পোলট্র্রি খামারে নাজমা বেগমের সাফল্য
পোলট্রি
খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নাজমা বেগম নামের এক গৃহবধূ। খামারে মুরগি
পালনের আগে তার স্বামী ক্ষুদ্র পরিসরে মাছ চাষ করতেন। মাছ চাষে যে সামান্য
অর্থ উপার্জন হতো তা দিয়ে চার সন্তানের লেখাপড়া ও পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয়
খরচ বহন করা কষ্টকর হতো। তিনি ২০১২ সালে সাংসারিক অসচ্ছলতার মাঝেই ক্ষুদ্র
পরিসরে একটি পোলট্রি খামার তৈরির পরিকল্পনা করেন। অর্থের অভাবে খামারের
সরঞ্জামসহ মুরগির বাচ্চা ও খাবার যোগান দেয়া সম্ভব ছিল না। ওই বছরের ৩০শে
নভেম্বর এনজিও সংস্থা ‘মুসলিম এইড বাংলাদেশ’ নামক প্রতিষ্ঠানের ফেনী সদর
শাখার দক্ষিণ শর্শদী সমিতিতে ভর্তি হয়ে অল্প লাভে ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ
করেন। খামার থেকে উপার্জনকৃত টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন
সময়ে মুসলিম এইড থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ঋণের টাকায় পোলট্রি
খামার উন্নত করায় তার আয়ও বৃদ্ধি পায়।
তার উৎপাদিত মুরগি শর্শদী ও ফেনী বাজারে নিয়মিত বাজারজাত করা হচ্ছে। আগে প্রতি মাসে তার আয় হতো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। নাজমা বেগম ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শর্শদী গ্রামের মো. মফিজুল হোসেনের স্ত্রী।
নাজমা বেগমের পোলট্রি খামারে দুটি ঘর রয়েছে। বর্তমানে খামারে নাজমা বেগম ও তার স্বামী মফিজুল হোসেন কাজ করেন। এছাড়াও তাদের কাজে সহযোগিতার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খামারটি লোকালয় থেকে একটু দূরে হওয়ায় মুরগির বর্জ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে না। নাজমা খামার করে লাভবান হওয়ায় কিছু বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হয়ে খামার করে বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে। নাজমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খামারের আয় দিয়ে নিজের পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণের সেবা করতে পারছে। সুন্দরভাবে চলছে স্বামী ও চার মেয়ে নিয়ে তার পরিবার। অভাব অনটন থেকে আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যা তিনি জীবনের সফলতা বলে মনে করেন। পোলট্রি খামারের আয় দিয়ে তিনি স্থানীয় জাতের দুটি গরু কিনেছেন। বর্তমানে জমি ও বিল্ডিং ছাড়া তার চলমান পুঁজি ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সর্বশেষ গত বছরের আগস্ট মাসে মুসলিম এইড থেকে দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ গ্রহণের পর বেশি উন্নতি হয়েছে দাবি করে নাজমা বেগম নিজের সফলতা অর্জনে মুসলিম এইড বাংলাদেশের ফেনী সদর শাখার কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তার উৎপাদিত মুরগি শর্শদী ও ফেনী বাজারে নিয়মিত বাজারজাত করা হচ্ছে। আগে প্রতি মাসে তার আয় হতো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। নাজমা বেগম ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শর্শদী গ্রামের মো. মফিজুল হোসেনের স্ত্রী।
নাজমা বেগমের পোলট্রি খামারে দুটি ঘর রয়েছে। বর্তমানে খামারে নাজমা বেগম ও তার স্বামী মফিজুল হোসেন কাজ করেন। এছাড়াও তাদের কাজে সহযোগিতার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খামারটি লোকালয় থেকে একটু দূরে হওয়ায় মুরগির বর্জ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে না। নাজমা খামার করে লাভবান হওয়ায় কিছু বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হয়ে খামার করে বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে। নাজমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খামারের আয় দিয়ে নিজের পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণের সেবা করতে পারছে। সুন্দরভাবে চলছে স্বামী ও চার মেয়ে নিয়ে তার পরিবার। অভাব অনটন থেকে আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যা তিনি জীবনের সফলতা বলে মনে করেন। পোলট্রি খামারের আয় দিয়ে তিনি স্থানীয় জাতের দুটি গরু কিনেছেন। বর্তমানে জমি ও বিল্ডিং ছাড়া তার চলমান পুঁজি ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সর্বশেষ গত বছরের আগস্ট মাসে মুসলিম এইড থেকে দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ গ্রহণের পর বেশি উন্নতি হয়েছে দাবি করে নাজমা বেগম নিজের সফলতা অর্জনে মুসলিম এইড বাংলাদেশের ফেনী সদর শাখার কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
No comments