অবরুদ্ধ কাশ্মীরে দমন অভিযান গ্রেপ্তার ৪০০০
কাশ্মীরের
বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি তথ্যে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে ভারত
সরকারের দমন অভিযানের সবচেয়ে স্পষ্ট প্রমাণ এই তথ্য। সরকারি তথ্যের বরাত
দিয়ে এমনটা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা
রদের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর থেকেই বহির্বিশ্ব থেকে
কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীরে। কেটে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও
মোবাইল ফোন পরিষেবা। ল্যান্ডলাইন আর চিঠির যুগে ফিরে গেছে অঞ্চলটি। ব্যাহত
হচ্ছে নৈমিত্তিক জীবনযাপন। সরকারের এমন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে প্রতিনিয়ত
বিক্ষোভ হচ্ছে সেখানে। বিক্ষোভ দমাতে চলছে নির্যাতন। বার্তা সংস্থা এপি,
লন্ডনভিত্তিক দৈনিক দ্য টাইমস ও বিবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে
প্রকাশ পাচ্ছে কাশ্মীরিদের ওপর সেনাদের নির্মম নির্যাতনের খবর।
সরকারি এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮০০ বেশি মানুষকে। তার মধ্যে অবশ্য ২ হাজার ৬০০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আতককৃতদের মধ্যে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ দুই শতাধিক রাজনীতিবিদ ও শতাধিক স্থানীয় নেতাও রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রয়টার্স। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সাড়া দেয়নি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ বিভাগও।
রয়টার্স জানায়, ঠিক কী অপরাধে এভাবে কাশ্মীরিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সপষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এক ভারতীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছে, কয়েকজনকে জন নিরাপত্তা আইনের অধীনে আটকে রাখা হচ্ছে। এই আইনের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের যেকোনো মানুষকে অভিযোগ ছাড়াই দু’বছর আটকে রাখতে পারে পুলিশ। আটক করা বেশিরভাগ মানুষকেই ‘পাথর নিক্ষেপকারী ও অন্যান্য দুর্বৃত্ত’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ জনকে গত রোববার আগ্রার একটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা ভারত সরকারের এ ধরনের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি বলেছে, এসব অভিযান কাশ্মীরের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’। এমনভাবে গণআটকের কারণে অঞ্চলজুড়ে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অ্যামনেস্টির ভারত কার্যালয়ের প্রধান আকার পাটেল বলেন, এই যোগাযোগ অবরোধ, নিরাপত্তাজনিত দমন অভিযান ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করার ঘটনা অঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছে।
ভারতের ভাষ্য, অঞ্চলটিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সহিংসতা প্রতিরোধ করতে এই আটক অভিযান জরুরি। সরকার জানিয়েছে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার সেখানে হতাহতের সংখ্যা খুবই কম। ২০১৬ সালে এক জঙ্গি নেতা হত্যার পর অঞ্চলটিতে সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ মারা যায়। আর এবার মাত্র একজন মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেন, জীবনের অধিকারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার।
সরকারি প্রতিবেদনটি বলা হয়, কাশ্মীর উপত্যকায় মোট ১৩টি পুলিশ নিয়ন্ত্রিত জেলা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল একাকা হচ্ছে শ্রীনগর ও এর আশেপাশের এলাকা। সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার সেখান থেকেই করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে ওই অঞ্চল থেকে। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভও ওই অঞ্চল ঘিরেই হয়েছে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রায়ই অস্থিরতা দেখা দেয়। গ্রেপ্তার হওয়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে ৮০ জনের বেশি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য। দলটি আগে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। এছাড়া, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ৭০ সদস্য ও কংগ্রেসের এক ডজনের বেশি সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে অনানুষ্ঠানিক গৃহবন্দির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানান, খুব সম্ভবত এখনো ১ হাজার ২০০ বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা রয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিনই আরো কয়েক ডজন মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
সরকারি এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮০০ বেশি মানুষকে। তার মধ্যে অবশ্য ২ হাজার ৬০০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আতককৃতদের মধ্যে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ দুই শতাধিক রাজনীতিবিদ ও শতাধিক স্থানীয় নেতাও রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রয়টার্স। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সাড়া দেয়নি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ বিভাগও।
রয়টার্স জানায়, ঠিক কী অপরাধে এভাবে কাশ্মীরিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সপষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এক ভারতীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছে, কয়েকজনকে জন নিরাপত্তা আইনের অধীনে আটকে রাখা হচ্ছে। এই আইনের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের যেকোনো মানুষকে অভিযোগ ছাড়াই দু’বছর আটকে রাখতে পারে পুলিশ। আটক করা বেশিরভাগ মানুষকেই ‘পাথর নিক্ষেপকারী ও অন্যান্য দুর্বৃত্ত’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ জনকে গত রোববার আগ্রার একটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা ভারত সরকারের এ ধরনের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি বলেছে, এসব অভিযান কাশ্মীরের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’। এমনভাবে গণআটকের কারণে অঞ্চলজুড়ে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অ্যামনেস্টির ভারত কার্যালয়ের প্রধান আকার পাটেল বলেন, এই যোগাযোগ অবরোধ, নিরাপত্তাজনিত দমন অভিযান ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করার ঘটনা অঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছে।
ভারতের ভাষ্য, অঞ্চলটিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সহিংসতা প্রতিরোধ করতে এই আটক অভিযান জরুরি। সরকার জানিয়েছে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার সেখানে হতাহতের সংখ্যা খুবই কম। ২০১৬ সালে এক জঙ্গি নেতা হত্যার পর অঞ্চলটিতে সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ মারা যায়। আর এবার মাত্র একজন মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেন, জীবনের অধিকারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার।
সরকারি প্রতিবেদনটি বলা হয়, কাশ্মীর উপত্যকায় মোট ১৩টি পুলিশ নিয়ন্ত্রিত জেলা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল একাকা হচ্ছে শ্রীনগর ও এর আশেপাশের এলাকা। সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার সেখান থেকেই করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে ওই অঞ্চল থেকে। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভও ওই অঞ্চল ঘিরেই হয়েছে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রায়ই অস্থিরতা দেখা দেয়। গ্রেপ্তার হওয়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে ৮০ জনের বেশি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য। দলটি আগে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। এছাড়া, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ৭০ সদস্য ও কংগ্রেসের এক ডজনের বেশি সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে অনানুষ্ঠানিক গৃহবন্দির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানান, খুব সম্ভবত এখনো ১ হাজার ২০০ বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা রয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিনই আরো কয়েক ডজন মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
No comments