কবিতা- প্রকৃতির আহাজারি, মানুষের বিলাপ by আশরাফ আহমেদ
‘হারানোর মিছিলে প্রকৃতি’ নামে একটি কবিতাটি
ছাপার পর পড়ে মনে হলো অনেক কথা বলা হয়নি এতে;
অবশ্য, এ বিষয়ে কবিতা, কাহিনি, প্রবন্ধ, গবেষণা-চলতেই থাকবে-এসব শেষ হওয়ার মত নয়;
যদ্দিন বিশ্বে ধনতন্ত্র, মুনাফার ব্যাপার থাকবে
বায়ুদূষণ সঙ্গে চলবে অবিরত দুরন্ত অপ্রতিরোধ্য গতিতে
কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য, নির্গত ধোঁয়া কার্বন হয়ে বইবে নিরবধি আকাশে, বাতাসে, সমুদ্র ,পাহাড় পর্বতে
বিশ্ব চরাচরে ,পাতালে, অন্তরিক্ষে-সর্বত্র অব্যাহতভাবে।
কবিতায় বলেছিলাম ছোট এক দারকিনি প্রজাতির মাছের কথা আর সঙ্গে টক-মিষ্ট এক ফলের কথা;
কেমন করে, কখন, কোথায় উধাও হয়ে গেল সৃষ্টিগুলো?
বলেছিলাম মানুষের সীমাহীন লোভ, অবিবেচনার কথা;
আর ও বলেছি:
উফসী ধান আর মাছ চাষের কারণে
কেমিক্যাল সার, কীটনাশক ওষুধ
ফলন বাড়ানোর এই সব মহৌষধ প্রয়োগের কারণে
স্বাদে অতুলনীয় দেশজ মাছ ইদানীং প্রায় বিলীন
আমাদের বিশ্ব থেকে, অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের
পরিবেশ দূষণের অমোঘ নিয়মে!
বলেছিলাম প্রায় বৃক্ষশূন্য রঘুনন্দন পাহাড়ের কথা
শাল, সেগুন সুরভিত পাহাড়টিতে গজারি, সোনারু, নানা জাতের বাঁশ, ছন, উলু, কাঠসহ হাজারো নির্মাণ সামগ্রী যে পাহাড়টিতে অনায়াসে পাওয়া যেত।
লোভাতুর মহালদাররা হাতি দিয়ে টেনে আনত
মুনাফার আশে নির্বিচারে ছোট-বড় বাছ বিচার না করে।
ছোট বেলা দেখেছি রকমারি হরিণ, বাঘ, বনমোরগ,
বানর, হনুমান, নানা জাতের পাখি, বনকুকুর, মতুরা
কত সব বন্য প্রাণী হামেশাই এদের দেখা মিলত।
রঘুনন্দন আজ বিরান, সম্পদ লুণ্ঠনে আর নিধনের বলিকাষ্ঠে নিস্তর আর খোলা মাঠসম সমতল প্রান্তর।
পাহাড়ি জিভধর ছড়ার ঝিরঝির পানি, সোনালি বালি,
দু–চারটে ছোট মাছ, ঢলে ভাটি থেকে আসা
উজানি কই, মাগুর সন্ধ্যে হতেই বাঁশের কুপির আলোতে ঝুপড়ি পলো দিয়ে মাছ ধরা-সে সব আজ আর নেই ।
ঢল হয়, মাছ আসে না, নেই ভাটিতে মাছ, হাঁস কিছুই
উজানে প্রাণ কোম্পানি আরও কত কারখানা বর্জ্য দিয়ে
বিনাশ করেছে ভাটি অঞ্চলের এসব সম্পদ।
ইটের ভাটা, দালান কোঠা, যত্রতত্র কল-কারখানা,
দোকান-পাট দখল করেছে বিভিন্ন কায়দায় সব জায়গা
ধানি আর পতিত জমি, সবজি ফল-ফলাদি চাষের ভূমি
কিছুই বাদ পড়েনি-এমনকি শ্মশান স্থান, খেলার মাঠ
গো-চারণ ভূমি, খাল-বিল, নদী-নালা গিলেছে গোগ্রাসে নিতান্ত নির্দয়ে, অবহেলা, আর নির্মম নির্লজ্জে।
মানুষের নির্দয়তা, লোভ-লালসা, ক্ষমতার অপব্যবহার
কালো টাকা, মস্তানের দুর্দান্ত দাপটে সহায় সম্বলহীন আদম সন্তান, কষ্টে-সৃষ্টে বেঁচে আছে ধুঁকেধুঁকে মৃতপ্রায়!
ছাপার পর পড়ে মনে হলো অনেক কথা বলা হয়নি এতে;
অবশ্য, এ বিষয়ে কবিতা, কাহিনি, প্রবন্ধ, গবেষণা-চলতেই থাকবে-এসব শেষ হওয়ার মত নয়;
যদ্দিন বিশ্বে ধনতন্ত্র, মুনাফার ব্যাপার থাকবে
বায়ুদূষণ সঙ্গে চলবে অবিরত দুরন্ত অপ্রতিরোধ্য গতিতে
কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য, নির্গত ধোঁয়া কার্বন হয়ে বইবে নিরবধি আকাশে, বাতাসে, সমুদ্র ,পাহাড় পর্বতে
বিশ্ব চরাচরে ,পাতালে, অন্তরিক্ষে-সর্বত্র অব্যাহতভাবে।
কবিতায় বলেছিলাম ছোট এক দারকিনি প্রজাতির মাছের কথা আর সঙ্গে টক-মিষ্ট এক ফলের কথা;
কেমন করে, কখন, কোথায় উধাও হয়ে গেল সৃষ্টিগুলো?
বলেছিলাম মানুষের সীমাহীন লোভ, অবিবেচনার কথা;
আর ও বলেছি:
উফসী ধান আর মাছ চাষের কারণে
কেমিক্যাল সার, কীটনাশক ওষুধ
ফলন বাড়ানোর এই সব মহৌষধ প্রয়োগের কারণে
স্বাদে অতুলনীয় দেশজ মাছ ইদানীং প্রায় বিলীন
আমাদের বিশ্ব থেকে, অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের
পরিবেশ দূষণের অমোঘ নিয়মে!
বলেছিলাম প্রায় বৃক্ষশূন্য রঘুনন্দন পাহাড়ের কথা
শাল, সেগুন সুরভিত পাহাড়টিতে গজারি, সোনারু, নানা জাতের বাঁশ, ছন, উলু, কাঠসহ হাজারো নির্মাণ সামগ্রী যে পাহাড়টিতে অনায়াসে পাওয়া যেত।
লোভাতুর মহালদাররা হাতি দিয়ে টেনে আনত
মুনাফার আশে নির্বিচারে ছোট-বড় বাছ বিচার না করে।
ছোট বেলা দেখেছি রকমারি হরিণ, বাঘ, বনমোরগ,
বানর, হনুমান, নানা জাতের পাখি, বনকুকুর, মতুরা
কত সব বন্য প্রাণী হামেশাই এদের দেখা মিলত।
রঘুনন্দন আজ বিরান, সম্পদ লুণ্ঠনে আর নিধনের বলিকাষ্ঠে নিস্তর আর খোলা মাঠসম সমতল প্রান্তর।
পাহাড়ি জিভধর ছড়ার ঝিরঝির পানি, সোনালি বালি,
দু–চারটে ছোট মাছ, ঢলে ভাটি থেকে আসা
উজানি কই, মাগুর সন্ধ্যে হতেই বাঁশের কুপির আলোতে ঝুপড়ি পলো দিয়ে মাছ ধরা-সে সব আজ আর নেই ।
ঢল হয়, মাছ আসে না, নেই ভাটিতে মাছ, হাঁস কিছুই
উজানে প্রাণ কোম্পানি আরও কত কারখানা বর্জ্য দিয়ে
বিনাশ করেছে ভাটি অঞ্চলের এসব সম্পদ।
ইটের ভাটা, দালান কোঠা, যত্রতত্র কল-কারখানা,
দোকান-পাট দখল করেছে বিভিন্ন কায়দায় সব জায়গা
ধানি আর পতিত জমি, সবজি ফল-ফলাদি চাষের ভূমি
কিছুই বাদ পড়েনি-এমনকি শ্মশান স্থান, খেলার মাঠ
গো-চারণ ভূমি, খাল-বিল, নদী-নালা গিলেছে গোগ্রাসে নিতান্ত নির্দয়ে, অবহেলা, আর নির্মম নির্লজ্জে।
মানুষের নির্দয়তা, লোভ-লালসা, ক্ষমতার অপব্যবহার
কালো টাকা, মস্তানের দুর্দান্ত দাপটে সহায় সম্বলহীন আদম সন্তান, কষ্টে-সৃষ্টে বেঁচে আছে ধুঁকেধুঁকে মৃতপ্রায়!
No comments