বৃক্ষ তোমার নাম কী 'ফলকে' পরিচয়: বন গবেষণা ইনস্টিটিউট
উচ্চতার
দিক থেকে সবচেয়ে বড় গাছের নাম হলো বৈলাম। বিলুপ্তপ্রায় ও বিরল প্রজাতির এ
তালিকায় আরও আছে তেলশুর, ঢাকিজাম, বার্মা শিমুলসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ। হঠাৎ
এসব গাছ দেখলে শহুরে অনেক নাগরিক থমকে দাঁড়াতে পারেন। কারণ, এসব গাছ তাদের
অচেনা। তাই ছোট-বড় ৪১০টি গাছে 'নামফলক' দিয়ে পরিচিতি করেছে বাংলাদেশ বন
গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) চট্টগ্রাম।
এ প্রসঙ্গে বিএফআরআইয়ের পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার বলেন, 'সাধারণত যারা উদ্ভিদ ও বন নিয়ে কাজ করেন তারা ছাড়া সাধারণ মানুষ সব গাছের নাম জানেন না। তাই বিএফআরআইয়ের ক্যাম্পাসে বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রজাতিসহ চার শতাধিক গাছে নামফলক দিয়ে পরিচিতি করানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গাছেরও নামকরণ হবে।'
জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় বিএফআরআইয়ের গাছের নামফলক উন্মোচনের কাজ। চলতি মাসে শেষ হবে এসব গাছের নামফলক দেওয়ার কাজ। ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের তত্ত্বাবধানে গবেষণা সহকারী গ্রেড-১ (উদ্ভিদ শ্রেণিবিন্যাসতত্ত্ববিদ) ছৈয়দুল আলম ৪১০টি বৃক্ষের হালনাগাদ নামকরণ দিয়ে নামফলক তৈরি করেন। প্রতি গাছের নামফলকে চারটি বিষয়ের মধ্যে স্থানীয় নাম, ইংরেজি নাম, বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিবারের নাম দেওয়া হয়েছে। বিএফআরআইয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে অফিস ভবন, আবাসিক এলাকা, পূর্ব পাহাড়, পশ্চিম পাহাড় ও অতিথিশালা এলাকার ছোট, মাঝারি ও বড় গাছে এসব 'নামফলক' দেওয়া হয়েছে।
নামফলক দেওয়া বৃক্ষের মধ্যে স্থানীয় নামগুলো হলো তেলশুর, তেলিগর্জন, ঢাকিজাম, ইউক্যালিপটাস, মেহগনি, শাল, চম্পা, লোহাকাঠ, দেবদারু, শ্রীলংকান ছাতিম, জ্যাকেরান্ডা, ক্ষণা, বার্মা শিমুল, ধূপ, গুটগুইট্টা, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, হলুদ কৃষ্ণচূড়া, ঝাউ, নাগেশ্বর, কাউগোলা, বহেরা, কাঠবাদাম, বৈলাম, কাইনজল ভাদী, পলাশ, অর্মোসিয়া, চালমুগড়া, সিধাজারুল, লম্বু, তুন, খয়ের, রাজকড়ই, রেইনট্রি, বটগাছ, বটল ব্রাশ, সিলকি ওক, কন্যারি, বাজনা, রক্তন, মহুয়া, বকুল, সুন্দরী, বান্দরহোলা, জংগলী বাদাম, অয়েল পাম, চায়না পাম, বটল পাম, অরোকেরিয়া, পাইন, বাঁশপাতা ইত্যাদি।
২০১৫ সালে বিএফআরআই ক্যাম্পাসের এক বৃক্ষ চিহ্নিতকরণ জরিপে দেখা যায়, উদ্ভিদের ১১২ পরিবারের মধ্যে ৩৯১ জেনাসের অধীনে ৬০৫ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। বন্যপ্রাণীদের আবাস ও খাদ্য উৎপাদনকারী অনেক গাছপালা আছে এখানে। ক্যাম্পাস এলাকায় যেমন অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ রয়েছে, তেমনি ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন বৃক্ষও রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর অরণ্যে পাওয়া যায় এমন অনেক গাছপালাও রয়েছে ক্যাম্পাসে। তাছাড়া ৮ প্রজাতির বেত, ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষিত আছে এখানে। ৭ প্রজাতির বিদেশি বৃক্ষ এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে বর্ধিত করেছে আরও। এখানে সাইকাস নামে একটি নগ্নবীজী বৃক্ষ রয়েছে, যেটি সীতাকুণ্ড পাহাড় ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না।
চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায় ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৮ হেক্টর জায়গার মধ্যে ৮০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে বৃক্ষ আচ্ছাদিত পাহাড়, উপত্যকা ও সমতল ভূমি। এই ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ উদ্ভিদ চিরসবুজ প্রকৃতির। ক্যাম্পাস এলাকাটির সব উদ্ভিদের স্বভাব দেখতে অনেকটা প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের মতো।
বন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা অসীম কুমার পাল বলেন, 'প্রতিদিন বিএফআরআই ক্যাম্পাসে অনেক দর্শনার্থী আসেন। আবার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী ও গবেষকরাও আসেন। তারা এখানকার সব গাছের নাম জানেন না। তাই ক্যাম্পাসের রাস্তার পাশে ও যেখানে সবার যাতায়াত আছে, ওই সব জায়গার গাছগুলোতে নামফলক দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে আমরা যে সব গাছের নামফলক তৈরি করেছি, তার কাজ শেষ হবে।'
এ প্রসঙ্গে বিএফআরআইয়ের পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার বলেন, 'সাধারণত যারা উদ্ভিদ ও বন নিয়ে কাজ করেন তারা ছাড়া সাধারণ মানুষ সব গাছের নাম জানেন না। তাই বিএফআরআইয়ের ক্যাম্পাসে বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রজাতিসহ চার শতাধিক গাছে নামফলক দিয়ে পরিচিতি করানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গাছেরও নামকরণ হবে।'
জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় বিএফআরআইয়ের গাছের নামফলক উন্মোচনের কাজ। চলতি মাসে শেষ হবে এসব গাছের নামফলক দেওয়ার কাজ। ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের তত্ত্বাবধানে গবেষণা সহকারী গ্রেড-১ (উদ্ভিদ শ্রেণিবিন্যাসতত্ত্ববিদ) ছৈয়দুল আলম ৪১০টি বৃক্ষের হালনাগাদ নামকরণ দিয়ে নামফলক তৈরি করেন। প্রতি গাছের নামফলকে চারটি বিষয়ের মধ্যে স্থানীয় নাম, ইংরেজি নাম, বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিবারের নাম দেওয়া হয়েছে। বিএফআরআইয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে অফিস ভবন, আবাসিক এলাকা, পূর্ব পাহাড়, পশ্চিম পাহাড় ও অতিথিশালা এলাকার ছোট, মাঝারি ও বড় গাছে এসব 'নামফলক' দেওয়া হয়েছে।
নামফলক দেওয়া বৃক্ষের মধ্যে স্থানীয় নামগুলো হলো তেলশুর, তেলিগর্জন, ঢাকিজাম, ইউক্যালিপটাস, মেহগনি, শাল, চম্পা, লোহাকাঠ, দেবদারু, শ্রীলংকান ছাতিম, জ্যাকেরান্ডা, ক্ষণা, বার্মা শিমুল, ধূপ, গুটগুইট্টা, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, হলুদ কৃষ্ণচূড়া, ঝাউ, নাগেশ্বর, কাউগোলা, বহেরা, কাঠবাদাম, বৈলাম, কাইনজল ভাদী, পলাশ, অর্মোসিয়া, চালমুগড়া, সিধাজারুল, লম্বু, তুন, খয়ের, রাজকড়ই, রেইনট্রি, বটগাছ, বটল ব্রাশ, সিলকি ওক, কন্যারি, বাজনা, রক্তন, মহুয়া, বকুল, সুন্দরী, বান্দরহোলা, জংগলী বাদাম, অয়েল পাম, চায়না পাম, বটল পাম, অরোকেরিয়া, পাইন, বাঁশপাতা ইত্যাদি।
২০১৫ সালে বিএফআরআই ক্যাম্পাসের এক বৃক্ষ চিহ্নিতকরণ জরিপে দেখা যায়, উদ্ভিদের ১১২ পরিবারের মধ্যে ৩৯১ জেনাসের অধীনে ৬০৫ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। বন্যপ্রাণীদের আবাস ও খাদ্য উৎপাদনকারী অনেক গাছপালা আছে এখানে। ক্যাম্পাস এলাকায় যেমন অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ রয়েছে, তেমনি ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন বৃক্ষও রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর অরণ্যে পাওয়া যায় এমন অনেক গাছপালাও রয়েছে ক্যাম্পাসে। তাছাড়া ৮ প্রজাতির বেত, ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষিত আছে এখানে। ৭ প্রজাতির বিদেশি বৃক্ষ এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে বর্ধিত করেছে আরও। এখানে সাইকাস নামে একটি নগ্নবীজী বৃক্ষ রয়েছে, যেটি সীতাকুণ্ড পাহাড় ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না।
চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায় ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৮ হেক্টর জায়গার মধ্যে ৮০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে বৃক্ষ আচ্ছাদিত পাহাড়, উপত্যকা ও সমতল ভূমি। এই ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ উদ্ভিদ চিরসবুজ প্রকৃতির। ক্যাম্পাস এলাকাটির সব উদ্ভিদের স্বভাব দেখতে অনেকটা প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের মতো।
বন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা অসীম কুমার পাল বলেন, 'প্রতিদিন বিএফআরআই ক্যাম্পাসে অনেক দর্শনার্থী আসেন। আবার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী ও গবেষকরাও আসেন। তারা এখানকার সব গাছের নাম জানেন না। তাই ক্যাম্পাসের রাস্তার পাশে ও যেখানে সবার যাতায়াত আছে, ওই সব জায়গার গাছগুলোতে নামফলক দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে আমরা যে সব গাছের নামফলক তৈরি করেছি, তার কাজ শেষ হবে।'
No comments