বিয়ের আগেই কেন মেয়েদের জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা নিতে হবে by রাফিয়া আলম
সরকারি উদ্যোগেই মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা দেওয়া হলে সব থেকে বেশি কার্যকর হয়।
তাহলে এই বয়স যাঁদের পেরিয়ে গেছে, তাঁরা কি জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নিতে পারবেন না? আর নিলে কি কোনো কাজে আসবে? জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা প্রসঙ্গে জানালেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. ফারজানা রশীদ।
বয়সটা কেন গুরুত্বপূর্ণ
যৌনসংসর্গের মাধ্যমে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ছড়ায়। তাই বিয়ের আগেই এই টিকা গ্রহণ করা জরুরি। ১৪ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও এই টিকা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে চেষ্টা করতে হবে, যেন বিয়ের আগেই নেওয়া হয়।
কারণ, যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠলে একজন নারী এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারেন। তখন এই টিকা নেওয়া সত্ত্বেও ক্যানসার থেকে সুরক্ষিত তিনি না-ও থাকতে পারেন। তাই ১৪ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কন্যাশিশুদের অভিভাবকদেরও এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
বিয়ের পর টিকা নেওয়া যাবে কি না
বিয়ের পরও যে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নেওয়া যাবে না, তা অবশ্য নয়। তবে বিয়ের পর এই টিকা নিতে হলে আগে একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষা করাতে হয়। এই পরীক্ষার নাম প্যাপ স্মিয়ার।
টিকা নেওয়ার আগেই জরায়ুমুখের কোষে কোনো অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হয়েছে কি না, তা নির্ণয় করাই এর উদ্দেশ্য। প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসক জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
আরও যা জানা প্রয়োজন
অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়কালে একজন নারীর জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা না নেওয়াই ভালো। কোনো টিকা নেওয়ার ফলে আগে যাঁদের অ্যালার্জির মতো কোনো সমস্যা হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।
তবে যে কারও জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নেওয়ার পর জ্বর, গায়ে ব্যথা, বমিভাব কিংবা বমির মতো কিছু সমস্যা হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই।
![]() |
৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা দেওয়া ভালো। প্রতীকী ছবি |
No comments