কেমিক্যালমুক্ত ফল চাষে সফল শিক্ষক শামছুল by আতিকুর রহমান
টাঙ্গাইলের
ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে কেমিক্যালমুক্ত ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন
শামছুল আলম দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও ঘাটাইল এস.ই বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ক শিক্ষক শামছুল আলম। তার নিজ গ্রাম রসুলপুরে ৭ একর
জমির ওপর দেশি-বিদেশি ৭৮ প্রকার ফলদ গাছ লাগিয়ে পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক সাড়া
ফেলে দিয়েছেন। পেশায় কৃষি শিক্ষক হওয়ার সুবাদে কৃষি কাজের প্রতি রয়েছে তার
সীমাহীন আগ্রহ ও অদম্য চেষ্টা। গত ৫ বছরের অধিক সময় ধরে পাহাড়ি মাটিতে
কেমিক্যালমুক্ত মাল্টা, লটকন, সৌদি খেজুর, মালয়েশিয়ার ডোরিয়ান, ফোর কেজি
আম, ড্রাগন, রামভুটান কমলা, বারি-৪ মালটা, বাতাবি লেবু, আতা, আমড়া, জাম,
বারোমাসি কাঁঠাল, চায়না-৩ লিচু, আপেল, ডালিম, তাল, লেবু, কলা, জামরুল,
শরিফা, পেয়ারা, আতা, ডালিম, কামরাঙা, জলপাই, নারিকেল, মালবেরি, লেবু,
পেঁপে, কদবেল, কালফল, বেল, বিলম্বি, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, মোসম্বি,
ছাগলনাদা, তিতি জাম, লুকলুকি, তীনফল, কালো আঙ্গুর, আপেল, নাসপাতি, এগফ্রুড,
দুরিয়ান, এভোগ্যাডো, ম্যাংগো স্টিন, কফি, মিরাক্কেল, জাপাটিকাবা, থাই
বাতাবিলেবু, চায়না কমলা, থাই পেয়ারা, লকেট, সুদানী সরিফা, আলু বোখারা,
প্লামফল, পামওয়েল, বিলেতি গাব, সাকরা, ব্রুনাই কিং আম (কেজিয়াম), আমলকী,
চালতা, কাঠলিচু, গাব, পিচফল, জামানফল, চেরিফল, হেমফল, কাইফল, মিষ্টিগাব,
প্লামফল, ছবেদা, অরবরই, আলো বোখড়া, আনারসসহ ৭৮ প্রজাতির মিশ্র ফল এবং মশলা
জাতীয় কালো এলাচ, তেজপাতা, পোলাওপাতা। ঔষধি গাছ- কালোমেঘ, তুলসি, শতমুলি,
ধুতুরা, গ্যাস্টিক গাছ চাষ করে কৃষি সেক্টরে আমূল পরিবর্তন এনে এ দেশের
কৃষকের মনে আশা জাগিয়েছেন। তার এই কর্মযজ্ঞ দেখে অনেক কৃষক বাগান করার জন্য
আগ্রহ পোষণ করেছেন। শামছুল আলম কৃষি বিষয়ক শিক্ষক হওয়ার কারণে তার নিজ
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকতর শিক্ষার পাশাপাশি কৃষি বিষয়ের উপরে
হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়ার জন্য শখের বসে ফলের বাগান করেন। এ বাগান করার
সুবাদেই মনে প্রবল আগ্রহ দেখা দেয় বাণিজ্যিকভাবে কেমিক্যাল মুক্ত ফল চাষ
করার।
পরবর্তীতে উপজেলা ও জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৭ একর জায়গায় ওপর ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নিজে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গড়ে তোলেন দেশি-বিদেশি ৭৮ প্রজাতির ফলদ বৃক্ষের বিশাল বাগান। এ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায়ও রয়েছে নানা প্রজাতির ফলের গাছ। বর্তমানে প্রায় সব গাছেই ফল আসা শুরু হয়েছে। এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবেও ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। বাজারে তার ফলের ব্যাপক চাহিদা। সরকারি ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা পেলে দেশের বিভিন্ন স্থানে কেমিক্যাল মুক্ত ফল চাষের ব্যাপক বিস্তার ঘটাতে পারবেন বলে মনে করেন স্কুল শিক্ষক শামছুল আলম। তার বাগানের ৭ একর জমিতে ৩২ প্রজাতির বেদেশি ও ৪৬ প্রজাতির ফলদ বৃক্ষ রয়েছে। সরজমিনে দেখা ও কথা হয় শামছুল আলমের সঙ্গে। তিনি বাগান ঘুরে প্রতিটি প্রজাতির ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ও খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি সিলেট শহরের মোহাম্মদ মকন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলাম কিন্তু আমার এই বাগান আমাকে দূরে থাকতে দেয়নি। সব সময় মনটা পড়ে থাকতো বাগানের প্রতি। পরে অনেক চেষ্টা করে বদলি হয়ে ঘাটাইলে আসি। এখানে এসেই পুরোদমে বাগানের পরিচর্যায় মনোনিবেশ করি। বর্তমানে আমি সফলতার মুখ দেখছি। প্রতিদিন অনেক লোকজন আমার বাগান দেখতে আসেন এবং এমন বাগান করার জন্য উৎসাহিত হয়ে চারা নিয়ে বাগান তৈরি করছেন। আমি তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য, সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। এবং বেশ কয়েকটি বাগান পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন বর্তমানে কৃষকদের খুব দুরবস্থা চলছে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছে না। ধানের দাম পাঁচশত টাকা মণ। বর্তমানে কৃষকদের পলিছি চেঞ্জ করা উচিত। এ ছাড়াও আমি চাই আমার দেশের মানুষ ভেজালমুক্ত বিষমুক্ত কেমিক্যালমুক্ত ফলমূল ও শাক-সবজি পাক যাতে বিদেশি ফলমূলের ওপর নির্ভরশীল না হতে হয়। আমার মূল উদ্দেশ্য ও আন্দোলনই হচ্ছে ভেজালমুক্ত কেমিক্যালমুক্ত ফল চাষ করা। এছাড়া তিনি কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, শামছুল আলমকে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য, সহযোগিতা-পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। যার কারণে সে উৎসাহিত হয়ে কেমিক্যালমুক্ত ৭৮ প্রজাতির ফল চাষাবাদ করে যাচ্ছে। এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তিনি আজ সফল হয়েছেন।
পরবর্তীতে উপজেলা ও জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৭ একর জায়গায় ওপর ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নিজে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গড়ে তোলেন দেশি-বিদেশি ৭৮ প্রজাতির ফলদ বৃক্ষের বিশাল বাগান। এ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায়ও রয়েছে নানা প্রজাতির ফলের গাছ। বর্তমানে প্রায় সব গাছেই ফল আসা শুরু হয়েছে। এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবেও ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। বাজারে তার ফলের ব্যাপক চাহিদা। সরকারি ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা পেলে দেশের বিভিন্ন স্থানে কেমিক্যাল মুক্ত ফল চাষের ব্যাপক বিস্তার ঘটাতে পারবেন বলে মনে করেন স্কুল শিক্ষক শামছুল আলম। তার বাগানের ৭ একর জমিতে ৩২ প্রজাতির বেদেশি ও ৪৬ প্রজাতির ফলদ বৃক্ষ রয়েছে। সরজমিনে দেখা ও কথা হয় শামছুল আলমের সঙ্গে। তিনি বাগান ঘুরে প্রতিটি প্রজাতির ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ও খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি সিলেট শহরের মোহাম্মদ মকন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলাম কিন্তু আমার এই বাগান আমাকে দূরে থাকতে দেয়নি। সব সময় মনটা পড়ে থাকতো বাগানের প্রতি। পরে অনেক চেষ্টা করে বদলি হয়ে ঘাটাইলে আসি। এখানে এসেই পুরোদমে বাগানের পরিচর্যায় মনোনিবেশ করি। বর্তমানে আমি সফলতার মুখ দেখছি। প্রতিদিন অনেক লোকজন আমার বাগান দেখতে আসেন এবং এমন বাগান করার জন্য উৎসাহিত হয়ে চারা নিয়ে বাগান তৈরি করছেন। আমি তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য, সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। এবং বেশ কয়েকটি বাগান পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন বর্তমানে কৃষকদের খুব দুরবস্থা চলছে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছে না। ধানের দাম পাঁচশত টাকা মণ। বর্তমানে কৃষকদের পলিছি চেঞ্জ করা উচিত। এ ছাড়াও আমি চাই আমার দেশের মানুষ ভেজালমুক্ত বিষমুক্ত কেমিক্যালমুক্ত ফলমূল ও শাক-সবজি পাক যাতে বিদেশি ফলমূলের ওপর নির্ভরশীল না হতে হয়। আমার মূল উদ্দেশ্য ও আন্দোলনই হচ্ছে ভেজালমুক্ত কেমিক্যালমুক্ত ফল চাষ করা। এছাড়া তিনি কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, শামছুল আলমকে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য, সহযোগিতা-পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। যার কারণে সে উৎসাহিত হয়ে কেমিক্যালমুক্ত ৭৮ প্রজাতির ফল চাষাবাদ করে যাচ্ছে। এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তিনি আজ সফল হয়েছেন।
No comments