পেহলু খান মারা গেছে হৃদরোগে, সম্ভবত গরুর গোশত খাওয়াতে তার এমন অবস্থা হয়েছিল by জয়নাব সিকান্দার
পেহলু খান মারা গেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
সম্ভবত তার গরুর গোশত খাওয়ার অভ্যাসের কারণে এমনটা হয়েছে। তিনি যদি পবিত্র গোশত না খেতেন, তবে ৫৫ বছর বয়সেও ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাজস্থানের আলওয়ারে গোরক্ষাকারীদের লাঠি আর রডের প্রহার আরো ভালোভাবে হজম করতে পারতেন। কোলেস্টরলে হয় হৃদরোগ। আর গরু-সম্পর্কিত পেটানোর বাস্তব ঘটনার আলোকে আমি বিশ্বাস করি যে গরুর গোশতের অভিশাপেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের বর্তমান পরিবেশে এবং দাঙ্গাবাজদের সহিংসতা সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় উপনীত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি নিয়ে ভয়ঙ্কর চিন্তা আমার মনে ভর করেছে। কিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হওয়া কোনো ব্যক্তি (সামাজিক মাধ্যমে যে অপরাধটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে) ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন?
শিকার ব্যক্তিকে অবশ্যই অপদস্ত হতে হবে
আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে পেহলু খান ছিলেন ভুল। রাকবর খান, মোহাম্মদ আখলাক এবং অন্য আরো অনেকের (যাদের নাম গরুকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো বলে মনে হবে না) মতো পেহলুরও অপদস্ত হওয়া যৌক্তিক ছিল। যদিও জয়পুরের গরুর হাট থেকে গরু কেনার নথিপত্র পেহলু খানের কাছে ছিল, কিন্তু আমি নিজেকে বোঝাতে চাই যে তার নিয়ত ভালো ছিল না। তিনি গরুগুলোর কী গতি করতেন তা কি কেউ জানে? তিনি কি রাতের আঁধারে এগুলোকে হত্যা করতেন না? সেগুলো রান্না করে বা কাবাব বানিয়ে খেতেন না? তাই যদি হবে তবে তথাকথিত গোরক্ষকেরা তো, যারা দলবেঁধে চলাচল করে, তারা তো ঠিইই করেছে। তারা ছিল সত্যনিষ্ঠ মিশনে, ঐশী ইচ্ছায় তারা সাড়া দিয়েছে।
এমনটা না হলে কেন গোরক্ষকরা কেন সবসময় বিজয়ী দলে থাকবে? ঐশী আলোতেই তারা নিজেদের পথ দেখে, পবিত্র গরুর ক্ষতি করে এমন ব্যক্তিদের হত্যা করে একেবারে ঠিক কাজটিই করে। গোরক্ষার জন্য অভিযুক্ত ছয়জনের আদালতের বাইরে দেয়া স্লোগান শুনেছেন? ‘ভারত মাতা কি জয়!’ ভারত ও এর বিচারব্যবস্থা দীর্ঘজীবী হোক।
অনেক ভুল পেহলু খানের
তবে বিচার কিন্তু অন্ধ নয়। বিচার থাকে কাগজে-কলমে। আমার সহানুভূতি পেহলু খানের প্রতি নয়, ভারতের বিচারব্যবস্থার প্রতি। তিনি যদি নিজেই নিজের খুনের ব্যবস্থা করে থাকেন, তবে কী করার আছে? এটা কি একজন সাইকোপ্যাথের ভয়াবহ ইচ্ছা নয়?
কিন্তু পেহলু খান তা না করে থাকলেও তার বয়স ও বিস্মৃতপরায়ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা কি সফলভাবে যুক্তি তুলে ধরেননি যে পেহলু খান পুলিশের কাছে দেয়া তার প্রথম বিবৃতিতে হামলাকারীদের নাম বলতে পারেননি? ফলে পাঁজরের কয়েকটা হাড় ভাঙ্গার পর যদি ফুসফুসে পানি আসার কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকলে তা কি কোনো ব্যাপার?
মৃত্যুর সময় দেয়া বক্তব্যে পেহলু খান তার খুনিদের নাম বলে গিয়েছিল। কিন্তু তা তো যথেষ্ট নয়। চিকিৎসক তার বিবৃতি দেয়ার মতো অবস্থা আছে কিনা সে সার্টিফিকেট ছাড়াই বেহরর থানার কর্মকর্তা রমেশ সিনসিনওয়ার তার বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন। আদালতে কাজে লাগবে, এমন করে তিনি সাক্ষী দিতে পারেননি। এটা তার ব্যর্থতা।
এমনকি তার খুনের ভিডিও, যেখানে পরিষ্কারভাবে হামলাকারীদের দেখা যাচ্ছে, কাজে লাগল না, পেহলু খান ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে তা প্রত্যায়ন করতে না পারায়। কাজটি ছিল তদন্ত কর্মকর্তার। কিন্তু তিনি দুই বছরের মধ্যেও তা করতে পারেননি। এতে কি আমি বিস্মিত? না। একে বলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ। আচ্ছা পেহলু খানের পরিবার কি ভিডিওটি এডিট করেছিল? অসম্ভব কি?
তাছাড়া আমার মনে হচ্ছে, পেহলু খান ঠিকভাবে মারাও যেতে পারেননি। তিনি চিকিৎসকদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন। তার ময়না তদন্তে দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন আহত হয়ে। আবার এক সরকারি চিকিৎসক বলতে চেয়েছেন তিনি মারা গেছেন হৃদরোগে। এই চিকিৎসক আরো বলতে চেয়েছেন যে ট্রাকে গরু ওঠানোর সময় গরুর সাথে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন পেহলু। কী গোলকধাঁধা।
পেহলু খান যা কখনো পাবেন না
পেহলু খানের সবচেয়ে বড় পাপ হলো এই যে তিনি ভারতীয়দের সহানুভূতি আদায় করতে পারেননি। তার মধ্যে এমন কিছু ছিল যার ফলে তিনি এমনকি ৪৪ জন সাক্ষীর একজনকেও আদালতে হাজির করতে পারেননি। ভিডিওটি ধারণকারী দিল্লির কনস্টেবল পর্যন্ত তার প্রতি বৈরী হয়ে পড়েছিলেন। এনডিটিভির স্টিং অপারেশনে এক হত্যাকারীর গর্ব করে স্বীকারোক্তি প্রদানও যথেষ্ট ছিল না। ওইসব সাংবাদিক দেশবিরোধী। আমাদের উচিত হবে না তাদের কথা বিশ্বাস করা।
পিটিয়ে হত্যার যেসব খবর ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে পেহলু খানেরটি তার অন্যতম। প্রাইমটাইমেও এক্সক্লুসিভ ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। সবাই আতঙ্কিত হয়ে তা দেখেছে। সামাজিক মডেল বদলে গেছে। একসময় ‘ক্রাইম পেট্রোলে’ বিচার পাওয়ার কথা বলা হতো। এখন টিভিতে খুনিদের দেখা যায়। আমাদের মধ্যে থাকা ধর্ষকামকে তৃপ্ত করা হচ্ছে।
পেহলু খানের রাজনীতি
তারপর পেহলু খানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি রাজনীতি করতে দেয়া হলো। আর তা করা হয়েছে কেবল রাজনীতিবিদদের ফায়দা হাসিলের জন্য। ঘৃণার অবসানের নামে ভোট চাওয়া হয়েছে। কখনো বলা হয়নি যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার পিটিয়ে মারার যে আইন বদলাতে যাচ্ছে, তার প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছে সেখানকার বিরোধী দল বিজেপি।
কিন্তু বিদ্যামান আইনেও তো পেহলু খানের হত্যাকারীদের বেকসুর খালাপ দেয়া হয়েছে। কেন? আসলে ন্যায়বিচারের চেয়ে রাজনীতি অনেক বড় বিষয়।
পেহলু খানকে ভুলে যান, ঠিক আছে?
পেহলু খানের ভুল ছিল তিনি ভুল ব্যবসা করতেন। গরু পোষা মুসলিমদের কাজ নয়। পবিত্র গরু নিয়ে মুসলিমদের করা ঠিক নয়। এ কারণে ওই ছয় খুনির উচিত হবে গরুসংশ্লিষ্ট কাজ করায় পেহলু খানের বিরুদ্ধে মামলা করা। কেবল তার বিরুদ্ধে নয়, তার ছেলেদের বিরুদ্ধেও মামলা করা উচিত ছিল গরু পরিবহনের দায়ে। ভালো হয় পেহলু খানের কাহিনীটি একেবারেই ভুলে যাওয়া এবং সেইসাথে এটকে একটি মিথ্যা ঘটনায় পরিণত করা। জাতীয়তাবাদবিরোধী ভাবাবেগ চাপা দেয়ার জন্য একসময় বলা হতো বিচারব্যবস্থা শিথিল হয়ে পড়েছে, নৈতিকতা ভেঙে পড়েছে।
>>>লেখক: রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও লেখক
সম্ভবত তার গরুর গোশত খাওয়ার অভ্যাসের কারণে এমনটা হয়েছে। তিনি যদি পবিত্র গোশত না খেতেন, তবে ৫৫ বছর বয়সেও ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাজস্থানের আলওয়ারে গোরক্ষাকারীদের লাঠি আর রডের প্রহার আরো ভালোভাবে হজম করতে পারতেন। কোলেস্টরলে হয় হৃদরোগ। আর গরু-সম্পর্কিত পেটানোর বাস্তব ঘটনার আলোকে আমি বিশ্বাস করি যে গরুর গোশতের অভিশাপেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের বর্তমান পরিবেশে এবং দাঙ্গাবাজদের সহিংসতা সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় উপনীত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি নিয়ে ভয়ঙ্কর চিন্তা আমার মনে ভর করেছে। কিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হওয়া কোনো ব্যক্তি (সামাজিক মাধ্যমে যে অপরাধটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে) ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন?
শিকার ব্যক্তিকে অবশ্যই অপদস্ত হতে হবে
আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে পেহলু খান ছিলেন ভুল। রাকবর খান, মোহাম্মদ আখলাক এবং অন্য আরো অনেকের (যাদের নাম গরুকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো বলে মনে হবে না) মতো পেহলুরও অপদস্ত হওয়া যৌক্তিক ছিল। যদিও জয়পুরের গরুর হাট থেকে গরু কেনার নথিপত্র পেহলু খানের কাছে ছিল, কিন্তু আমি নিজেকে বোঝাতে চাই যে তার নিয়ত ভালো ছিল না। তিনি গরুগুলোর কী গতি করতেন তা কি কেউ জানে? তিনি কি রাতের আঁধারে এগুলোকে হত্যা করতেন না? সেগুলো রান্না করে বা কাবাব বানিয়ে খেতেন না? তাই যদি হবে তবে তথাকথিত গোরক্ষকেরা তো, যারা দলবেঁধে চলাচল করে, তারা তো ঠিইই করেছে। তারা ছিল সত্যনিষ্ঠ মিশনে, ঐশী ইচ্ছায় তারা সাড়া দিয়েছে।
এমনটা না হলে কেন গোরক্ষকরা কেন সবসময় বিজয়ী দলে থাকবে? ঐশী আলোতেই তারা নিজেদের পথ দেখে, পবিত্র গরুর ক্ষতি করে এমন ব্যক্তিদের হত্যা করে একেবারে ঠিক কাজটিই করে। গোরক্ষার জন্য অভিযুক্ত ছয়জনের আদালতের বাইরে দেয়া স্লোগান শুনেছেন? ‘ভারত মাতা কি জয়!’ ভারত ও এর বিচারব্যবস্থা দীর্ঘজীবী হোক।
অনেক ভুল পেহলু খানের
তবে বিচার কিন্তু অন্ধ নয়। বিচার থাকে কাগজে-কলমে। আমার সহানুভূতি পেহলু খানের প্রতি নয়, ভারতের বিচারব্যবস্থার প্রতি। তিনি যদি নিজেই নিজের খুনের ব্যবস্থা করে থাকেন, তবে কী করার আছে? এটা কি একজন সাইকোপ্যাথের ভয়াবহ ইচ্ছা নয়?
কিন্তু পেহলু খান তা না করে থাকলেও তার বয়স ও বিস্মৃতপরায়ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা কি সফলভাবে যুক্তি তুলে ধরেননি যে পেহলু খান পুলিশের কাছে দেয়া তার প্রথম বিবৃতিতে হামলাকারীদের নাম বলতে পারেননি? ফলে পাঁজরের কয়েকটা হাড় ভাঙ্গার পর যদি ফুসফুসে পানি আসার কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকলে তা কি কোনো ব্যাপার?
মৃত্যুর সময় দেয়া বক্তব্যে পেহলু খান তার খুনিদের নাম বলে গিয়েছিল। কিন্তু তা তো যথেষ্ট নয়। চিকিৎসক তার বিবৃতি দেয়ার মতো অবস্থা আছে কিনা সে সার্টিফিকেট ছাড়াই বেহরর থানার কর্মকর্তা রমেশ সিনসিনওয়ার তার বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন। আদালতে কাজে লাগবে, এমন করে তিনি সাক্ষী দিতে পারেননি। এটা তার ব্যর্থতা।
এমনকি তার খুনের ভিডিও, যেখানে পরিষ্কারভাবে হামলাকারীদের দেখা যাচ্ছে, কাজে লাগল না, পেহলু খান ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে তা প্রত্যায়ন করতে না পারায়। কাজটি ছিল তদন্ত কর্মকর্তার। কিন্তু তিনি দুই বছরের মধ্যেও তা করতে পারেননি। এতে কি আমি বিস্মিত? না। একে বলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ। আচ্ছা পেহলু খানের পরিবার কি ভিডিওটি এডিট করেছিল? অসম্ভব কি?
তাছাড়া আমার মনে হচ্ছে, পেহলু খান ঠিকভাবে মারাও যেতে পারেননি। তিনি চিকিৎসকদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন। তার ময়না তদন্তে দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন আহত হয়ে। আবার এক সরকারি চিকিৎসক বলতে চেয়েছেন তিনি মারা গেছেন হৃদরোগে। এই চিকিৎসক আরো বলতে চেয়েছেন যে ট্রাকে গরু ওঠানোর সময় গরুর সাথে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন পেহলু। কী গোলকধাঁধা।
পেহলু খান যা কখনো পাবেন না
পেহলু খানের সবচেয়ে বড় পাপ হলো এই যে তিনি ভারতীয়দের সহানুভূতি আদায় করতে পারেননি। তার মধ্যে এমন কিছু ছিল যার ফলে তিনি এমনকি ৪৪ জন সাক্ষীর একজনকেও আদালতে হাজির করতে পারেননি। ভিডিওটি ধারণকারী দিল্লির কনস্টেবল পর্যন্ত তার প্রতি বৈরী হয়ে পড়েছিলেন। এনডিটিভির স্টিং অপারেশনে এক হত্যাকারীর গর্ব করে স্বীকারোক্তি প্রদানও যথেষ্ট ছিল না। ওইসব সাংবাদিক দেশবিরোধী। আমাদের উচিত হবে না তাদের কথা বিশ্বাস করা।
পিটিয়ে হত্যার যেসব খবর ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে পেহলু খানেরটি তার অন্যতম। প্রাইমটাইমেও এক্সক্লুসিভ ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। সবাই আতঙ্কিত হয়ে তা দেখেছে। সামাজিক মডেল বদলে গেছে। একসময় ‘ক্রাইম পেট্রোলে’ বিচার পাওয়ার কথা বলা হতো। এখন টিভিতে খুনিদের দেখা যায়। আমাদের মধ্যে থাকা ধর্ষকামকে তৃপ্ত করা হচ্ছে।
পেহলু খানের রাজনীতি
তারপর পেহলু খানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি রাজনীতি করতে দেয়া হলো। আর তা করা হয়েছে কেবল রাজনীতিবিদদের ফায়দা হাসিলের জন্য। ঘৃণার অবসানের নামে ভোট চাওয়া হয়েছে। কখনো বলা হয়নি যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার পিটিয়ে মারার যে আইন বদলাতে যাচ্ছে, তার প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছে সেখানকার বিরোধী দল বিজেপি।
কিন্তু বিদ্যামান আইনেও তো পেহলু খানের হত্যাকারীদের বেকসুর খালাপ দেয়া হয়েছে। কেন? আসলে ন্যায়বিচারের চেয়ে রাজনীতি অনেক বড় বিষয়।
পেহলু খানকে ভুলে যান, ঠিক আছে?
পেহলু খানের ভুল ছিল তিনি ভুল ব্যবসা করতেন। গরু পোষা মুসলিমদের কাজ নয়। পবিত্র গরু নিয়ে মুসলিমদের করা ঠিক নয়। এ কারণে ওই ছয় খুনির উচিত হবে গরুসংশ্লিষ্ট কাজ করায় পেহলু খানের বিরুদ্ধে মামলা করা। কেবল তার বিরুদ্ধে নয়, তার ছেলেদের বিরুদ্ধেও মামলা করা উচিত ছিল গরু পরিবহনের দায়ে। ভালো হয় পেহলু খানের কাহিনীটি একেবারেই ভুলে যাওয়া এবং সেইসাথে এটকে একটি মিথ্যা ঘটনায় পরিণত করা। জাতীয়তাবাদবিরোধী ভাবাবেগ চাপা দেয়ার জন্য একসময় বলা হতো বিচারব্যবস্থা শিথিল হয়ে পড়েছে, নৈতিকতা ভেঙে পড়েছে।
>>>লেখক: রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও লেখক
No comments