বিপন্ন নদী ও বন -কথা নয়, দরকার সর্বশক্তি নিয়োগে সরকারের সদিচ্ছা
কথায় কি কাজ হয়? গত সোমবারের প্রথম আলোই তার প্রমাণ। সেদিনের একটি সংবাদে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সবুজ বাংলাদেশ চাই।’ একই দিনের আরেকটি সংবাদে জানা যাচ্ছে, বরিশালে বন কেটে ইটভাটা তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে সরকারেরই দুটি সংস্থা—বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রধানমন্ত্রী বলছেন সবুজ বাঁচানোর কথা, কিন্তু ওই সংবাদের সঙ্গে থাকা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সারি সারি সবুজ গাছ মাটিতে পড়ে আছে। ডাল কেটে সেগুলো কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর ‘সবুজ বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার; নদ-নদী, খাল-বিল-পুকুর ও জলাধার সংরক্ষণের নির্দেশ সত্য; নাকি বিরতিহীনভাবে বন-নদী-সমুদ্রতীরের সবুজ বেষ্টনী ধ্বংসের আয়োজন বেশি সত্য।
ওই একই দিনের আরেকটি সংবাদ জানাচ্ছে, জাহাজভাঙা-শিল্পের গ্রাসে সীতাকুণ্ড উপকূলের সবুজ বেষ্টনী উজাড় হচ্ছে। সংবাদগুলো নমুনা মাত্র। বাস্তবে বন, নদী দখল ও বিনষ্ট হওয়ার হার সরকারের প্রতিশ্রুতিকে ছাপিয়ে বিপুল বিক্রমে এগিয়ে চলছে। এ কাজে সরকারের বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য বিভাগ বিভিন্নভাবে জড়িত। বহু স্থানে সরকারদলীয় লোকেরা এসবের সুফলভোগী। সরকারি দল ও সরকারি সংস্থার মধ্যে যোগসাজশ ছাড়া এ রকম নির্বিচার দখল ও পরিবেশ ধ্বংস কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। সে কারণেই প্রশ্ন জাগে, যে শর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানো হবে, তার মধ্যেই যদি ভূত বসে থাকে? ঢাকার চারটি নদীকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তুরাগ, বালু, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার দূষণ ও দখল কি মোটেও কমেছে? জনদাবি এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনার চাপে সংকটের কথা স্বীকার করা হলেও সংকট কাটানোর জরুরি মহাপরিকল্পনা এল না। এটা কেমন দায়িত্বশীলতা?
যে কায়েমি মহল নদী ও বন ধ্বংসের জন্য দায়ী, তারা শক্তিমান। সমস্যার ভয়াবহতার মুখে শুধু কথায় চিঁড়ে ভিজবে না, প্রয়োজন বাস্তব ও আপসহীন উদ্যোগ। এর জন্য সবার আগে সরকারের নিজের হাতটি পরিষ্কার করতে হবে। সেই কাজের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। সর্বনাশের ষোলকলা যখন পূর্ণ হচ্ছে, প্রতিকারে তখন সর্বশক্তি নিয়োগ করার কোনো বিকল্প নেই।
ওই একই দিনের আরেকটি সংবাদ জানাচ্ছে, জাহাজভাঙা-শিল্পের গ্রাসে সীতাকুণ্ড উপকূলের সবুজ বেষ্টনী উজাড় হচ্ছে। সংবাদগুলো নমুনা মাত্র। বাস্তবে বন, নদী দখল ও বিনষ্ট হওয়ার হার সরকারের প্রতিশ্রুতিকে ছাপিয়ে বিপুল বিক্রমে এগিয়ে চলছে। এ কাজে সরকারের বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য বিভাগ বিভিন্নভাবে জড়িত। বহু স্থানে সরকারদলীয় লোকেরা এসবের সুফলভোগী। সরকারি দল ও সরকারি সংস্থার মধ্যে যোগসাজশ ছাড়া এ রকম নির্বিচার দখল ও পরিবেশ ধ্বংস কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। সে কারণেই প্রশ্ন জাগে, যে শর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানো হবে, তার মধ্যেই যদি ভূত বসে থাকে? ঢাকার চারটি নদীকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তুরাগ, বালু, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার দূষণ ও দখল কি মোটেও কমেছে? জনদাবি এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনার চাপে সংকটের কথা স্বীকার করা হলেও সংকট কাটানোর জরুরি মহাপরিকল্পনা এল না। এটা কেমন দায়িত্বশীলতা?
যে কায়েমি মহল নদী ও বন ধ্বংসের জন্য দায়ী, তারা শক্তিমান। সমস্যার ভয়াবহতার মুখে শুধু কথায় চিঁড়ে ভিজবে না, প্রয়োজন বাস্তব ও আপসহীন উদ্যোগ। এর জন্য সবার আগে সরকারের নিজের হাতটি পরিষ্কার করতে হবে। সেই কাজের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। সর্বনাশের ষোলকলা যখন পূর্ণ হচ্ছে, প্রতিকারে তখন সর্বশক্তি নিয়োগ করার কোনো বিকল্প নেই।
No comments