ভুপাল কার্বাইডের বিষাক্ত বর্জ্য নিয়ে আতঙ্ক

পূর্বে ভুপাল পরবর্তীতে পিথারামপুর উভয় জায়গাতেই দেখা দিয়েছে ইউনিয়ন কার্বাইডের বিষাক্ত বর্জ্য নিয়ে আতঙ্ক। তিন সপ্তাহ আগে ভুপাল থেকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য ৩৭৭ টন বিষাক্ত বর্জ্য সরিয়ে নেয়া হয় ভারতের শিল্পএলাকা পিথারামপুরে। এরপর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা। ওই শহরে এই বর্জ্য পৌঁছে ৩রা জানুয়ারি। এদিনই সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা দেয়। তা থেকে ইটপাথর নিক্ষেপ করা হয়। কেউ কেউ নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করেন। এরপর থেকে ওই এলাকা জুড়ে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরও স্থানীয়দের আতঙ্ক প্রশমিত হয়নি। তারা মনে করছেন, এই বিষাক্ত পদার্থের কারণে তারা ভুগবেন। তবে এসব বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রায় ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুুলিশ। এ তথ্য দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। উল্লেখ্য, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ ও কখনও ক্ষয় হয় না এমন রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও প্রায় পাঁচ ধরনের বিষাক্ত উপাদান ছিল ওই বর্জ্যে। কয়েক যুগ ধরে আশপাশের এলাকার পরিবেশ দূষিত করেছে এসব বর্জ্য। ফলে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকি। তবে পিথারামপুরে আনা বিপজ্জনক ওই বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। সিনিয়র কর্মকর্তা স্বতন্ত্র কুমার বলেন, ১২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস (২,১৯২ ফারহেনাইট) তাপমাত্রায় তিন মাসে এসব বর্জ্য পোড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, চার স্তরের ফিল্টারের মাধ্যমে ধোঁয়া শুদ্ধ করা হবে। দুই স্তরের পর্দার মাধ্যমে অবশিষ্টাংশ পোড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা মাটিতে পোঁতা হবে। যাতে মাটি ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দূষিত না হয়। মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবও এ প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে ভিন্ন মত প্রদর্শন করছেন। সুবাশ সি পাণ্ডে বিশ্বাস করেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় করা হলে এতে কোনো ঝুঁকি নেই। তবে শ্যামলা মানি ও অন্যরা ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনের তাগিদ দিয়েছেন। মিস মানি জৈব অণুজীব ব্যবহার করে বর্জ্যের ক্ষতিকর পদার্থ ভেঙ্গে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.