তেঁতুলিয়ায় চোখজুড়ানো চা বাগান by নাকিবুল আহসান নিশাদ
চা বাগানের কথা এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে উঁচু-নিচু সবুজময়
অপরূপ দৃশ্য। মূলত সিলেট বা শ্রীমঙ্গল অঞ্চলেই ভ্রমণপ্রেমীরা এগুলো বেশি
দেখেন। তবে পঞ্চগড়ে দেশের একমাত্র সমতল ভূমির চা বাগান রয়েছে। আর্গনিক
পদ্ধতির এই চাষাবাদ দেশে শুরু হয় ১৯৯৮ সালে।
তেঁতুলিয়ায় চা বাগান |
বিশাল চা বাগানের মধ্য দিয়ে চলে গেছে মসৃণ পাকা রাস্তা। যতই ভেতরে যাবেন
ততই চোখে পড়ে সবুজের সমারোহ। মাঝে চা বাগান রেখে বাংলাদেশ সীমান্তে
দাঁড়িয়েই দেখা যায় ভারতের ছোট ছোট গ্রাম।
নারী শ্রমিকরা মাথায় ঝুড়ি বেঁধে চা পাতা সংগ্রহ করেন। চা বাগানের পাশ
দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে ছোট ছোট নদী। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এককথায়
নয়নাভিরাম।
চা বাগানে বাহারি গাছও দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বহেরা, অর্জুন,
তেজপাতা, আম ইত্যাদি। চারদিকে সবুজে ঘেরা এই মনোরম পরিবেশে হারিয়ে যেতে
ইচ্ছে করবে সবারই!
নব্বইয়ের
দশকে পঞ্চগড় জেলায় প্রথম ক্ষুদ্র পরিসরে সমতলে চা চাষ শুরু হয়। এখন তা
বিশাল আকার ধারণ করেছে। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি ও অনুন্নত জেলা পঞ্চগড়
এখন সবুজ চা বাগানে ভরে উঠেছে।
স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব কাজী শাহেদ আহমদ প্রথম এই অঞ্চলে চা চাষ শুরু
করেন। এই অঞ্চলের বৃহৎ চা বাগান কাজী টি এস্টেট নামে পরিচিত। দেশের অন্য
কোথাও সমতল চা বাগান না থাকায় এগুলো আলাদাভাবে প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশ
চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলাটিতে এ পর্যন্ত ২
হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। জেলায় স্টেট পর্যায়ে
আটটি (২০ একরের ওপর), ক্ষুদ্রায়তন (স্মল হোল্ডার) ১৫টি (৫ থেকে ২০ একর) ও
২৮০ জন ক্ষুদ্র চা চাষী (শূন্য থেকে ৫ একর) পঞ্চগড় চা বোর্ডে নিবন্ধিত। এর
বাইরে প্রায় দুই হাজার ক্ষুদ্র পর্যায়ের চা বাগান রয়েছে। ২০১৭ সালে ৪২০
দশমিক ২৩ হেক্টর জমি নতুনভাবে চা চাষের আওতায় এসেছে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে কম খরচে যেতে হানিফ কিংবা নাবিল পরিবহনের বাস রয়েছে। গাবতলী ও আসাদ গেট থেকে এগুলো ছেড়ে যায়। ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের মধ্যে গ্রিন লাইন, আগমনী কিংবা টিআর ট্রাভেলসের ভাড়া ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। তবে এসব বাস রংপুর পর্যন্ত যায়। এ কারণে রংপুর থেকে পঞ্চগড়ে আলাদা পরিবহনে যেতে হবে। পঞ্চগড়ে এসে নামার পর তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধাগামী লোকাল বাসে ৪৫ টাকা ভাড়া নেবে। একঘণ্টায় তেঁতুলিয়া পৌঁছানো যায়।
ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে কম খরচে যেতে হানিফ কিংবা নাবিল পরিবহনের বাস রয়েছে। গাবতলী ও আসাদ গেট থেকে এগুলো ছেড়ে যায়। ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের মধ্যে গ্রিন লাইন, আগমনী কিংবা টিআর ট্রাভেলসের ভাড়া ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। তবে এসব বাস রংপুর পর্যন্ত যায়। এ কারণে রংপুর থেকে পঞ্চগড়ে আলাদা পরিবহনে যেতে হবে। পঞ্চগড়ে এসে নামার পর তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধাগামী লোকাল বাসে ৪৫ টাকা ভাড়া নেবে। একঘণ্টায় তেঁতুলিয়া পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন
পঞ্চগড় শহরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল আছে। এগুলোতে কক্ষভেদে প্রতি রাতের ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। তেঁতুলিয়ায় অবশ্য কোনও আবাসিক হোটেল নেই। তবে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রাচীনকালের একটি ডাকবাংলো রয়েছে।
>>>ছবি: লেখক
পঞ্চগড় শহরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল আছে। এগুলোতে কক্ষভেদে প্রতি রাতের ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। তেঁতুলিয়ায় অবশ্য কোনও আবাসিক হোটেল নেই। তবে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রাচীনকালের একটি ডাকবাংলো রয়েছে।
>>>ছবি: লেখক
No comments