তিন বছরে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষে এলিজার উচ্ছ্বাস
চট্টগ্রামে এলিজা বিনতে এলাহী |
বাংলাদেশের
৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো দেখার অভিযানে নেমেছিলেন এলিজা
বিনতে এলাহী। তিন বছর পর সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। দেশের সব
হেরিটেজ সাইট দেখেছেন এই পর্যটক। তাই তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
গত ২৮ আগস্ট বুধবার চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন এলিজা। ওই দিন দুপুরে মিরসরাই জমিদার বাড়ি দেখে সন্ধ্যায় বন্দরনগরীতে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড ও ৩০ আগস্ট আনোয়ারা ঘুরে দেখার ইচ্ছে আছে তার।
২০১৬ সালের ১৭ মে বলধা গার্ডেন দিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ শুরু হয় এলিজার। তখন তিনি এই উদ্যোগের নাম রাখেন ‘কোয়েস্ট: অ্যা হেরিটেজ জার্নি অব বাংলাদেশ’। তার কথায়, ‘এটা আমার অনুসন্ধান, খোঁজা, জানা। নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য ঘুরছি। সেজন্য কোয়েস্ট নামটি বেছে নিই।’
২৮ আগস্ট এলিজা শেষ করলেন ৬৪ জেলার হেরিটেজ জার্নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উচ্ছ্বাস নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই পরিভ্রমণে জেনেছি অনেক, শিখেছি অনেক, পেয়েছি অনেক বন্ধু। শুধু মনে হচ্ছে সব অভিজ্ঞতা যদি লিপিবদ্ধ করতে চাই, তাহলে একজীবন অনেক কম। আমার ৪৩ বছর জীবনের ট্রাভেলার হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এসব।’
ভ্রমণের মাধ্যমে ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করেছেন এলিজা। ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর ভিডিও, ফটোগ্রাফি ও লেখালেখির মাধ্যমে ডকুমেন্টেশন করেছেন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন লেখক ও প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতরের বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন এই ভ্রমণপিপাসু।
এলিজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এসবের বেশিরভাগই অবহেলিত। এগুলো সরেজমিনে ভ্রমণ করে লোকশ্রুতি, লিখিত দলিল, স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। শিক্ষা-গবেষণা ও পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এসব।’
হেরিটেজ ট্যুরিজমের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক দেশ বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে সেই সম্ভাবনা অফুরান মনে করেন ট্রাভেলার এলিজা বিনতে এলাহী। তার মন্তব্য, ‘এর মাধ্যমে একইসঙ্গে সেগুলো সংরক্ষিত থাকবে ও আয়ের ক্ষেত্র তৈরি হবে।’
এলিজার আশা, ‘আমার উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ বাংলাদেশের হেরিটেজ সম্পর্কে জানবেন, কর্তাব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন, পর্যটকরাও সচেতন হবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাওয়া প্রতিক্রিয়ায় বুঝেছি, নিজের জেলার মানুষজনই অনেক স্থাপনার কথা জানে না। আমরা সাধারণত বেড়ানোর জন্য সাজেক, কক্সবাজার, সিলেটের চা-বাগানে বেড়াতে যাই। তাই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘুরে দেখতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই সবাইকে। এর মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ করা যায়।’
এলিজা বিনতে এলাহী বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার বিজনেস বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক। তিনি নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে অধ্যয়নরত। সেখানে তার গবেষণার বিষয় ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের গুরুত্ব’।
এলিজার কথায়, ‘বাংলাদেশকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক হেরিটেজ গন্তব্য হিসেবে দেখাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। একজন মা, শিক্ষক ও স্ত্রী ভ্রমণ করতে পারে, আমি সেটি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য নিরাপদ, এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই। বাংলাদেশ ঐতিহ্যের দেশ। ভালোবাসি এদেশের প্রতিটি ধূলিকণা, মাটি, ইট, পাথর, পাহাড়, সাগর, বৃষ্টি, হাটবাজারসহ সব।’
১৯৯৯ সালে নেপালে প্রথম বিদেশ ভ্রমণে যান এলিজা। ইতোমধ্যে ৪৬টি দেশে বেড়িয়েছেন তিনি। এশিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বেরিয়েছে তার দুটি তথ্যবহুল প্রকাশনা “এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরি” ও “এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরি-২”। প্রতিটি জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা নিয়ে আলাদাভাবে বই লেখার পরিকল্পনা আছে তার।
গত ২৮ আগস্ট বুধবার চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন এলিজা। ওই দিন দুপুরে মিরসরাই জমিদার বাড়ি দেখে সন্ধ্যায় বন্দরনগরীতে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড ও ৩০ আগস্ট আনোয়ারা ঘুরে দেখার ইচ্ছে আছে তার।
২০১৬ সালের ১৭ মে বলধা গার্ডেন দিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ শুরু হয় এলিজার। তখন তিনি এই উদ্যোগের নাম রাখেন ‘কোয়েস্ট: অ্যা হেরিটেজ জার্নি অব বাংলাদেশ’। তার কথায়, ‘এটা আমার অনুসন্ধান, খোঁজা, জানা। নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য ঘুরছি। সেজন্য কোয়েস্ট নামটি বেছে নিই।’
২৮ আগস্ট এলিজা শেষ করলেন ৬৪ জেলার হেরিটেজ জার্নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উচ্ছ্বাস নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই পরিভ্রমণে জেনেছি অনেক, শিখেছি অনেক, পেয়েছি অনেক বন্ধু। শুধু মনে হচ্ছে সব অভিজ্ঞতা যদি লিপিবদ্ধ করতে চাই, তাহলে একজীবন অনেক কম। আমার ৪৩ বছর জীবনের ট্রাভেলার হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এসব।’
ভ্রমণের মাধ্যমে ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করেছেন এলিজা। ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর ভিডিও, ফটোগ্রাফি ও লেখালেখির মাধ্যমে ডকুমেন্টেশন করেছেন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন লেখক ও প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতরের বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন এই ভ্রমণপিপাসু।
এলিজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এসবের বেশিরভাগই অবহেলিত। এগুলো সরেজমিনে ভ্রমণ করে লোকশ্রুতি, লিখিত দলিল, স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। শিক্ষা-গবেষণা ও পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এসব।’
হেরিটেজ ট্যুরিজমের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক দেশ বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে সেই সম্ভাবনা অফুরান মনে করেন ট্রাভেলার এলিজা বিনতে এলাহী। তার মন্তব্য, ‘এর মাধ্যমে একইসঙ্গে সেগুলো সংরক্ষিত থাকবে ও আয়ের ক্ষেত্র তৈরি হবে।’
এলিজার আশা, ‘আমার উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ বাংলাদেশের হেরিটেজ সম্পর্কে জানবেন, কর্তাব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন, পর্যটকরাও সচেতন হবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাওয়া প্রতিক্রিয়ায় বুঝেছি, নিজের জেলার মানুষজনই অনেক স্থাপনার কথা জানে না। আমরা সাধারণত বেড়ানোর জন্য সাজেক, কক্সবাজার, সিলেটের চা-বাগানে বেড়াতে যাই। তাই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘুরে দেখতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই সবাইকে। এর মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ করা যায়।’
এলিজা বিনতে এলাহী বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার বিজনেস বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক। তিনি নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে অধ্যয়নরত। সেখানে তার গবেষণার বিষয় ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের গুরুত্ব’।
এলিজার কথায়, ‘বাংলাদেশকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক হেরিটেজ গন্তব্য হিসেবে দেখাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। একজন মা, শিক্ষক ও স্ত্রী ভ্রমণ করতে পারে, আমি সেটি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য নিরাপদ, এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই। বাংলাদেশ ঐতিহ্যের দেশ। ভালোবাসি এদেশের প্রতিটি ধূলিকণা, মাটি, ইট, পাথর, পাহাড়, সাগর, বৃষ্টি, হাটবাজারসহ সব।’
১৯৯৯ সালে নেপালে প্রথম বিদেশ ভ্রমণে যান এলিজা। ইতোমধ্যে ৪৬টি দেশে বেড়িয়েছেন তিনি। এশিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বেরিয়েছে তার দুটি তথ্যবহুল প্রকাশনা “এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরি” ও “এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরি-২”। প্রতিটি জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা নিয়ে আলাদাভাবে বই লেখার পরিকল্পনা আছে তার।
No comments