প্রতিমন্ত্রীর জন্য কত তোরণ -এসব বন্ধ করুন
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির যাবেন তাঁর নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহের গৌরীপুর সফরে। এই খবরে এলাকায় সাজ সাজ রব। যে পথ দিয়ে তিনি যাবেন, সেই পথে পাঁচ দিন আগে শুরু হয় তোরণ বানানোর উত্সব। প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তায় তৈরি হয় পাঁচ শতাধিক তোরণ। আর শনিবার যখন প্রতিমন্ত্রী এলাকায় পৌঁছান, প্রবেশের মুখে চায়না মোড়ে তাঁকে স্বাগত জানায় প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের এক বিশাল বহর।
কেন, কী উদ্দেশ্যে, কাদের উদ্যোগে ও খরচে এসব আড়ম্বরের আতিশয্য? আর সফরের পাঁচ দিন আগেই তোরণগুলো বানানো শুরু হয়েছে—এই খবর কি প্রতিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায়নি? যদি পৌঁছে থাকে, তাহলে তিনি এগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেননি কেন? আর যদি তিনি খবর না পেয়ে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, প্রতিমন্ত্রীর সফরের স্থান ও সেখানে যাওয়ার পথের অবস্থা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা কি কোনো প্রতিবেদন দেয়নি? আর এটাও একটা প্রশ্ন যে সড়ক-মহাসড়কের যেখানে-সেখানে যে-কেউ ইচ্ছা করলেই কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে কি না। এটাও কি দেখার কেউ ছিল না?
তোরণগুলো তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে। এর মধ্যে যেমন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উচ্চাভিলাষী কিছু নেতা আছেন, যাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত নাম ব্যবহার করে তোরণ বানিয়েছেন; তেমনি আছে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাব, মন্দির কমিটি, মাদ্রাসা কমিটি প্রভৃতি। প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, তাই ওই এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিপণন প্রতিনিধিরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কী উদ্দেশ্য বা মানসিকতা কাজ করে এসবের পেছনে? যাঁরা এসব করেছেন বা করেন, তাঁরা কোনো না কোনোভাবে সুযোগ-সুবিধালাভের প্রত্যাশা বা চেষ্টায় থাকেন।
এ রকম ঘটনা আগে অনেক ঘটত। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এই প্রবণতা ছিল। মন্ত্রী-সাংসদের স্বাগত-সংবর্ধনা জানাতে তোরণ বানানোর মচ্ছব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছিল বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে। নানা রকমের পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি শোনা গেছে, এখনো শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সত্যিকারের পরিবর্তন আসছে বলে মনে হচ্ছে না। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু তাঁদের চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রবণতায় পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে না।
গৌরীপুরে প্রতিমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তোরণ তৈরির এই মচ্ছবের আগে একই ধরনের ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন জয়পুরহাটের কালাই এলাকার আওয়ামী লীগের এক নেতা, যিনি এবারের জাতীয় কাউন্সিলে দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে এই নেতিবাচক প্রবণতা নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল বা সরকারের নেতারা এসব বন্ধ করার কোনো নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যদি এ বিষয়ে এমন একটা বার্তা তাঁর দলের নেতা-কর্মী ও সরকারের মন্ত্রী-সাংসদদের উদ্দেশে জানিয়ে দেন যে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া উচিত, তাহলে এই প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। নেতা-কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তনও খুব জরুরি।
কেন, কী উদ্দেশ্যে, কাদের উদ্যোগে ও খরচে এসব আড়ম্বরের আতিশয্য? আর সফরের পাঁচ দিন আগেই তোরণগুলো বানানো শুরু হয়েছে—এই খবর কি প্রতিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায়নি? যদি পৌঁছে থাকে, তাহলে তিনি এগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেননি কেন? আর যদি তিনি খবর না পেয়ে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, প্রতিমন্ত্রীর সফরের স্থান ও সেখানে যাওয়ার পথের অবস্থা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা কি কোনো প্রতিবেদন দেয়নি? আর এটাও একটা প্রশ্ন যে সড়ক-মহাসড়কের যেখানে-সেখানে যে-কেউ ইচ্ছা করলেই কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে কি না। এটাও কি দেখার কেউ ছিল না?
তোরণগুলো তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে। এর মধ্যে যেমন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উচ্চাভিলাষী কিছু নেতা আছেন, যাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত নাম ব্যবহার করে তোরণ বানিয়েছেন; তেমনি আছে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাব, মন্দির কমিটি, মাদ্রাসা কমিটি প্রভৃতি। প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, তাই ওই এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিপণন প্রতিনিধিরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কী উদ্দেশ্য বা মানসিকতা কাজ করে এসবের পেছনে? যাঁরা এসব করেছেন বা করেন, তাঁরা কোনো না কোনোভাবে সুযোগ-সুবিধালাভের প্রত্যাশা বা চেষ্টায় থাকেন।
এ রকম ঘটনা আগে অনেক ঘটত। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এই প্রবণতা ছিল। মন্ত্রী-সাংসদের স্বাগত-সংবর্ধনা জানাতে তোরণ বানানোর মচ্ছব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছিল বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে। নানা রকমের পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি শোনা গেছে, এখনো শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সত্যিকারের পরিবর্তন আসছে বলে মনে হচ্ছে না। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু তাঁদের চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রবণতায় পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে না।
গৌরীপুরে প্রতিমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তোরণ তৈরির এই মচ্ছবের আগে একই ধরনের ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন জয়পুরহাটের কালাই এলাকার আওয়ামী লীগের এক নেতা, যিনি এবারের জাতীয় কাউন্সিলে দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে এই নেতিবাচক প্রবণতা নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল বা সরকারের নেতারা এসব বন্ধ করার কোনো নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যদি এ বিষয়ে এমন একটা বার্তা তাঁর দলের নেতা-কর্মী ও সরকারের মন্ত্রী-সাংসদদের উদ্দেশে জানিয়ে দেন যে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া উচিত, তাহলে এই প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। নেতা-কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তনও খুব জরুরি।
No comments