পাটে লাভ নেই, সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
পাট
চাষে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে সবজি চাষে ঝুঁকছেন নওগাঁর কৃষকরা। জেলা কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে সবসহ
প্রায় ১৪-১৫ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু পাট বিক্রি করে মূল টাকা তোলাই অসম্ভব
হয়ে পড়েছে। লোকসানের মুখে তাই পাট চাষে কৃষকদের অনীহা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ হাজার ২৫ হেক্টর এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে ৬ হাজর ১৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৫ বেল পাট।
পাট চাষি আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতি বিঘা পাটের আবাদ করতে হাল চাষ ৬শ’ টাকা, বীজ ২শ’ টাকা; সার-ওষুধ-নিড়ানি-সেচ ৪ হাজার টাকা, শ্রমিকের খাবার ২ হাজার টাকা, কাটা ও ধোয়া ৮ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদন হয়ে থাকে ১০-১৪ মণ, যা বিক্রি করে খরচ ওঠে না। তাই আর পাট আবাদ করি না। পাটের জমিতে এখন সবজি লাগাই। লাভও ভালো পাচ্ছি।’
পত্নীতলা গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়া বলেন, ‘পাটের আবাদে সবচেয়ে বড় সমস্যা জাগ দেওয়ার জায়গা না থাকা এবং পানি। পাট কাটার পর ভেজানোর জন্য যে সময় পানির দরকার, তা পাওয়া যায় না। এ সমস্যার কারণে আর আবাদ করিনি। সে জমিতে এখন সবজি চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি। পাটের মতো ঝামেলাও পোহাতে হয় না।’
মহাদেবপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর দুই বিঘাতে পাটের আবাদ করেছিলাম। এ বছর এক বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছি।’
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) আহসান শহীদ সরকার বলেন, ‘এক সময় প্রচুর পাটের আবাদ করা হতো। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছর কমছে পাটের আবাদ। পাটের আবাদ ছেড়ে কৃষকরা সবজির আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।’
জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ হাজার ২৫ হেক্টর এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে ৬ হাজর ১৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৫ বেল পাট।
পাট চাষি আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতি বিঘা পাটের আবাদ করতে হাল চাষ ৬শ’ টাকা, বীজ ২শ’ টাকা; সার-ওষুধ-নিড়ানি-সেচ ৪ হাজার টাকা, শ্রমিকের খাবার ২ হাজার টাকা, কাটা ও ধোয়া ৮ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদন হয়ে থাকে ১০-১৪ মণ, যা বিক্রি করে খরচ ওঠে না। তাই আর পাট আবাদ করি না। পাটের জমিতে এখন সবজি লাগাই। লাভও ভালো পাচ্ছি।’
পত্নীতলা গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়া বলেন, ‘পাটের আবাদে সবচেয়ে বড় সমস্যা জাগ দেওয়ার জায়গা না থাকা এবং পানি। পাট কাটার পর ভেজানোর জন্য যে সময় পানির দরকার, তা পাওয়া যায় না। এ সমস্যার কারণে আর আবাদ করিনি। সে জমিতে এখন সবজি চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি। পাটের মতো ঝামেলাও পোহাতে হয় না।’
মহাদেবপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর দুই বিঘাতে পাটের আবাদ করেছিলাম। এ বছর এক বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছি।’
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) আহসান শহীদ সরকার বলেন, ‘এক সময় প্রচুর পাটের আবাদ করা হতো। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছর কমছে পাটের আবাদ। পাটের আবাদ ছেড়ে কৃষকরা সবজির আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।’
No comments