এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে রাজি করানো উচিত ভারতের: -আসামের অর্থমন্ত্রী বললেন
আসামে
নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে
রাজি করানো উচিত। এজন্য ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল চূড়ান্ত দফায় যেসব ব্যক্তিকে
নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ রাখবেন তাদের বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করা
উচিত নয়া দিল্লির। এ মন্তব্য করেছেন আসামের অর্থমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব
শর্মা। তিনি বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেছেন বলে খবর দিয়েছে অনলাইন স্ক্রল
ডট ইন। এতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ৩১শে আগস্ট আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে অবৈধ হিসেবে বাদ রাখা হয় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনকে। এখন তাদের সামনে আপিল করার সুযোগ আছে। সেই আপিল ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে শুনানি হবে। তাতে চূড়ান্ত দফায় যারা বাদ পড়বেন তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন হিমান্ত বিশ্ব শর্মা। বলেছেন, এজন্য ভারতের উচিত হবে বাদ পড়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে রাজি করানো। তার ভাষায়, চূড়ান্ত রায়ের পরে আমাদের উচিত হবে এসব নাগরিকদের গ্রহণ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা। এসব মানুষ ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। বিভিন্ন সময় নিয়মিতভাবে ১০০ বা ১৫০ জনকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এনআরসি পরবর্তীতে এই সংখ্যা হবে অনেক বেশি। হিমান্ত বিশ্ব শর্মা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা। তিনি প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অনেক হিন্দু। তিনি বলেছেন, যদি বাংলাদেশ তার নাগরিকদের গ্রহণ করতে রাজি না হয় তাহলে আমাদেরকে অন্য কোনো পথ খুঁজতে হবে। তবে আমি বলছি, কোনো বন্দিশিবির স্থাপন করা হবে না। তিনি এমনটি বললেও ভারতেরই অনলাইন নিউজ ১৮ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, আসামে এরই মধ্যে ‘সেন্ট্রাল ডিটেনশন সেন্টার’ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি রুপি। মোট ১১টি এমন বন্দিশিবির নির্মাণ করা হবে। তাতে অর্থ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি রুপি। ওদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কোনো চুক্তি নেই ভারতের। গত মাসে বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, আসামে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সংশয় বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলো যেমন করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, ধুবড়ি ও দক্ষিণ সাইমারাতে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে এনআরসি করতে গিয়ে। তিনি আরো বলেন, পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত জেলাগুলোতে যখন তালিকা থেকে বাদ পড়ার হার শতকরা ১৬ ভাগ, সেখানে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এই হার মাত্র ৬ ভাগ। তাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে শতকরা ২০ ভাগ যাচাই প্রক্রিয়া নতুন করে করতে এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশের শতকরা ১০ ভাগ যাচাই করতে।
৭ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কাছে বাদ পড়া ব্যক্তিদের চূড়ান্ত তালিকা জমা দেয়ার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি। হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, এনআরসি থেকে প্রকৃত যেসব নাগরিক বাদ পড়েছেন তাদেরকে রক্ষার জন্য রাজ্য একটি প্রস্তাব আনবে বা তাদের পক্ষ অবলম্বন করবে বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত এই রিপোর্টকে তিনি মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। তার ভাষায়, নির্বাচনী প্রচারণাকালীন বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যেসব হিন্দু ও বৌদ্ধ অভিবাসী হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আমরা সিটিজেনশিপ বিল কার্যকর করবো। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যে, আসামের পর আমরা পুরো দেশে এনআরসি করবো। হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম হিসেবে প্রকৃত অনেক নাগরিক এবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এ বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। বলেছেন, এরই মধ্যে তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০০ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে তার ১৬০টি কার্যক্রম শুরু করেছে। হিমান্ত বলেন, প্রকৃত অনেক নাগরিক বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। আবার অনেক ভুয়া পরিচয়ধারী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। প্রকৃত ওই নাগরিকদের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ের বিষয় ওই ভুয়া পরিচয়ধারীরা। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলো ও গ্রুপগুলো এনআরসি’র সমালোচনা করছে না। সমালোচনা করছে এর প্রয়োগ নিয়ে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ৩১শে আগস্ট আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে অবৈধ হিসেবে বাদ রাখা হয় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনকে। এখন তাদের সামনে আপিল করার সুযোগ আছে। সেই আপিল ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে শুনানি হবে। তাতে চূড়ান্ত দফায় যারা বাদ পড়বেন তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন হিমান্ত বিশ্ব শর্মা। বলেছেন, এজন্য ভারতের উচিত হবে বাদ পড়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে রাজি করানো। তার ভাষায়, চূড়ান্ত রায়ের পরে আমাদের উচিত হবে এসব নাগরিকদের গ্রহণ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা। এসব মানুষ ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। বিভিন্ন সময় নিয়মিতভাবে ১০০ বা ১৫০ জনকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এনআরসি পরবর্তীতে এই সংখ্যা হবে অনেক বেশি। হিমান্ত বিশ্ব শর্মা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা। তিনি প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অনেক হিন্দু। তিনি বলেছেন, যদি বাংলাদেশ তার নাগরিকদের গ্রহণ করতে রাজি না হয় তাহলে আমাদেরকে অন্য কোনো পথ খুঁজতে হবে। তবে আমি বলছি, কোনো বন্দিশিবির স্থাপন করা হবে না। তিনি এমনটি বললেও ভারতেরই অনলাইন নিউজ ১৮ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, আসামে এরই মধ্যে ‘সেন্ট্রাল ডিটেনশন সেন্টার’ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি রুপি। মোট ১১টি এমন বন্দিশিবির নির্মাণ করা হবে। তাতে অর্থ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি রুপি। ওদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কোনো চুক্তি নেই ভারতের। গত মাসে বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, আসামে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সংশয় বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলো যেমন করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, ধুবড়ি ও দক্ষিণ সাইমারাতে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে এনআরসি করতে গিয়ে। তিনি আরো বলেন, পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত জেলাগুলোতে যখন তালিকা থেকে বাদ পড়ার হার শতকরা ১৬ ভাগ, সেখানে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এই হার মাত্র ৬ ভাগ। তাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে শতকরা ২০ ভাগ যাচাই প্রক্রিয়া নতুন করে করতে এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশের শতকরা ১০ ভাগ যাচাই করতে।
৭ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কাছে বাদ পড়া ব্যক্তিদের চূড়ান্ত তালিকা জমা দেয়ার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি। হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, এনআরসি থেকে প্রকৃত যেসব নাগরিক বাদ পড়েছেন তাদেরকে রক্ষার জন্য রাজ্য একটি প্রস্তাব আনবে বা তাদের পক্ষ অবলম্বন করবে বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত এই রিপোর্টকে তিনি মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। তার ভাষায়, নির্বাচনী প্রচারণাকালীন বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যেসব হিন্দু ও বৌদ্ধ অভিবাসী হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আমরা সিটিজেনশিপ বিল কার্যকর করবো। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যে, আসামের পর আমরা পুরো দেশে এনআরসি করবো। হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম হিসেবে প্রকৃত অনেক নাগরিক এবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এ বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। বলেছেন, এরই মধ্যে তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০০ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে তার ১৬০টি কার্যক্রম শুরু করেছে। হিমান্ত বলেন, প্রকৃত অনেক নাগরিক বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। আবার অনেক ভুয়া পরিচয়ধারী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। প্রকৃত ওই নাগরিকদের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ের বিষয় ওই ভুয়া পরিচয়ধারীরা। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলো ও গ্রুপগুলো এনআরসি’র সমালোচনা করছে না। সমালোচনা করছে এর প্রয়োগ নিয়ে।
No comments