মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙলে কী করবেন by ডা: মিজানুর রহমান কল্লোল
মেরুদণ্ডের
হাড় ভাঙলে তা রোগীর জন্য বিপদের কারণ হয়, কেননা মেরুদণ্ডের ভেতরে থাকে
স্পাইনাল কর্ড- যেকোনো সময় ক্ষতবিক্ষত হতে পারে। যদি স্পাইনাল কর্ড বা
স্নায়ুরজ্জু আক্রান্ত হয়, তাহলে রোগীর শরীরের নিম্নভাগ অসাড় হয়ে যায়। তাই
মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে সর্বাধিক সতর্কতার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা
দিতে হবে। রোগীর মেরুদণ্ড ভেঙেছে সন্দেহ হলে কী করবেন?
*যতদূর সম্ভব রোগীকে কম নড়াচড়া করাতে হবে। তাকে এমনভাবে তুলতে হবে যেন আহত কশেরুকা বেঁকে, মুচড়ে বা জায়গা থেকে সরে না যায়।
*শোয়ানো অবস্থাতেই পরীক্ষা করতে হবে তার হাতের আঙুল, কব্জি, হাঁটু বা পায়ের পাতা নাড়াতে পারছে কি না। যদি নাড়াতে পারে বুঝতে হবে রোগীর অবস্থা কম ঝুঁকিপূর্ণ, আর মোটেই নাড়াতে না পারলে বুঝতে হবে তার অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
*রোগীকে শোয়ানোর সময় এমনভাবে শোয়াতে হবে যে ভঙ্গিতে শুলে রোগী আরামবোধ করে। তবে সাধারণত চিত করে শোয়ালে রোগী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি এবং হাড় নিরাপদে থাকে।
*রোগীকে কোনোভাবেই নড়াচড়া কিংবা বসানো চলবে না। এমনকি উপুড় করাও নিষেধ।
*রোগীকে শোয়ানোর সময় একাধিক ব্যক্তির সাহায্য নিতে হবে যাতে রোগীর নিজ থেকে শারীরিক চাপ প্রয়োগ করতে না হয়।
*রোগীর ঘাড় যাতে বেঁকে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*রোগীর বুক, কোমর, মাথা এবং ঘাড়ের দুই পাশে বালিশ বা কম্বল রাখুন রাতে সে তার এসব অঙ্গ নাড়াতে পারে।
*রোগী যাতে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে সেদিক খেয়াল রাখুন।
*অতঃপর রোগীকে স্ট্রেচার কিংবা সমান্তরাল কাঠের তক্তায় উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় তার যাতে ঝাকি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*স্ট্রেচার বা কাঠের তক্তা পাওয়া না গেলে চারজন লোক ধরাধরি করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। একজন রোগীর মাথার নিচে, দ্বিতীয়জন রোগীর কাঁধের হাড়ের নিচে, তৃতীয়জন রোগীর নিতম্বের নিচে ও চতুর্থজন রোগীর হাঁটু ও পায়ের নিচে হাত রেখে রোগীকে সমান্তরাল রাখতে হবে যাতে রোগীর মেরুদণ্ড বেঁকে না যায়।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি:, ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা। ফোন: ০১৭২২৯১৬৪৭৯ (সঞ্জয়)
*যতদূর সম্ভব রোগীকে কম নড়াচড়া করাতে হবে। তাকে এমনভাবে তুলতে হবে যেন আহত কশেরুকা বেঁকে, মুচড়ে বা জায়গা থেকে সরে না যায়।
*শোয়ানো অবস্থাতেই পরীক্ষা করতে হবে তার হাতের আঙুল, কব্জি, হাঁটু বা পায়ের পাতা নাড়াতে পারছে কি না। যদি নাড়াতে পারে বুঝতে হবে রোগীর অবস্থা কম ঝুঁকিপূর্ণ, আর মোটেই নাড়াতে না পারলে বুঝতে হবে তার অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
*রোগীকে শোয়ানোর সময় এমনভাবে শোয়াতে হবে যে ভঙ্গিতে শুলে রোগী আরামবোধ করে। তবে সাধারণত চিত করে শোয়ালে রোগী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি এবং হাড় নিরাপদে থাকে।
*রোগীকে কোনোভাবেই নড়াচড়া কিংবা বসানো চলবে না। এমনকি উপুড় করাও নিষেধ।
*রোগীকে শোয়ানোর সময় একাধিক ব্যক্তির সাহায্য নিতে হবে যাতে রোগীর নিজ থেকে শারীরিক চাপ প্রয়োগ করতে না হয়।
*রোগীর ঘাড় যাতে বেঁকে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*রোগীর বুক, কোমর, মাথা এবং ঘাড়ের দুই পাশে বালিশ বা কম্বল রাখুন রাতে সে তার এসব অঙ্গ নাড়াতে পারে।
*রোগী যাতে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে সেদিক খেয়াল রাখুন।
*অতঃপর রোগীকে স্ট্রেচার কিংবা সমান্তরাল কাঠের তক্তায় উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় তার যাতে ঝাকি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*স্ট্রেচার বা কাঠের তক্তা পাওয়া না গেলে চারজন লোক ধরাধরি করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। একজন রোগীর মাথার নিচে, দ্বিতীয়জন রোগীর কাঁধের হাড়ের নিচে, তৃতীয়জন রোগীর নিতম্বের নিচে ও চতুর্থজন রোগীর হাঁটু ও পায়ের নিচে হাত রেখে রোগীকে সমান্তরাল রাখতে হবে যাতে রোগীর মেরুদণ্ড বেঁকে না যায়।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি:, ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা। ফোন: ০১৭২২৯১৬৪৭৯ (সঞ্জয়)
No comments