ভারতে ঢুকেছে আত্মঘাতী তালেবান জঙ্গিরা -দেশজুড়ে সতর্কতা জারি
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে জঙ্গি হামলার আগাম সতর্কতা জারি করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তালেবান জঙ্গিদের আত্মঘাতী একটি দল কাশ্মীরের কুপওয়ারা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। তারা পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটক ও গুজরাটের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ আগাম সতর্ক বার্তা পেয়ে ওই পাঁচ রাজ্যের সরকার তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, জনবহুল এলাকা, রেল ও বাসস্টেশন, বিমানবন্দর, পাতালরেল, ঐতিহাসিক স্থাপনা, বিপণিকেন্দ্র, হাসপাতাল, রাজনৈতিক দলের অফিস, প্রতিরক্ষা ভবন, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি, স্টক এক্সচেঞ্জ, সেতু, কলকাতায় মার্কিন কনসুলেট, বিনোদন পার্ক, পাঁচতারা হোটেল, বাজার এবং ধর্মীয় স্থানে আত্মঘাতী হামলা চালতে পারে তালেবান জঙ্গিরা।
আফগান ও পাখতুন নাগরিকদের চলাফেরার ওপর দৃষ্টি রাখতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জঙ্গিরা তাদের মধ্যে আত্মগোপন করে থাকতে পারে বলে সতর্ক বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্ক বার্তা জারির পর ভারতের সব কটি পারমাণবিক স্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সব বিমানবন্দরে। দেশের প্রতিটি এলাকায় সন্দেহভাজনদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে ওই সতর্ক বার্তা জারি করার পর সোমবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ‘র’-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বৈঠকে সারা দেশের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা হয়।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব অর্ধেন্দু সেন বলেন, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
লস্করের হামলার পরিকল্পনা: টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ (এনডিসি), গুজরাটের সোমনাথ মন্দির এবং মুম্বাইতে কয়েকজন চলচ্চিত্র তারকা ও শিবসেনা নেতার ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
সোমবার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শিকাগোর ব্যবসায়ী তাহাউউর হুসেইনের বিরুদ্ধে শিকাগোর ফেডারেল আদালতে করা হলফনামায় এ কথা বলা হয়েছে। সন্দেহভাজন পাকিস্তানি-মার্কিন জঙ্গি ডেডিভ কোলম্যান হেডলির সঙ্গে তাঁকে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারত ও ডেনমার্কে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে উপস্থাপন করা নতুন হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের আলাপচারিতায় হেডলি ও তাহাউউরের মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লক্ষ্যবস্তুগুলো হলো সোমনাথ মন্দির ও ডেনমার্ক এবং বলিউড ও শিবসেনা।
এফবিআই বলেছে, গ্রেপ্তার-পরবর্তী বিবৃতিতে তাহাউউর মিথ্যা দাবি করেছিল যে সম্ভাব্য ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্যই ওই নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাহাউউর ও হেডলির আলাপচারিতায় এনডিসিকে ‘লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে আলোচনা করা হয়। আগে আলোচিত লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে এনডিসিকেও যোগ করেছিলেন হেডলি।
মার্কিন আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, গত বছর মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলার সময় এলইটি সদস্যরা ‘চমত্কার কাজ’ করেছে বলে তাদের প্রশংসা করেছেন তাহাউউর।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, জনবহুল এলাকা, রেল ও বাসস্টেশন, বিমানবন্দর, পাতালরেল, ঐতিহাসিক স্থাপনা, বিপণিকেন্দ্র, হাসপাতাল, রাজনৈতিক দলের অফিস, প্রতিরক্ষা ভবন, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি, স্টক এক্সচেঞ্জ, সেতু, কলকাতায় মার্কিন কনসুলেট, বিনোদন পার্ক, পাঁচতারা হোটেল, বাজার এবং ধর্মীয় স্থানে আত্মঘাতী হামলা চালতে পারে তালেবান জঙ্গিরা।
আফগান ও পাখতুন নাগরিকদের চলাফেরার ওপর দৃষ্টি রাখতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জঙ্গিরা তাদের মধ্যে আত্মগোপন করে থাকতে পারে বলে সতর্ক বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্ক বার্তা জারির পর ভারতের সব কটি পারমাণবিক স্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সব বিমানবন্দরে। দেশের প্রতিটি এলাকায় সন্দেহভাজনদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে ওই সতর্ক বার্তা জারি করার পর সোমবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ‘র’-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বৈঠকে সারা দেশের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা হয়।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব অর্ধেন্দু সেন বলেন, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
লস্করের হামলার পরিকল্পনা: টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ (এনডিসি), গুজরাটের সোমনাথ মন্দির এবং মুম্বাইতে কয়েকজন চলচ্চিত্র তারকা ও শিবসেনা নেতার ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
সোমবার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শিকাগোর ব্যবসায়ী তাহাউউর হুসেইনের বিরুদ্ধে শিকাগোর ফেডারেল আদালতে করা হলফনামায় এ কথা বলা হয়েছে। সন্দেহভাজন পাকিস্তানি-মার্কিন জঙ্গি ডেডিভ কোলম্যান হেডলির সঙ্গে তাঁকে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারত ও ডেনমার্কে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে উপস্থাপন করা নতুন হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের আলাপচারিতায় হেডলি ও তাহাউউরের মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লক্ষ্যবস্তুগুলো হলো সোমনাথ মন্দির ও ডেনমার্ক এবং বলিউড ও শিবসেনা।
এফবিআই বলেছে, গ্রেপ্তার-পরবর্তী বিবৃতিতে তাহাউউর মিথ্যা দাবি করেছিল যে সম্ভাব্য ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্যই ওই নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাহাউউর ও হেডলির আলাপচারিতায় এনডিসিকে ‘লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে আলোচনা করা হয়। আগে আলোচিত লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে এনডিসিকেও যোগ করেছিলেন হেডলি।
মার্কিন আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, গত বছর মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলার সময় এলইটি সদস্যরা ‘চমত্কার কাজ’ করেছে বলে তাদের প্রশংসা করেছেন তাহাউউর।
No comments