ইরাকি শিবিরে অধিকারহীন শিশু by মুজাহিদুল ইসলাম
ইরাকের
ক্রমবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির সবচেয়ে বাজে শিকার ইরাকি শিশুরা।
যুদ্ধের কারণে পরিচয় সংকটে অধকারবিহীনভাবে কাটাতে হচ্ছে অনেক শিশুকে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে ইরাকের ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা এখনও পরিচয়হীন। ফলে যে কোনো আশ্রয় শিবিরে এলেই সবসময় জিজ্ঞাসাবাদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি পড়াশোনা ও সরকারি সেবা থেকে তাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বার্থে কাজ করা নরওয়েভিত্তিক পরিষদ এটাকে সুপ্ত বোমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
নরওয়েভিত্তিক পরিষদের প্রতিবেদন অনুসারে ৪৫ হাজার ইরাকি শিশু শরণার্থী শিবিরে পরিচয় সংকটে ভুগছে। সেখানে তাদের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান জানার প্রয়োজন হয়। অভিযোগ রয়েছে, এত বড় মানবিক বিপর্যয় রোধে ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার পরিষদের প্রধান ইয়ান ইখল্যান্ড বলেন, ‘আমরা সুপ্ত মানব বোমার মুখোমুখি, কোনো সমাজ নিরাপদে থাকতে পারে না যদি তাদের সন্তানদের পরিচয়পত্র না থাকে, তারা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। তাছাড়া এটা পাওয়া তাদের ও দেশের স্থায়ী ভবিষ্যতের গ্যারান্টিও বটে।’
ইরাকি অভিবাসন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নাম রেজিস্ট্রেশন করাটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। স্বাভাবিক রেজিস্ট্রেশনের আওতায় ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করা আসলে কঠিন।
নিনাবি প্রদেশের গভর্নর সুহাইব বলেন, শিবিরের সবাই যে আরব কিংবা ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্টদের সন্তান, এমন নয়। বরং সামরিক অভিযানের সময় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সন্তানও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন প্রাদেশিক পরিষদকে নিন্দা করলেও পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্তের এখতিয়ার একমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই আছে।
নরওয়েভিত্তিক শরণার্থী সংস্থা জানায়, স্কুলে ভর্তি হওয়ার শর্তই হলো শিক্ষার্থীর কাছে পরিচয়পত্র থাকা। এটা ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া, সার্টিফিকেট পাওয়া, জমির মালিক হওয়া, সরকারি চাকরি পাওয়া এবং বিয়েশাদির মতো অনেক কিছুই তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এদিকে সিরিয়া থেকে ৩০ হাজারের বেশি শিশু ফিরে এলে তাদের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে মন্ত্রী নেই। আর এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন। তাছাড়া শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করার আগে তাদের পরিবারের তদন্ত ও বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হবে, যা মোটেই সহজ নয়। স্বাভাবিক রেজিস্ট্রেশনের জন্য তো কয়েকটি গ্রুপ পাঠিয়ে দিলেই হয়। এটা তো ভিন্ন। এদিকে ইসলামিক স্টেটের সন্তানদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সরকার সে ব্যপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
সূত্র : আল আরাবি আল জাদিদ
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে ইরাকের ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা এখনও পরিচয়হীন। ফলে যে কোনো আশ্রয় শিবিরে এলেই সবসময় জিজ্ঞাসাবাদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি পড়াশোনা ও সরকারি সেবা থেকে তাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বার্থে কাজ করা নরওয়েভিত্তিক পরিষদ এটাকে সুপ্ত বোমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
নরওয়েভিত্তিক পরিষদের প্রতিবেদন অনুসারে ৪৫ হাজার ইরাকি শিশু শরণার্থী শিবিরে পরিচয় সংকটে ভুগছে। সেখানে তাদের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান জানার প্রয়োজন হয়। অভিযোগ রয়েছে, এত বড় মানবিক বিপর্যয় রোধে ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার পরিষদের প্রধান ইয়ান ইখল্যান্ড বলেন, ‘আমরা সুপ্ত মানব বোমার মুখোমুখি, কোনো সমাজ নিরাপদে থাকতে পারে না যদি তাদের সন্তানদের পরিচয়পত্র না থাকে, তারা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। তাছাড়া এটা পাওয়া তাদের ও দেশের স্থায়ী ভবিষ্যতের গ্যারান্টিও বটে।’
ইরাকি অভিবাসন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নাম রেজিস্ট্রেশন করাটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। স্বাভাবিক রেজিস্ট্রেশনের আওতায় ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করা আসলে কঠিন।
নিনাবি প্রদেশের গভর্নর সুহাইব বলেন, শিবিরের সবাই যে আরব কিংবা ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্টদের সন্তান, এমন নয়। বরং সামরিক অভিযানের সময় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সন্তানও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন প্রাদেশিক পরিষদকে নিন্দা করলেও পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্তের এখতিয়ার একমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই আছে।
নরওয়েভিত্তিক শরণার্থী সংস্থা জানায়, স্কুলে ভর্তি হওয়ার শর্তই হলো শিক্ষার্থীর কাছে পরিচয়পত্র থাকা। এটা ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া, সার্টিফিকেট পাওয়া, জমির মালিক হওয়া, সরকারি চাকরি পাওয়া এবং বিয়েশাদির মতো অনেক কিছুই তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এদিকে সিরিয়া থেকে ৩০ হাজারের বেশি শিশু ফিরে এলে তাদের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে মন্ত্রী নেই। আর এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন। তাছাড়া শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করার আগে তাদের পরিবারের তদন্ত ও বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হবে, যা মোটেই সহজ নয়। স্বাভাবিক রেজিস্ট্রেশনের জন্য তো কয়েকটি গ্রুপ পাঠিয়ে দিলেই হয়। এটা তো ভিন্ন। এদিকে ইসলামিক স্টেটের সন্তানদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সরকার সে ব্যপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
সূত্র : আল আরাবি আল জাদিদ
No comments