আজাদ কাশ্মীর দখল করে নেবে ভারত!
ভারত
কি তবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর দখল করে নেবে! ভারতের কিছু
রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যের পর এমন আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয়
নেতারা এখন আর রাখঢাক রাখছেন না। তারা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন,
‘পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীরও আমাদের’। কেউ কেউ বলছেন, পাকিস্তান ভেঙে টুকরো
টুকরো হয়ে যাবে। যুদ্ধ এড়াতে আজাদ-কাশ্মীরকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে।
আজাদ-কাশ্মীরকে হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে পাকিস্তানকে। এমন সব হুমকি
এসেছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ ও
ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রামদাস আথাওয়েলে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়
রূপানি প্রমুখের তরফ থেকে। অন্যদিকে ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান, সড়ক পরিবহন ও
মহাসড়ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভিপি সিং জানিয়েছেন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত
কাশ্মীরের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ
সরকারের রয়েছে ‘বিশেষ কৌশল’। কি সেই বিশেষ কৌশল তা নিয়েই এখন প্রশ্ন। সেটা
কি তবে আজাদ কাশ্মীরকে ভারতের দখলে নেয়া?
বিষয়টি সম্ভবত আগেভাগেই ঠাহর করতে পেরেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর তিনি সোচ্চার হয়েছেন। তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন ভারতের কৌশল অন্যখানে। তারা আজাদ কাশ্মীরের দিকে শ্যেন দৃষ্টি ফেলেছে। তাই পাকিস্তান সরকারে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। তারা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হচ্ছে এবং তাদেরকে হুঁশিয়ার করছে এই বলে যে, ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রধর। একবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তা শুধু উপমহাদেশের মধ্যেই সীমিত থাকবে না। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো বিশ্ব।
সর্বশেষ রোববার আজাদ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার ইঙ্গিত দেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। তিনি বলেন, আজাদ কাশ্মীরকে হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত পাকিস্তানের। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। বলেন, তিনি যেন সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ করেন। বিজয় রূপানি আরো বলেন, ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। এখন পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীরও আমাদের। পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীর হারানোর জন্য পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকা উচিত। একীভূত ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হতে প্রস্তুত। সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে। এমন সমর্থন দেয়া হলে ভারত তা সহ্য করবে না। ভারত একতা মঞ্চের এক র্যালিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া পাকিস্তানকে প্রায় একই রকম হুমকি দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তান ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে এখন নয়া দিল্লি একটি ইস্যুতেই আলোচনা করবে। তাহলো পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীর। অন্যদিকে যুদ্ধ এড়াতে আজাদ-কাশ্মীরকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে বলে ইমরান খানকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়েলে। শুক্রবার তিনি বলেছেন, যদি ভারতের সঙ্গে একটি যুদ্ধ এড়াতে চায় প্রতিবেশী দেশটি তাহলে তাদের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উচিত হবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে (আজাদ কাশ্মীর) ভারতের হাতে তুলে দেয়া। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ‘বিশেষ কৌশল’ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান ভিকে সিং জানানোর একদিন পরেই এমন মন্তব্য করলেন রামদাস আথাওয়েলে। সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিষয়ে ‘অ্যাকশন’ নিতে সব সময়ই প্রস্তুত সেনাবাহিনী। তারা শুধু কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাবেক সেনাপ্রধান ভিকে সিং ওই মন্তব্য করেন। তিনি শুধু বলেন, একটি ‘স্ট্রাটেজি’ বা কৌশল আছে। কিন্তু কি সেই কৌশল তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাবে না।
বিষয়টি সম্ভবত আগেভাগেই ঠাহর করতে পেরেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর তিনি সোচ্চার হয়েছেন। তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন ভারতের কৌশল অন্যখানে। তারা আজাদ কাশ্মীরের দিকে শ্যেন দৃষ্টি ফেলেছে। তাই পাকিস্তান সরকারে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। তারা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হচ্ছে এবং তাদেরকে হুঁশিয়ার করছে এই বলে যে, ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রধর। একবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তা শুধু উপমহাদেশের মধ্যেই সীমিত থাকবে না। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো বিশ্ব।
সর্বশেষ রোববার আজাদ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার ইঙ্গিত দেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। তিনি বলেন, আজাদ কাশ্মীরকে হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত পাকিস্তানের। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। বলেন, তিনি যেন সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ করেন। বিজয় রূপানি আরো বলেন, ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। এখন পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীরও আমাদের। পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীর হারানোর জন্য পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকা উচিত। একীভূত ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হতে প্রস্তুত। সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে। এমন সমর্থন দেয়া হলে ভারত তা সহ্য করবে না। ভারত একতা মঞ্চের এক র্যালিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া পাকিস্তানকে প্রায় একই রকম হুমকি দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তান ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে এখন নয়া দিল্লি একটি ইস্যুতেই আলোচনা করবে। তাহলো পাকিস্তান দখলীকৃত কাশ্মীর। অন্যদিকে যুদ্ধ এড়াতে আজাদ-কাশ্মীরকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে বলে ইমরান খানকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়েলে। শুক্রবার তিনি বলেছেন, যদি ভারতের সঙ্গে একটি যুদ্ধ এড়াতে চায় প্রতিবেশী দেশটি তাহলে তাদের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উচিত হবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে (আজাদ কাশ্মীর) ভারতের হাতে তুলে দেয়া। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ‘বিশেষ কৌশল’ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান ভিকে সিং জানানোর একদিন পরেই এমন মন্তব্য করলেন রামদাস আথাওয়েলে। সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিষয়ে ‘অ্যাকশন’ নিতে সব সময়ই প্রস্তুত সেনাবাহিনী। তারা শুধু কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাবেক সেনাপ্রধান ভিকে সিং ওই মন্তব্য করেন। তিনি শুধু বলেন, একটি ‘স্ট্রাটেজি’ বা কৌশল আছে। কিন্তু কি সেই কৌশল তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাবে না।
No comments