ইসরায়েলি নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনি শিশুরা
আপনি শিশুদের ধরলেন, চোখ বাঁধলেন, হাতকড়া পরালেন। ভয়ে কাঁপছে তারা। মাঝেমধ্যে তাদের পা দুটোও বাঁধা হয়। এ কারণে তাদের শরীরে রক্তসঞ্চালন পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। চারপাশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও কিছু বুঝতে পারে না তারা। আপনি তাদের নিয়ে কী করতে যাচ্ছেন, তারা সেটা জানে না। তারা শুধু জানে, আপনারা সশস্ত্র সৈনিক। আপনারা মানুষ হত্যা করেন। সম্ভবত তারা এটাই ভাবে, তাদেরও আপনারা হত্যা করতে যাচ্ছেন।’
কথাগুলো অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি সেনা কমান্ডার ইরান ইফরাতির। বলছিলেন ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে। এভাবেই তিনি এসব শিশুর ওপর চালানো ইসরায়েলি সেনাদের নির্মম অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরলেন। পেশাগত জীবনে এই সেনা কমান্ডার মোতায়েন ছিলেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে।
ইফরাতি বলেন, এসব শিশু প্রায়ই ভয়ে প্যান্টের মধ্যে প্রস্রাব করে দিত। কান্নাকাটি করত। তবে তারা বেশ শান্ত থাকত।
পাথর ছোড়ার অভিযোগে আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালায় ইসরায়েলি সেনারা—এ অভিযোগ অকপটে স্বীকার করে নেন সাবেক এই ইসরায়েলি সেনা কমান্ডার। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটা সত্য।’
বিবিসিকে ইফরাতি বলেন, ‘আমি কখনোই ৯-১০ বছরের নিচে কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। তবে ১১, ১৩ বা ১৪ বছর বয়সীরাও আমার কাছে শিশু। কিন্তু তাদের বয়স্কদের মতোই গ্রেপ্তার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘অধিকৃত ভূখণ্ডে মোতায়েন করা সব ইসরায়েলি সেনাই আপনাকে একই গল্প শোনাতে পারবে। সেনাবাহিনী ছাড়ার পর প্রথম এক মাস আমি শিশুদের সম্পর্কে স্বপ্ন দেখতাম। ইহুদি শিশু। আরব শিশু। তারা আর্তনাদ করছে।’
ইফরাতি বলেন, ‘সম্ভবত তাদের চোখ বাঁধা হতো এ কারণে, যাতে তারা ঘাঁটির ভেতরটা দেখতে না পারে এবং আমরা কীভাবে কাজ করি, সেটা বুঝতে না পারে। তবে আমার ধারণা, আমরা হয়তো তাদের চোখ দেখতে চাই না বলেই চোখ বেঁধে রাখি। সে আপনার দিকে তাকাবে, নির্যাতন বন্ধ করার জন্য অনুনয় করবে অথবা আমাদের সামনে কান্নাকাটি করবে, তেমন কিছু আমরা দেখতে চাই না। আমরা যদি তাদের চোখ দেখতে না পাই, তাহলে কাজটি সহজ হবে।’
বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয় ইহুদি বসতি স্থাপনকারী অথবা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে। ফিলিস্তিনি তরুণদের মতে, ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এটাই একমাত্র পথ।
পাথর ছোড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোহাম্মদ বালাসির ১৫ বছর বয়সী সন্তানকে। ইসরায়েলি সামরিক ট্রাইব্যুনালে তার বিচার করা হচ্ছে।
আদালতে দোষ স্বীকার করেছে মোহাম্মদ বালাসির ছেলে। পশ্চিম তীরে একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটির সামনে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ বালাসি ও তাঁর কান্নারত স্ত্রী বললেন, ‘আপনাকে যখন এভাবে প্রহার করা হবে, তখন আপনি নিজের মায়ের বিরুদ্ধেও স্বীকারোক্তি দেবেন। সে এখনো শিশু। তার বন্ধুরা যখন রাস্তায় খেলছে, তখন তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। আমি আদালতে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। আমার হূদয় ফেটে যাচ্ছিল।’
মাত্র ১৩ বছর বয়সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোহাম্মদ খোওয়াজাকে। সে জানায়, ‘তারা ঘাড় ধরে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। আমি যতই কাঁদছিলাম, ততই তারা আমার ঘাড় চেপে ধরছিল। আমার হাঁটু থেকে রক্ত ঝরছিল। তারা বন্দুক দিয়ে আমাকে পেটাচ্ছিল। জিপে তোলা পর্যন্ত পুরোটা পথে আমাকে তারা লাথি মেরেছে। তারা আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। আমার চোখও বেঁধে ফেলা হয়। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আমাকে এক জায়গায় ফেলে রাখে। আমার মনে হয়েছিল আমি মারা যাচ্ছি।
কথাগুলো অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি সেনা কমান্ডার ইরান ইফরাতির। বলছিলেন ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে। এভাবেই তিনি এসব শিশুর ওপর চালানো ইসরায়েলি সেনাদের নির্মম অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরলেন। পেশাগত জীবনে এই সেনা কমান্ডার মোতায়েন ছিলেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে।
ইফরাতি বলেন, এসব শিশু প্রায়ই ভয়ে প্যান্টের মধ্যে প্রস্রাব করে দিত। কান্নাকাটি করত। তবে তারা বেশ শান্ত থাকত।
পাথর ছোড়ার অভিযোগে আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালায় ইসরায়েলি সেনারা—এ অভিযোগ অকপটে স্বীকার করে নেন সাবেক এই ইসরায়েলি সেনা কমান্ডার। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটা সত্য।’
বিবিসিকে ইফরাতি বলেন, ‘আমি কখনোই ৯-১০ বছরের নিচে কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। তবে ১১, ১৩ বা ১৪ বছর বয়সীরাও আমার কাছে শিশু। কিন্তু তাদের বয়স্কদের মতোই গ্রেপ্তার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘অধিকৃত ভূখণ্ডে মোতায়েন করা সব ইসরায়েলি সেনাই আপনাকে একই গল্প শোনাতে পারবে। সেনাবাহিনী ছাড়ার পর প্রথম এক মাস আমি শিশুদের সম্পর্কে স্বপ্ন দেখতাম। ইহুদি শিশু। আরব শিশু। তারা আর্তনাদ করছে।’
ইফরাতি বলেন, ‘সম্ভবত তাদের চোখ বাঁধা হতো এ কারণে, যাতে তারা ঘাঁটির ভেতরটা দেখতে না পারে এবং আমরা কীভাবে কাজ করি, সেটা বুঝতে না পারে। তবে আমার ধারণা, আমরা হয়তো তাদের চোখ দেখতে চাই না বলেই চোখ বেঁধে রাখি। সে আপনার দিকে তাকাবে, নির্যাতন বন্ধ করার জন্য অনুনয় করবে অথবা আমাদের সামনে কান্নাকাটি করবে, তেমন কিছু আমরা দেখতে চাই না। আমরা যদি তাদের চোখ দেখতে না পাই, তাহলে কাজটি সহজ হবে।’
বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয় ইহুদি বসতি স্থাপনকারী অথবা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে। ফিলিস্তিনি তরুণদের মতে, ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এটাই একমাত্র পথ।
পাথর ছোড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোহাম্মদ বালাসির ১৫ বছর বয়সী সন্তানকে। ইসরায়েলি সামরিক ট্রাইব্যুনালে তার বিচার করা হচ্ছে।
আদালতে দোষ স্বীকার করেছে মোহাম্মদ বালাসির ছেলে। পশ্চিম তীরে একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটির সামনে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ বালাসি ও তাঁর কান্নারত স্ত্রী বললেন, ‘আপনাকে যখন এভাবে প্রহার করা হবে, তখন আপনি নিজের মায়ের বিরুদ্ধেও স্বীকারোক্তি দেবেন। সে এখনো শিশু। তার বন্ধুরা যখন রাস্তায় খেলছে, তখন তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। আমি আদালতে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। আমার হূদয় ফেটে যাচ্ছিল।’
মাত্র ১৩ বছর বয়সে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোহাম্মদ খোওয়াজাকে। সে জানায়, ‘তারা ঘাড় ধরে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। আমি যতই কাঁদছিলাম, ততই তারা আমার ঘাড় চেপে ধরছিল। আমার হাঁটু থেকে রক্ত ঝরছিল। তারা বন্দুক দিয়ে আমাকে পেটাচ্ছিল। জিপে তোলা পর্যন্ত পুরোটা পথে আমাকে তারা লাথি মেরেছে। তারা আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। আমার চোখও বেঁধে ফেলা হয়। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আমাকে এক জায়গায় ফেলে রাখে। আমার মনে হয়েছিল আমি মারা যাচ্ছি।
No comments