ‘জলবায়ু শরণার্থী’র কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই। তথাপি ওই শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মূলত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলন, সমুদ্র-সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, খরা, পৌনঃপুনিক বন্যা ইত্যাদি কারণে। তবে বাংলাদেশের মতো অত্যন্ত জনবহুল দেশে সবাইকে ঢালাওভাবে ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলাটা ঠিক নয়। কারণ, এখানে জনসংখ্যার একটি বৃহত্ অংশ উন্নত জীবন-জীবিকার সন্ধানে প্রায়ই নগর-অভিগমন করে থাকে। বহুকাল আগে থেকেই নদীভাঙনের শিকার মানুষজন যেমন বাস্তুভিটা হারিয়ে অভিগমন করছে, তেমনি টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতির অভাবেও অভিগমন করছে শহরে অথবা অন্য কোনো দেশে। আর তাই ‘জলবায়ু শরণার্থী’ আমরা তাদেরই বলতে পারি, যারা জলবায়ুর যেকোনো চলকের (যেমন—তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবের দরুন বাস্তুভিটা হারিয়ে অথবা পরিবর্তিত পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পেরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে অভিগমন করতে বাধ্য হবে। যেমন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে মত্স্যসম্পদের ওপর নির্ভরশীল জেলে জনগোষ্ঠী যদি পেশা পরিবর্তন করে স্থানান্তরিত হয়, তবে তাদের ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলা ঠিক নয়। কিন্তু বারবার ঘূর্ণিঝড় বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী যদি নিজস্ব বাস্তুভিটা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়, তবে তাদের আমরা ‘জলবায়ু শরণার্থী’ হিসেবে অভিহিত করতে পারি। কারণ, মানুষ তাঁর বাস্তুভিটা তখনই ত্যাগ করতে বাধ্য হবে, যখন প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে প্রচলিত পরিবেশকাঠামোতে তাঁর বেঁচে থাকাটাই দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।
জলবায়ুর এই পরিবর্তন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে; বিশেষ করে, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে বসতভিটা ত্যাগে বাধ্য করবে। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান-এর মতে, আগামী ৫০ বছরে সারা পৃথিবীর প্রায় ১০০ কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটবে। সম্প্রতি কার্টিরেট দ্বীপের অধিবাসীদের বিশ্বের প্রথম ‘জলবায়ু শরণার্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কেননা এদের বেশির ভাগেরই বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে সমুদ্রসমতলের উচ্চতা বাড়ার কারণে। ২০০৫ সালে পাপুয়া নিউগিনির সরকার এদের স্থানান্তরপ্রক্রিয়া শুরু করে ২০০৭ সাল নাগাদ সম্পন্ন করে। বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৫ সালের মধ্যেই ওই দ্বীপপুঞ্জ নিমজ্জিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যদি ২১০০ সাল নাগাদ এক মিটার সমুদ্রসমতলের পরিবর্তন ঘটে, তবে বাংলাদেশের তিন মিলিয়ন হেক্টর জমি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটা ৪০-৫০ বছরের মধ্যে হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ফলে বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ দ্রুততর ও তীব্রতর হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট উপসংহারে উপনীত হওয়া একটু দুঃসাধ্য ব্যাপার। মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ভুক্ত বা এলাকাভিত্তিক অভিযোজন-কৌশল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হওয়া জরুরি। কেননা বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অভিযোজন-কৌশল নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার দ্য পেন্টাগন-এর প্রতিবেদনে জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ব্যাপারে আরও ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে জনসংখ্যার ব্যাপক অভিগমন এবং বাস্তুচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের দরুন সৃষ্ট সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পৃথিবীর অনেক দেশ মোটামুটি সচ্ছল প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পদের দিকে দৃষ্টিপাত করবে নিজস্ব জনসংখ্যার খাদ্য ও আবাসস্থলের নিরাপত্তার জন্য।
যেহেতু বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য আমেরিকা ও শিল্পোন্নত দেশগুলো বহুলাংশে দায়ী, তাই সারা পৃথিবীতে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য তাদেরই গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে হবে। এর মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের মতো অনেক দরিদ্র দেশের বহু নিষ্পাপ জীবন ও সম্পদ বাঁচানো সম্ভব হবে।
ড. আশরাফ মাহমুদ দেওয়ান: সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৫৮ সাল থেকে ‘জলবায়ু শরণার্থী’ শব্দটি ব্যবহূত হয়ে আসছে। আবার কোনো কোনো গবেষক এবং বিজ্ঞানী ‘জলবায়ু শরণার্থী’ শব্দটির পরিবর্তে পরিবেশগত কারণে বাস্তুভিটা হারানো মানুষকে ‘পারিবেশিক উদ্বাস্তু’ ‘পারিবেশিক অভিবাসী’, ‘পারিবেশিক বাস্তুহারা’ ইত্যাদি নামে অভিহিত করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলতে যেসব লোককে বোঝানো হচ্ছে, তারা হচ্ছে: যারা জলবায়ুর নিয়ামকের পরিবর্তনের কারণে বসতভিটা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে, কিন্তু সেসব জনগোষ্ঠী বা ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত নিজ দেশেই অবস্থান করে। তবে এখন পর্যন্ত ‘জলবায়ু শরণার্থী’র কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই। তথাপি ওই শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মূলত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলন, সমুদ্র-সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, খরা, পৌনঃপুনিক বন্যা ইত্যাদি কারণে। তবে বাংলাদেশের মতো অত্যন্ত জনবহুল দেশে সবাইকে ঢালাওভাবে ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলাটা ঠিক নয়। কারণ, এখানে জনসংখ্যার একটি বৃহত্ অংশ উন্নত জীবন-জীবিকার সন্ধানে প্রায়ই নগর-অভিগমন করে থাকে। বহুকাল আগে থেকেই নদীভাঙনের শিকার মানুষজন যেমন বাস্তুভিটা হারিয়ে অভিগমন করছে, তেমনি টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতির অভাবেও অভিগমন করছে শহরে অথবা অন্য কোনো দেশে। আর তাই ‘জলবায়ু শরণার্থী’ আমরা তাদেরই বলতে পারি, যারা জলবায়ুর যেকোনো চলকের (যেমন—তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবের দরুন বাস্তুভিটা হারিয়ে অথবা পরিবর্তিত পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পেরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে অভিগমন করতে বাধ্য হবে। যেমন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে মত্স্যসম্পদের ওপর নির্ভরশীল জেলে জনগোষ্ঠী যদি পেশা পরিবর্তন করে স্থানান্তরিত হয়, তবে তাদের ‘জলবায়ু শরণার্থী’ বলা ঠিক নয়। কিন্তু বারবার ঘূর্ণিঝড় বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী যদি নিজস্ব বাস্তুভিটা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়, তবে তাদের আমরা ‘জলবায়ু শরণার্থী’ হিসেবে অভিহিত করতে পারি। কারণ, মানুষ তাঁর বাস্তুভিটা তখনই ত্যাগ করতে বাধ্য হবে, যখন প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে প্রচলিত পরিবেশকাঠামোতে তাঁর বেঁচে থাকাটাই দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।
জলবায়ুর এই পরিবর্তন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে; বিশেষ করে, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে বসতভিটা ত্যাগে বাধ্য করবে। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান-এর মতে, আগামী ৫০ বছরে সারা পৃথিবীর প্রায় ১০০ কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটবে। সম্প্রতি কার্টিরেট দ্বীপের অধিবাসীদের বিশ্বের প্রথম ‘জলবায়ু শরণার্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কেননা এদের বেশির ভাগেরই বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে সমুদ্রসমতলের উচ্চতা বাড়ার কারণে। ২০০৫ সালে পাপুয়া নিউগিনির সরকার এদের স্থানান্তরপ্রক্রিয়া শুরু করে ২০০৭ সাল নাগাদ সম্পন্ন করে। বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৫ সালের মধ্যেই ওই দ্বীপপুঞ্জ নিমজ্জিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যদি ২১০০ সাল নাগাদ এক মিটার সমুদ্রসমতলের পরিবর্তন ঘটে, তবে বাংলাদেশের তিন মিলিয়ন হেক্টর জমি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটা ৪০-৫০ বছরের মধ্যে হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ফলে বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ দ্রুততর ও তীব্রতর হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট উপসংহারে উপনীত হওয়া একটু দুঃসাধ্য ব্যাপার। মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ভুক্ত বা এলাকাভিত্তিক অভিযোজন-কৌশল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হওয়া জরুরি। কেননা বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অভিযোজন-কৌশল নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার দ্য পেন্টাগন-এর প্রতিবেদনে জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ব্যাপারে আরও ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে জনসংখ্যার ব্যাপক অভিগমন এবং বাস্তুচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের দরুন সৃষ্ট সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পৃথিবীর অনেক দেশ মোটামুটি সচ্ছল প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পদের দিকে দৃষ্টিপাত করবে নিজস্ব জনসংখ্যার খাদ্য ও আবাসস্থলের নিরাপত্তার জন্য।
যেহেতু বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য আমেরিকা ও শিল্পোন্নত দেশগুলো বহুলাংশে দায়ী, তাই সারা পৃথিবীতে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য তাদেরই গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে হবে। এর মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের মতো অনেক দরিদ্র দেশের বহু নিষ্পাপ জীবন ও সম্পদ বাঁচানো সম্ভব হবে।
ড. আশরাফ মাহমুদ দেওয়ান: সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments