আধুনিক রাস্তায় কিংবদন্তি অ্যাম্বাসেডর গাড়ি
ভারতের
রাস্তায় গত দশকগুলোর আইকনিক একটি চিত্র অ্যাম্বাসেডর গাড়ির উপস্থিতি। ৫০
বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সড়ক বিশেষ করে কলকাতায় দাপিয়ে বেড়ানো এই
গাড়িটি আবার পুনর্জীবিত হতে যাচ্ছে। ভারতের হিন্দুস্তান মোটরস মাত্র ১২
মিলিয়ন ডলারে অ্যাম্বাসেডর ব্র্যান্ডটি ফ্রান্সের পোয়গেয়ট কোম্পানির কাছে
বিক্রি করে দিয়েছে। ২০১৭ এর ফেব্রুয়ারির বিক্রয় সংখ্যার পতন দিয়েই ভারতের
প্রাচীনতম গাড়ী প্রস্তুতকারকদের তৈরি আইকনিক এই গাড়িটির ভাগ্য নির্ধারিত
হয়ে যায়। দেশটির রাজনৈতিক শ্রেণীর প্রতীক এই অ্যাম্বাসেডর গাড়িটির উৎপাদন
চাহিদার অভাব ও ঋণের কারনে প্রায় ৩ বছর আগে বন্ধ হয়।
অন্যদিকে এই হস্তান্তর ২০১১ সালের বহুল আলোচিত হিন্দুস্তান মোটরস ও বাংলাদেশী বানিজ্যিক গোষ্ঠি ইন্ট্রাকো গ্রুপ এর মধ্যকার চুক্তির জন্য কি নিয়ে আসবে তা এখনো দেখার বাকি। ঢাকার রাস্তায় চলার জন্য এই চুক্তি হলেও তা বাংলাদেশে আশানরূপ সাড়া পায়নি। ২০১১ সালের এই চুক্তি অনুযায়ী ঢাকার অদূরে একটি অ্যাসেম্বলি ইউনিট করার কথা ছিল যার মাধ্যমে ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্প বাংলাদেশের ট্যাক্সিক্যাব বাজারে এবং সাধারণ গাড়ির বাজারে প্রবেশ করার আশা করেছিল। ব্যক্তি ও পরিবার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশীদের প্রবণতা হল অভিজাত গাড়ি ব্যাবহার করা এবং এক্ষেত্রে ব্রিটেনের দীর্ঘ লুপ্ত মরিস অক্সফোর্ডের আদলে তৈরি অ্যাম্বাসেডর গাড়িটি জনপ্রিয় হতে পারেনি।
এদিকে, উত্তম বসু হিন্দুস্তান মোটরস এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফ্রন্টলাইনের কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন পোয়গেয়টের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তিটি আইকনিক এই ব্র্যান্ডকে নতুন জীবন দিতে পারে এবং তারা অবশ্যই ব্র্যান্ডটির জন্য যথা উপযোগী ব্যাবহার করতে পারবে।
“আমরা পোয়গেয়টের কাছে অ্যাম্বাসেডর ব্র্যান্ড বিক্রি করেছি কারনে তারা এর সর্বচ্চো ব্যাবহার করতে পারবে, বিশেষ করে এই প্রক্রিয়ার মার্কেটিং অংশটুকু। কিংবদন্তী এই ব্র্যান্ডটি আবার জনপ্রিয় হক এটা আমরা চাই”
বাংলাদেশে ব্যর্থ হওয়ার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোতে অ্যাম্বাসেডরকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন এই স্বত্বাধিকারী কি ব্যবস্থা নিবে তাই এখন দেখার বিষয়।
অ্যাম্বাসেডর ১৯৫৮ সালে প্রথম ভারতে চালু হয় এবং শীঘ্রই তার গর্জনে রাস্তা-ঘাটে আলোড়ন তৈরি করে।কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ির আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে এটা বিস্মৃতির দিকে চলে যেতে থাকে। আশির দশকের বড় সময় ধরে যেখানে বার্ষিক গাড়ির উৎপাদন ছিল ২৪০০০ এর কাছাকাছি সেখানে তা ৫৫০০ তে নেমে যায় ৯০ এর শেষের দিকে।
উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মটরস প্রধান কারখানা ২০১৪ সালে স্থগিত করা হয় যা ১৯৪২ সালে স্থাপন করা এবং এশিয়ার প্রাচীনতম অটোমোবাইল প্লান্টের একটি ছিল। কোম্পানির সাফল্যের শীর্ষ সময়ে যে কারখানার লোকবল ছিল ২২০০০ এরও বেশী তা ২০১৪ সালে ২৬০০ তে এসে দাড়ায় এবং দেনার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৪ কোটি রুপী।
অন্যদিকে এই হস্তান্তর ২০১১ সালের বহুল আলোচিত হিন্দুস্তান মোটরস ও বাংলাদেশী বানিজ্যিক গোষ্ঠি ইন্ট্রাকো গ্রুপ এর মধ্যকার চুক্তির জন্য কি নিয়ে আসবে তা এখনো দেখার বাকি। ঢাকার রাস্তায় চলার জন্য এই চুক্তি হলেও তা বাংলাদেশে আশানরূপ সাড়া পায়নি। ২০১১ সালের এই চুক্তি অনুযায়ী ঢাকার অদূরে একটি অ্যাসেম্বলি ইউনিট করার কথা ছিল যার মাধ্যমে ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্প বাংলাদেশের ট্যাক্সিক্যাব বাজারে এবং সাধারণ গাড়ির বাজারে প্রবেশ করার আশা করেছিল। ব্যক্তি ও পরিবার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশীদের প্রবণতা হল অভিজাত গাড়ি ব্যাবহার করা এবং এক্ষেত্রে ব্রিটেনের দীর্ঘ লুপ্ত মরিস অক্সফোর্ডের আদলে তৈরি অ্যাম্বাসেডর গাড়িটি জনপ্রিয় হতে পারেনি।
এদিকে, উত্তম বসু হিন্দুস্তান মোটরস এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফ্রন্টলাইনের কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন পোয়গেয়টের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তিটি আইকনিক এই ব্র্যান্ডকে নতুন জীবন দিতে পারে এবং তারা অবশ্যই ব্র্যান্ডটির জন্য যথা উপযোগী ব্যাবহার করতে পারবে।
“আমরা পোয়গেয়টের কাছে অ্যাম্বাসেডর ব্র্যান্ড বিক্রি করেছি কারনে তারা এর সর্বচ্চো ব্যাবহার করতে পারবে, বিশেষ করে এই প্রক্রিয়ার মার্কেটিং অংশটুকু। কিংবদন্তী এই ব্র্যান্ডটি আবার জনপ্রিয় হক এটা আমরা চাই”
বাংলাদেশে ব্যর্থ হওয়ার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোতে অ্যাম্বাসেডরকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন এই স্বত্বাধিকারী কি ব্যবস্থা নিবে তাই এখন দেখার বিষয়।
অ্যাম্বাসেডর ১৯৫৮ সালে প্রথম ভারতে চালু হয় এবং শীঘ্রই তার গর্জনে রাস্তা-ঘাটে আলোড়ন তৈরি করে।কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ির আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে এটা বিস্মৃতির দিকে চলে যেতে থাকে। আশির দশকের বড় সময় ধরে যেখানে বার্ষিক গাড়ির উৎপাদন ছিল ২৪০০০ এর কাছাকাছি সেখানে তা ৫৫০০ তে নেমে যায় ৯০ এর শেষের দিকে।
উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মটরস প্রধান কারখানা ২০১৪ সালে স্থগিত করা হয় যা ১৯৪২ সালে স্থাপন করা এবং এশিয়ার প্রাচীনতম অটোমোবাইল প্লান্টের একটি ছিল। কোম্পানির সাফল্যের শীর্ষ সময়ে যে কারখানার লোকবল ছিল ২২০০০ এরও বেশী তা ২০১৪ সালে ২৬০০ তে এসে দাড়ায় এবং দেনার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৪ কোটি রুপী।
No comments