ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না কেন? :-আনিসুজ্জামানের প্রশ্ন
জাতীয়
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রশ্ন- ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না কেন? ত্বকীকে
আমরা প্রতিবছর স্মরণ করে আসছি। তার বিচার চেয়ে আসছি অথচ ত্বকী হত্যার
বিচার হচ্ছে না। এর কারণ খুঁজে বের করে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
গতকাল রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর ২৪ তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে ‘জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন ,ত্বকী হত্যার পর আমরা প্রতিবছর ১ থেকে ২ বার সভা সমিতির আয়োজন করে বিচার দাবি করেছি। এত দিনেও দাবি পূরণ হয়নি, এটা গভীর আক্ষেপের কথা। ত্বকীর মত প্রতিভাবান ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হতে হলো, আর আমরা কিছুই করতে পারছি না। তবু আমরা হাল ছেড়ে দেব না।
আমরা ত্বকী হত্যার বিচারের দাবি সবসময় করবো। আশা করি একদিন না একদিন ত্বকী হত্যার বিচার হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না একমাত্র একটি গোষ্ঠীর জন্য। যে দেশে নুসরাত হত্যার বিচার সাত মাসের মধ্যে হতে পারে সেই দেশে ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না কেনো? নারায়গঞ্জে সেভেন মার্ডার থেকে শুরু করে সব কিছুই হয় ওই গোষ্ঠীর মাধ্যমে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সবই সবার জানা তারপরও কিছু হচ্ছে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে ৩৫ বছর পর। অথচ এই বিচার বন্ধ করতে আইন করা হয়েছিলো। এতো বছর পর কিন্তু বিচার হয়েছে। আমরাও আশা রাখি একদিন না একদিন ত্বকী হত্যার বিচার হবে নারায়গঞ্জের মাটিতে। ত্বকী হত্যায় পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী মর্মাহত। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জকে স্তব্ধ করা, পরিবার ও নারায়ণগঞ্জবাসীকে থামিয়ে দেয়া। ছয় বছর ধরে বলছি, বিচার চাচ্ছি। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। বিচার হবে না প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষেরই ধারণা। নারায়ণগঞ্জবাসীও সেটাই মনে করে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না কেনো এটা সবারই জানা। কারো হস্তক্ষেপে এই বিচারটি হচ্ছে না। এটা খুব দুঃখজনক। যে ব্যাক্তিটির হস্তক্ষেপে এ্ বিচারটি হচ্ছে না। তিনি দেখলাম ওই দিন আবরার হত্যারকারীদের জন্য আফসোস করছেন। তাদের পরিবারের জন্য সমাবেদনা জানাচ্ছেন। তাহলে এই লোকটির বিবেকবোধ কেমন হবে সেটা অনুমান করা যায়। ত্বকী যদি বড় হতো, ধরা যাক সে বুয়েটে পড়তে আসতো, সে যদি একটা রাষ্ট্রের নীতি সম্পর্কে মন্তব্য করতো, তাহলেও তাকে নিহত হতে হতো, যেমনটা বুয়েটের আবরারের সঙ্গে হয়েছে। ত্বকীকে আমরা প্রতীকী হিসেবে দেখতে পাই। দেশের কৈশোরের সম্ভাবনা ও তাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতীকী হিসেবে ত্বকী হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে চলে আসে। তিনি আরও বলেন, যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি সেখানে কৈশোরের সম্ভাবনা ও নিরাপত্তা খুব সংকুচিত ও সংকটের মধ্যে আছে। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদলাতে একটি কিশোর আন্দোলন দরকার।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, একটি ঘটনার যদি বিচার না হয় তাহলে হাজারো ঘটনার জন্ম হয়। দেশে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠছে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে সামনের দিকে আরো অন্ধকার দেখবে ভবিষৎ। শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক হায়াৎ মাহমুদ বলেন, ত্বকীকে জীবন দিতে হলো তার বাবার জন্য। একটি গোষ্ঠী তার বাবা’কে সারাজীবনের জন্য শেষ করে দিতেই তাকে হত্যা করেছে। কি ভয়ংকর ব্যাপার। অথচ তার বিচার হচ্ছে না এতো বছর পরও। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে চিত্রাঙ্কনে ৭৫০ এবং রচনায় ৩০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। চিত্রাঙ্কন ও রচনার প্রতিটি বিষয়ে তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটির প্রথম স্থান অধিকারীদের ‘ত্বকী পদক’ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের বিশেষ ক্রেস্ট, বই ও সনদ দেয়া হয়েছে। আর সেরা ১০ প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট, বই ও সনদ দেয়া হয়েছে। উভয় বিষয়ের প্রতিটি বিভাগের সেরা ১০ জনের ছবি ও লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সুশোভিত স্মারক ‘ত্বকী’। অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্বকীকে নিয়ে ‘মানুষ হয়ে মরবো’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
গতকাল রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর ২৪ তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে ‘জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন ,ত্বকী হত্যার পর আমরা প্রতিবছর ১ থেকে ২ বার সভা সমিতির আয়োজন করে বিচার দাবি করেছি। এত দিনেও দাবি পূরণ হয়নি, এটা গভীর আক্ষেপের কথা। ত্বকীর মত প্রতিভাবান ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হতে হলো, আর আমরা কিছুই করতে পারছি না। তবু আমরা হাল ছেড়ে দেব না।
আমরা ত্বকী হত্যার বিচারের দাবি সবসময় করবো। আশা করি একদিন না একদিন ত্বকী হত্যার বিচার হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না একমাত্র একটি গোষ্ঠীর জন্য। যে দেশে নুসরাত হত্যার বিচার সাত মাসের মধ্যে হতে পারে সেই দেশে ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না কেনো? নারায়গঞ্জে সেভেন মার্ডার থেকে শুরু করে সব কিছুই হয় ওই গোষ্ঠীর মাধ্যমে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সবই সবার জানা তারপরও কিছু হচ্ছে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে ৩৫ বছর পর। অথচ এই বিচার বন্ধ করতে আইন করা হয়েছিলো। এতো বছর পর কিন্তু বিচার হয়েছে। আমরাও আশা রাখি একদিন না একদিন ত্বকী হত্যার বিচার হবে নারায়গঞ্জের মাটিতে। ত্বকী হত্যায় পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী মর্মাহত। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জকে স্তব্ধ করা, পরিবার ও নারায়ণগঞ্জবাসীকে থামিয়ে দেয়া। ছয় বছর ধরে বলছি, বিচার চাচ্ছি। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। বিচার হবে না প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষেরই ধারণা। নারায়ণগঞ্জবাসীও সেটাই মনে করে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না কেনো এটা সবারই জানা। কারো হস্তক্ষেপে এই বিচারটি হচ্ছে না। এটা খুব দুঃখজনক। যে ব্যাক্তিটির হস্তক্ষেপে এ্ বিচারটি হচ্ছে না। তিনি দেখলাম ওই দিন আবরার হত্যারকারীদের জন্য আফসোস করছেন। তাদের পরিবারের জন্য সমাবেদনা জানাচ্ছেন। তাহলে এই লোকটির বিবেকবোধ কেমন হবে সেটা অনুমান করা যায়। ত্বকী যদি বড় হতো, ধরা যাক সে বুয়েটে পড়তে আসতো, সে যদি একটা রাষ্ট্রের নীতি সম্পর্কে মন্তব্য করতো, তাহলেও তাকে নিহত হতে হতো, যেমনটা বুয়েটের আবরারের সঙ্গে হয়েছে। ত্বকীকে আমরা প্রতীকী হিসেবে দেখতে পাই। দেশের কৈশোরের সম্ভাবনা ও তাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতীকী হিসেবে ত্বকী হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে চলে আসে। তিনি আরও বলেন, যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি সেখানে কৈশোরের সম্ভাবনা ও নিরাপত্তা খুব সংকুচিত ও সংকটের মধ্যে আছে। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদলাতে একটি কিশোর আন্দোলন দরকার।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, একটি ঘটনার যদি বিচার না হয় তাহলে হাজারো ঘটনার জন্ম হয়। দেশে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠছে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে সামনের দিকে আরো অন্ধকার দেখবে ভবিষৎ। শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক হায়াৎ মাহমুদ বলেন, ত্বকীকে জীবন দিতে হলো তার বাবার জন্য। একটি গোষ্ঠী তার বাবা’কে সারাজীবনের জন্য শেষ করে দিতেই তাকে হত্যা করেছে। কি ভয়ংকর ব্যাপার। অথচ তার বিচার হচ্ছে না এতো বছর পরও। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে চিত্রাঙ্কনে ৭৫০ এবং রচনায় ৩০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। চিত্রাঙ্কন ও রচনার প্রতিটি বিষয়ে তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটির প্রথম স্থান অধিকারীদের ‘ত্বকী পদক’ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের বিশেষ ক্রেস্ট, বই ও সনদ দেয়া হয়েছে। আর সেরা ১০ প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট, বই ও সনদ দেয়া হয়েছে। উভয় বিষয়ের প্রতিটি বিভাগের সেরা ১০ জনের ছবি ও লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সুশোভিত স্মারক ‘ত্বকী’। অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্বকীকে নিয়ে ‘মানুষ হয়ে মরবো’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
No comments