বিজয়ের দিনে ক্রিকেটের উৎসব
একজন ছিলেন ক্রিকেটার, আরেকজন সংগঠক। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ তাঁদের নিয়ে এসেছিল একই কাতারে। তাঁরা দুজনই এখন শহীদ—শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মুস্তাক আহমেদ। প্রতি বছরের মতো এই দুই শহীদের স্মরণে ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজও হবে একটা ক্রিকেট ম্যাচ। খেলবে শহীদ জুয়েল একাদশ বনাম শহীদ মুস্তাক একাদশ। যে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সাল থেকেই।
মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জুয়েলের ক্রিকেটেও ছিল অপার সম্ভাবনা। আজাদ বয়েজ, মোহামেডানের ওপেনার হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাঁকে স্বপ্ন দেখাত টেস্ট অভিষেকের। কিন্তু সারা দেশে যখন বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা, মুক্তিকামী মানুষ যখন এক মুঠো স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রাখছে, কী করে বসে থাকেন অমন টগবগে তরুণ? খেলার চেয়েও যে বড় স্বাধীনভাবে খেলার অধিকার! ব্যাট ফেলে রাইফেল তুলে নিলেন হাতে। ঝাঁপিয়ে পড়লেন যুদ্ধে। কিন্তু যুদ্ধের ইনিংসটা আর শেষ করে যেতে পারলেন না। দিলু রোডে সহযোদ্ধা আজাদের বাসায় আরও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ের এক রাতে। বাকিটুকু কান্নাভেজা ইতিহাস...।
যে ইতিহাসের আরেকটা অংশ শহীদ মুস্তাক। জুয়েলের মতো ক্রিকেটার ছিলেন না, তবে ক্রিকেটারদের আশ্রয়স্থল ছিলেন এই ক্রিকেট সংগঠক। কলকাতার মানুষ হয়েও ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর ঢাকার ক্রিকেটে থেকে যান ছোটখাটো একজন ক্লাব কর্মকর্তা হয়ে। তবে ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্যাভিলিয়নে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে নিহত হলেন যখন, তত দিনে হয়ে উঠেছিলেন সফল এক সংগঠক। আজাদ বয়েজ ক্লাব প্রতিষ্ঠায় ছিল বড় অবদান। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ভাষায় শহীদ মুস্তাক ছিলেন ক্রিকেটারদের অভিভাবক, ‘আমাকে ক্রিকেটে নামিয়েছিলেন শহীদ মুস্তাকই। আমার ক্রিকেটের প্রথম অভিভাবক ছিলেন তিনি। ক্রিকেটের জন্য উত্সর্গকৃত ছিল তাঁর জীবন।’
শহীদ মুস্তাকের উত্তরসূরি ক্রিকেট সংগঠকেরাই আজকের বিজয় দিবস ক্রিকেটের আয়োজক। তাতে খেলবেন শহীদ জুয়েলের উত্তরসূরি ক্রিকেটাররা। তবে এ ম্যাচ বিজয় দিবস ক্রিকেটের আড়ালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিও। শহীদ জুয়েল একাদশ নামে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের মুখোমুখি হবে শহীদ মুস্তাক একাদশ, যে দলে আইসিএল-ফেরত ক্রিকেটারদের সঙ্গে আছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের অনেক খেলোয়াড়ই।
তবে খেলা কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির চেয়ে বিজয় দিবস ক্রিকেট বিজয়ের পতাকাটাকেই উঁচিয়ে ধরবে বেশি। এ দিন ঢাকার ক্রিকেট বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে ক্রিকেটীয় উত্সবে। শহীদ জুয়েল আর শহীদ মুস্তাকের বীরত্বে ১৬ ডিসেম্বর যে ক্রিকেটেরও বিজয়ের দিন!
মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জুয়েলের ক্রিকেটেও ছিল অপার সম্ভাবনা। আজাদ বয়েজ, মোহামেডানের ওপেনার হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাঁকে স্বপ্ন দেখাত টেস্ট অভিষেকের। কিন্তু সারা দেশে যখন বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা, মুক্তিকামী মানুষ যখন এক মুঠো স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রাখছে, কী করে বসে থাকেন অমন টগবগে তরুণ? খেলার চেয়েও যে বড় স্বাধীনভাবে খেলার অধিকার! ব্যাট ফেলে রাইফেল তুলে নিলেন হাতে। ঝাঁপিয়ে পড়লেন যুদ্ধে। কিন্তু যুদ্ধের ইনিংসটা আর শেষ করে যেতে পারলেন না। দিলু রোডে সহযোদ্ধা আজাদের বাসায় আরও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ের এক রাতে। বাকিটুকু কান্নাভেজা ইতিহাস...।
যে ইতিহাসের আরেকটা অংশ শহীদ মুস্তাক। জুয়েলের মতো ক্রিকেটার ছিলেন না, তবে ক্রিকেটারদের আশ্রয়স্থল ছিলেন এই ক্রিকেট সংগঠক। কলকাতার মানুষ হয়েও ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর ঢাকার ক্রিকেটে থেকে যান ছোটখাটো একজন ক্লাব কর্মকর্তা হয়ে। তবে ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্যাভিলিয়নে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে নিহত হলেন যখন, তত দিনে হয়ে উঠেছিলেন সফল এক সংগঠক। আজাদ বয়েজ ক্লাব প্রতিষ্ঠায় ছিল বড় অবদান। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ভাষায় শহীদ মুস্তাক ছিলেন ক্রিকেটারদের অভিভাবক, ‘আমাকে ক্রিকেটে নামিয়েছিলেন শহীদ মুস্তাকই। আমার ক্রিকেটের প্রথম অভিভাবক ছিলেন তিনি। ক্রিকেটের জন্য উত্সর্গকৃত ছিল তাঁর জীবন।’
শহীদ মুস্তাকের উত্তরসূরি ক্রিকেট সংগঠকেরাই আজকের বিজয় দিবস ক্রিকেটের আয়োজক। তাতে খেলবেন শহীদ জুয়েলের উত্তরসূরি ক্রিকেটাররা। তবে এ ম্যাচ বিজয় দিবস ক্রিকেটের আড়ালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিও। শহীদ জুয়েল একাদশ নামে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের মুখোমুখি হবে শহীদ মুস্তাক একাদশ, যে দলে আইসিএল-ফেরত ক্রিকেটারদের সঙ্গে আছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের অনেক খেলোয়াড়ই।
তবে খেলা কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির চেয়ে বিজয় দিবস ক্রিকেট বিজয়ের পতাকাটাকেই উঁচিয়ে ধরবে বেশি। এ দিন ঢাকার ক্রিকেট বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে ক্রিকেটীয় উত্সবে। শহীদ জুয়েল আর শহীদ মুস্তাকের বীরত্বে ১৬ ডিসেম্বর যে ক্রিকেটেরও বিজয়ের দিন!
No comments