বিরোধী দল সংসদে ফিরে আসুক -সংসদকে প্রাণবন্ত করুন
নবম জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোর সাংসদেরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না, কিন্তু সাংসদ হিসেবে প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধাই তাঁরা নিচ্ছেন। প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এর বিবরণ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে তাঁদের বিদেশভ্রমণ এবং এর মাধ্যমে আর্থিক ও অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো ভোগ করার তথ্য রয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এ ছাড়া সাংসদদের আবাসন-সুবিধা, নিয়মিত বেতন-ভাতা ইত্যাদি সুবিধাও তাঁরা নিচ্ছেন। প্রথম অধিবেশনের পর থেকে পাঁচ মাস ধরে সংসদ অধিবেশন বর্জন করে চলেছেন বলে তাঁদের কেউ যে এসব সুযোগ-সুবিধা নেওয়া থেকে বিরত হয়েছেন, এমন তথ্য নেই।
এবারই যে প্রথম এমনটি ঘটছে, তা মোটেও নয়। অতীতেও একইভাবে বিরোধীদলীয় সাংসদদের অধিবেশনের পর অধিবেশন বর্জন চলেছে, কিন্তু সব সুযোগ-সুবিধাই তাঁরা ভোগ করেছেন। বরং এবার কিছু ব্যতিক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন, অধিবেশন বর্জন করলেও বিরোধীদলীয় সাংসদেরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভায় অংশ নিচ্ছেন, মতামত দিচ্ছেন। ফলে পরোক্ষভাবে এবং কিছু মাত্রায় হলেও সংসদীয় কার্যক্রমে তাঁরা ভূমিকা রাখছেন। এটি বেশ ইতিবাচক একটি অনুশীলন। কেননা, এর মধ্য দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কিছুটা হলেও দায়িত্বশীলতার প্রকাশ ঘটছে।
তবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভায় যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাংসদদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার নয়। সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় বিষয়ে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়া, মতামত প্রকাশ করা, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উত্থাপন করে জবাবদিহির পথ প্রশস্ত করা—সব সাংসদেরই উচিত এই দায়িত্বগুলো পালন করা এবং এর কোনো বিকল্পই নেই। বিরোধী দলের সাংসদেরা বর্তমান সংসদের শুধু প্রথম অধিবেশনটিতেই উপস্থিত ছিলেন। তারপর অতি গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশনে তাঁরা ছিলেন না; যোগ দেননি সম্প্রতি মুলতবি হওয়া অধিবেশনেও। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অধিবেশন আবার শুরু হলে সেটিতেও তাঁরা অংশ নেবেন কি না, তা জানা যায়নি। বিদেশভ্রমণসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি এভাবে অধিবেশনের পর অধিবেশন বর্জন করা শোভনীয় নয়।
সেনাকুঞ্জের ইফতার পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া এক টেবিলে ইফতার করেছেন, তাঁদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সংসদে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারপর আর কোনো সুসংবাদ নেই। আসলে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে যোগাযোগ অপরিহার্য, আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা অনুপস্থিত। উভয় পক্ষ মাঠে-ময়দানে, সভা-সেমিনারে, সংবাদমাধ্যমে পরোক্ষভাবে পরস্পরের উদ্দেশে নানা ধরনের কথা বলে, কিন্তু সরাসরি সংলাপের উদ্যোগ নেয় না। এভাবে তো গণতন্ত্র ফলপ্রসূ হওয়ার নয়।
সংসদীয় গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে হলে সংসদ অধিবেশনে সব দলের সাংসদদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমরা আশা করব, অক্টোবরে অধিবেশন আবার শুরু হলে বিএনপিসহ সব দলের সাংসদেরা অংশ নেবেন। বাদ-প্রতিবাদ, তর্ক-বিতর্ক যা কিছুই হোক না কেন, সাংসদেরা তা করবেন অধিবেশনে হাজির হয়ে। এটাই শোভন, এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি। জনগণের প্রত্যাশাও তাই। আমরা একটি প্রাণবন্ত সংসদ দেখতে চাই।
এবারই যে প্রথম এমনটি ঘটছে, তা মোটেও নয়। অতীতেও একইভাবে বিরোধীদলীয় সাংসদদের অধিবেশনের পর অধিবেশন বর্জন চলেছে, কিন্তু সব সুযোগ-সুবিধাই তাঁরা ভোগ করেছেন। বরং এবার কিছু ব্যতিক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন, অধিবেশন বর্জন করলেও বিরোধীদলীয় সাংসদেরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভায় অংশ নিচ্ছেন, মতামত দিচ্ছেন। ফলে পরোক্ষভাবে এবং কিছু মাত্রায় হলেও সংসদীয় কার্যক্রমে তাঁরা ভূমিকা রাখছেন। এটি বেশ ইতিবাচক একটি অনুশীলন। কেননা, এর মধ্য দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কিছুটা হলেও দায়িত্বশীলতার প্রকাশ ঘটছে।
তবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভায় যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাংসদদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার নয়। সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় বিষয়ে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়া, মতামত প্রকাশ করা, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উত্থাপন করে জবাবদিহির পথ প্রশস্ত করা—সব সাংসদেরই উচিত এই দায়িত্বগুলো পালন করা এবং এর কোনো বিকল্পই নেই। বিরোধী দলের সাংসদেরা বর্তমান সংসদের শুধু প্রথম অধিবেশনটিতেই উপস্থিত ছিলেন। তারপর অতি গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশনে তাঁরা ছিলেন না; যোগ দেননি সম্প্রতি মুলতবি হওয়া অধিবেশনেও। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অধিবেশন আবার শুরু হলে সেটিতেও তাঁরা অংশ নেবেন কি না, তা জানা যায়নি। বিদেশভ্রমণসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি এভাবে অধিবেশনের পর অধিবেশন বর্জন করা শোভনীয় নয়।
সেনাকুঞ্জের ইফতার পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া এক টেবিলে ইফতার করেছেন, তাঁদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সংসদে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারপর আর কোনো সুসংবাদ নেই। আসলে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে যোগাযোগ অপরিহার্য, আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা অনুপস্থিত। উভয় পক্ষ মাঠে-ময়দানে, সভা-সেমিনারে, সংবাদমাধ্যমে পরোক্ষভাবে পরস্পরের উদ্দেশে নানা ধরনের কথা বলে, কিন্তু সরাসরি সংলাপের উদ্যোগ নেয় না। এভাবে তো গণতন্ত্র ফলপ্রসূ হওয়ার নয়।
সংসদীয় গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে হলে সংসদ অধিবেশনে সব দলের সাংসদদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমরা আশা করব, অক্টোবরে অধিবেশন আবার শুরু হলে বিএনপিসহ সব দলের সাংসদেরা অংশ নেবেন। বাদ-প্রতিবাদ, তর্ক-বিতর্ক যা কিছুই হোক না কেন, সাংসদেরা তা করবেন অধিবেশনে হাজির হয়ে। এটাই শোভন, এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি। জনগণের প্রত্যাশাও তাই। আমরা একটি প্রাণবন্ত সংসদ দেখতে চাই।
No comments