সোমালিয়ায় মার্কিন সেনা অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা নিহত
আফ্রিকার সহিংসতাপূর্ণ দেশ সোমালিয়ায় মার্কিন সেনাদের হামলায় আল-কায়েদার একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নিহত হয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে। ওই জঙ্গি নেতা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফবিআইয়ের একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। কয়েক বছর ধরে মার্কিন সেনারা তাঁকে খুঁজছিল।
গত সোমবার সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন সেনারা বিশেষ অভিযান চালিয়ে কেনীয় বংশোদ্ভূত ওই জঙ্গি নেতাকে হত্যা করে। তাঁর নাম সালেহ আলী সালেহ নাভান। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং সোমালিয়া সরকারের কয়েকটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০০২ সালে কেনিয়ায় ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি হোটেলে হামলার জন্য জঙ্গি নেতা নাভানকে দায়ী করা হয়। ওই হামলায় ১৫ ব্যক্তি মারা যায়। একই বছর ইসরায়েলের একটি বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্যও তাঁকে দায়ী করা হয়।
সোমালিয়ার চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী আল-শাহাব তাদের নেতাকে হত্যার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, মুসলমানরা এ হত্যার পাল্টা জবাব দেবেই। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ইসলামের চিরন্তন শত্রু। আমরা তাদের কাছ থেকে কখনোই ক্ষমা আশা করতে পারি না। আর তাদেরও আমাদের কাছ থেকে কখনো ক্ষমা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না।’
সোমালিয়া সরকারের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, গত সোমবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানী মোগাদিসুর ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে বারাবি জেলার এরিল গ্রামে জঙ্গি নেতা নাভান কয়েকজন বিদেশি সহযোদ্ধা নিয়ে একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মার্কিন সেনারা একটি হেলিকপ্টার থেকে ওই গাড়িতে গোলা ছোড়ে। এতে জঙ্গি নেতা নাভান ও তাঁর চার বিদেশি কমান্ডার নিহত হন। নাভানের মরদেহ বর্তমানে মার্কিন সেনাদের হেফাজতে রয়েছে।
মোগাদিসুতে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের হাতে একজন ফরাসি নিরাপত্তা উপদেষ্টা অপহূত হন। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর এ অভিযান চালানো হলো। ওই ফরাসি উপদেষ্টা পরে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে বিদ্রোহীদের হাতে এখনো আরও একজন ফরাসি নিরাপত্তা উপদেষ্টা জিম্মি রয়েছেন। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, নাভানকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে বিদ্রোহীরা এখন তাঁকে মেরে ফেলতে পারে।
সোমালিয়া সরকারের কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে, নাভানের বিরুদ্ধে অভিযানে ছয়টি হেলিকপ্টার অংশ নেয় এবং তারা দুটি গাড়ির ওপর হামলা চালায়।
এ অভিযানের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছে এমন কয়েকটি মার্কিন সূত্র বলেছে, তাদের বিশ্বাস, সোমবারের অভিযানে জঙ্গি নেতা নাভান মারা গেছেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রায়ান হোয়াইটম্যান অবশ্য এ অভিযানের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেছে, এ অভিযানে ফরাসি সেনারাও অংশ নিয়েছে। তবে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা নাভান ২০০২ সালে কেনিয়ায় ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি হোটেলে হামলার পরপরই সোমালিয়ায় পালিয়ে আসেন। কেনিয়ার কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, ১৯৯৮ সালে আফ্রিকার দুটি দেশে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পেছনেও নাভানের হাত রয়েছে।
সোমালিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল-শাহাবের সঙ্গে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি। তাঁরা বলছেন, আল-শাহাব সোমালিয়ায় আল-কায়েদার হয়ে কাজ করছে।
গত সোমবার সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন সেনারা বিশেষ অভিযান চালিয়ে কেনীয় বংশোদ্ভূত ওই জঙ্গি নেতাকে হত্যা করে। তাঁর নাম সালেহ আলী সালেহ নাভান। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং সোমালিয়া সরকারের কয়েকটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০০২ সালে কেনিয়ায় ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি হোটেলে হামলার জন্য জঙ্গি নেতা নাভানকে দায়ী করা হয়। ওই হামলায় ১৫ ব্যক্তি মারা যায়। একই বছর ইসরায়েলের একটি বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্যও তাঁকে দায়ী করা হয়।
সোমালিয়ার চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী আল-শাহাব তাদের নেতাকে হত্যার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, মুসলমানরা এ হত্যার পাল্টা জবাব দেবেই। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ইসলামের চিরন্তন শত্রু। আমরা তাদের কাছ থেকে কখনোই ক্ষমা আশা করতে পারি না। আর তাদেরও আমাদের কাছ থেকে কখনো ক্ষমা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না।’
সোমালিয়া সরকারের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, গত সোমবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানী মোগাদিসুর ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে বারাবি জেলার এরিল গ্রামে জঙ্গি নেতা নাভান কয়েকজন বিদেশি সহযোদ্ধা নিয়ে একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মার্কিন সেনারা একটি হেলিকপ্টার থেকে ওই গাড়িতে গোলা ছোড়ে। এতে জঙ্গি নেতা নাভান ও তাঁর চার বিদেশি কমান্ডার নিহত হন। নাভানের মরদেহ বর্তমানে মার্কিন সেনাদের হেফাজতে রয়েছে।
মোগাদিসুতে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের হাতে একজন ফরাসি নিরাপত্তা উপদেষ্টা অপহূত হন। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর এ অভিযান চালানো হলো। ওই ফরাসি উপদেষ্টা পরে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে বিদ্রোহীদের হাতে এখনো আরও একজন ফরাসি নিরাপত্তা উপদেষ্টা জিম্মি রয়েছেন। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, নাভানকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে বিদ্রোহীরা এখন তাঁকে মেরে ফেলতে পারে।
সোমালিয়া সরকারের কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে, নাভানের বিরুদ্ধে অভিযানে ছয়টি হেলিকপ্টার অংশ নেয় এবং তারা দুটি গাড়ির ওপর হামলা চালায়।
এ অভিযানের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছে এমন কয়েকটি মার্কিন সূত্র বলেছে, তাদের বিশ্বাস, সোমবারের অভিযানে জঙ্গি নেতা নাভান মারা গেছেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রায়ান হোয়াইটম্যান অবশ্য এ অভিযানের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেছে, এ অভিযানে ফরাসি সেনারাও অংশ নিয়েছে। তবে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা নাভান ২০০২ সালে কেনিয়ায় ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি হোটেলে হামলার পরপরই সোমালিয়ায় পালিয়ে আসেন। কেনিয়ার কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, ১৯৯৮ সালে আফ্রিকার দুটি দেশে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পেছনেও নাভানের হাত রয়েছে।
সোমালিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল-শাহাবের সঙ্গে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি। তাঁরা বলছেন, আল-শাহাব সোমালিয়ায় আল-কায়েদার হয়ে কাজ করছে।
No comments