আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা অবর্ণনীয়: -শবনম ফারিয়া by ওয়ালিউল বিশ্বাস
শবনম ফারিয়া। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বড় পর্দাতেও ‘দেবী’
দিয়ে প্রশংসিত। মডেলিং, অভিনয়ের পর তাকে দেখা গেছে বিচারকের আসনেও। কাজ
করছেন চ্যানেল আইয়ের ‘কে হবে মাসুদ রানা’-এর বিচারক হিসেবে। সম্প্রতি
অনুষ্ঠানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এগুলো
নিয়েই কথা বললেন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে-
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এর খবর কী!
শবনম ফারিয়া: অনেকদিন পর এই ধারাবাহিক নাটকটি থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শক-নির্মাতা সবাই বেশ প্রশংসা করছেন। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ এটি পরিচালনা করছেন। খুব রেসপন্স পাচ্ছি।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘দেবী’র পর অনেক দিন হয়ে গেল। সিনেমাতে কি আর আসবেন না?
শবনম ফারিয়া: আসলে অনেক প্রস্তাব আসছে। কিন্তু আমি যেমনটা চাই তেমন নয়। বরাবরের মতোই আমি পাণ্ডুলিপির বিষয়ে একটু খুঁতখুঁতে। তাই হয়তো হচ্ছে না।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এর খবর কী!
শবনম ফারিয়া: অনেকদিন পর এই ধারাবাহিক নাটকটি থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শক-নির্মাতা সবাই বেশ প্রশংসা করছেন। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ এটি পরিচালনা করছেন। খুব রেসপন্স পাচ্ছি।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘দেবী’র পর অনেক দিন হয়ে গেল। সিনেমাতে কি আর আসবেন না?
শবনম ফারিয়া: আসলে অনেক প্রস্তাব আসছে। কিন্তু আমি যেমনটা চাই তেমন নয়। বরাবরের মতোই আমি পাণ্ডুলিপির বিষয়ে একটু খুঁতখুঁতে। তাই হয়তো হচ্ছে না।
বাংলা ট্রিবিউন:
এবার আলোচিত একটি প্রসঙ্গে আসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কে হবে মাসুদ
রানা’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আপনি থানায় একটি
জিডি-ও করেছেন। বিষয়টি আসলে কী?
শবনম ফারিয়া: ‘কে হবে মাসুদ রানা’ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে কাজ করার রেশ ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ তোপের মুখে পড়ি। চারদিন আগে এ অনুষ্ঠানের কিছু ছবি ও ফুটেজ মেহেদী হাসান ফরহাদ (ফ্রেন্ডস ফর লাইফ) নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। সঙ্গে যুক্ত করা হয় আমার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটিও। এরপর থেকে অনবরত বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসতে থাকে। সঙ্গে নানা গালি ও হুমকিও আছে। তাই গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) জিডিটি করি। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাকে দিয়ে সব পোস্ট ডিলিট করেছে প্রশাসন।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘মাসুদ রানা’র বিচারক হিসেবে যে সমালোচনা হচ্ছে, এটাকে কীভাবে দেখছেন?
শবনম ফারিয়া: আমি কয়েকটি পয়েন্টে কথা বলতে চাই। শুরুটা করছি প্রশ্ন দিয়েই। আমি বিশ্বাস করি, আমার ভক্ত ও বন্ধুরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ। আপনাদের কি মনে হয়, ক্যামেরার সামনে থাকা মানুষগুলোর (বিচারক প্যানেল) ব্যক্তিগত অভিমত দেওয়ার জায়গা ছিল এই বিচারকার্যে? কিংবা তাদের ব্যক্তিগত ছবি ‘মাসুদ রানা’? আমরা যতদূর জানি, এটি বিগ বাজেটের একটি চলচ্চিত্র। যার বাজেট ৮৩ কোটি টাকা!
এত টাকা লগ্নির কারণে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিটেল কাজ করছে এই রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে। এই যে বিচারকার্য, গ্রুমিং- সবই হচ্ছে বিস্তারিত। এখন আপনার কি মনে হয়, যারা ৮৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন, তারা হুট করেই দু’একজনকে ধরে এনে বিচারকের আসনে বসিয়ে দেবেন? নিশ্চয়ই নয়।
অনুষ্ঠানে বিচারকরা যা-তা করে চলে যাবেন, আর তারা কোটি কোটি টাকা ঢেলে দেবেন, নিশ্চয়ই নয়! বা এই যে এত টাকার একটি অনুষ্ঠানে এটা কি অনুষ্ঠান প্রযোজক, পরিচালক, কুশলীরা ছাড়া শুধু বিচারকরাই ডিরেকশন দিয়ে, নিজেরা সংলাপ বলে অনুষ্ঠান শেষ করছেন?
ব্যক্তিগত আক্রমণ যদি আমার পাশেরজন (সহ-বিচারক) করে, সেটাও কি আমার দায়ভার?
বাংলা ট্রিবিউন: ফেসবুকে তো এই অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ বিচারকদের নিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে!
শবনম ফারিয়া: এখন আমার বিচার বিশ্লেষণের পুরোটা দেখতে পারেন। আমার প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। মাসুদ রানা কেমন, সেই লুকের কথা উপন্যাসে আছে। লম্বা গড়ন, লুক- সবই উল্লেখ করা। সুতরাং অনুষ্ঠানের পরিচালকরা যে যে ক্রাইটেরিয়ায় কথা বলতে বলেছেন আমি সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমি মাসুদ রানার বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলেছি। আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। ভেবে দেখুন, অডিশনে আশা যুবকদের অপমান করার জন্য আপনারা (দর্শকরা) ক্ষুব্ধ। আর সেটা প্রতিবাদ করতে আপনারা কী করছেন। আপনারাও বিচারকদের চরম অপমান করে তার প্রতিবাদ করছেন। পার্থক্যটা কোথায় রাখলেন?
শুধু বলি গত কয়েকদিন ধরে আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা অবর্ণনীয়! ফেসবুকে হুমকি গালি-গালাজসহ আমার নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন মেয়ের জন্য এর ফল কতটা ভয়ংকর তা নিশ্চয়ই আপনার উপলব্ধি করতে পারবেন!
বাংলা ট্রিবিউন: আপনি নিজেও একজন অভিনেত্রী। যিনি অডিশন দিচ্ছেন তিনিও অভিনয়ের জন্য দিচ্ছেন। কিন্তু অন-ক্যামেরা যাকে এভাবে অপমান অপদস্থ করা হচ্ছে, সেটা কি ঠিক?
শবনম ফারিয়া: অন্যরা কীভাবে ভাবেন, জানি না। কিন্তু আমার সামনে যে ছেলেটি অডিশন দিতে এসেছে, তাকে আমি অসম্মান করিনি। প্রথমত ধরেই নিয়েছি, যেহেতু তার স্বপ্ন অভিনয়, সেহেতু সে আমার দর্শক বা ভক্তও হতে পারে (আবার নাও হতে পারে)। বা আমাকে চেনেন।
যদি কেউ তাদের মধ্যে আমার ভক্তও হয়ে থাকেন, আমি চাইনি অভিনয় জগতের মানুষ হিসেবে আমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মাক বা অশ্রদ্ধা জন্মাক।
বিষয়টি আমি এভাবে ভাবি, যারা আমার সামনে এসেছেন, তাদের ভালোবাসার জন্যই হয়তো আমি অভিনেত্রী হয়ে বিচারকের আসনে বসেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।
শবনম ফারিয়া: ‘কে হবে মাসুদ রানা’ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে কাজ করার রেশ ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ তোপের মুখে পড়ি। চারদিন আগে এ অনুষ্ঠানের কিছু ছবি ও ফুটেজ মেহেদী হাসান ফরহাদ (ফ্রেন্ডস ফর লাইফ) নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। সঙ্গে যুক্ত করা হয় আমার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটিও। এরপর থেকে অনবরত বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসতে থাকে। সঙ্গে নানা গালি ও হুমকিও আছে। তাই গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) জিডিটি করি। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাকে দিয়ে সব পোস্ট ডিলিট করেছে প্রশাসন।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘মাসুদ রানা’র বিচারক হিসেবে যে সমালোচনা হচ্ছে, এটাকে কীভাবে দেখছেন?
শবনম ফারিয়া: আমি কয়েকটি পয়েন্টে কথা বলতে চাই। শুরুটা করছি প্রশ্ন দিয়েই। আমি বিশ্বাস করি, আমার ভক্ত ও বন্ধুরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ। আপনাদের কি মনে হয়, ক্যামেরার সামনে থাকা মানুষগুলোর (বিচারক প্যানেল) ব্যক্তিগত অভিমত দেওয়ার জায়গা ছিল এই বিচারকার্যে? কিংবা তাদের ব্যক্তিগত ছবি ‘মাসুদ রানা’? আমরা যতদূর জানি, এটি বিগ বাজেটের একটি চলচ্চিত্র। যার বাজেট ৮৩ কোটি টাকা!
এত টাকা লগ্নির কারণে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিটেল কাজ করছে এই রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে। এই যে বিচারকার্য, গ্রুমিং- সবই হচ্ছে বিস্তারিত। এখন আপনার কি মনে হয়, যারা ৮৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন, তারা হুট করেই দু’একজনকে ধরে এনে বিচারকের আসনে বসিয়ে দেবেন? নিশ্চয়ই নয়।
অনুষ্ঠানে বিচারকরা যা-তা করে চলে যাবেন, আর তারা কোটি কোটি টাকা ঢেলে দেবেন, নিশ্চয়ই নয়! বা এই যে এত টাকার একটি অনুষ্ঠানে এটা কি অনুষ্ঠান প্রযোজক, পরিচালক, কুশলীরা ছাড়া শুধু বিচারকরাই ডিরেকশন দিয়ে, নিজেরা সংলাপ বলে অনুষ্ঠান শেষ করছেন?
ব্যক্তিগত আক্রমণ যদি আমার পাশেরজন (সহ-বিচারক) করে, সেটাও কি আমার দায়ভার?
বাংলা ট্রিবিউন: ফেসবুকে তো এই অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ বিচারকদের নিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে!
শবনম ফারিয়া: এখন আমার বিচার বিশ্লেষণের পুরোটা দেখতে পারেন। আমার প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। মাসুদ রানা কেমন, সেই লুকের কথা উপন্যাসে আছে। লম্বা গড়ন, লুক- সবই উল্লেখ করা। সুতরাং অনুষ্ঠানের পরিচালকরা যে যে ক্রাইটেরিয়ায় কথা বলতে বলেছেন আমি সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমি মাসুদ রানার বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলেছি। আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। ভেবে দেখুন, অডিশনে আশা যুবকদের অপমান করার জন্য আপনারা (দর্শকরা) ক্ষুব্ধ। আর সেটা প্রতিবাদ করতে আপনারা কী করছেন। আপনারাও বিচারকদের চরম অপমান করে তার প্রতিবাদ করছেন। পার্থক্যটা কোথায় রাখলেন?
শুধু বলি গত কয়েকদিন ধরে আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা অবর্ণনীয়! ফেসবুকে হুমকি গালি-গালাজসহ আমার নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন মেয়ের জন্য এর ফল কতটা ভয়ংকর তা নিশ্চয়ই আপনার উপলব্ধি করতে পারবেন!
বাংলা ট্রিবিউন: আপনি নিজেও একজন অভিনেত্রী। যিনি অডিশন দিচ্ছেন তিনিও অভিনয়ের জন্য দিচ্ছেন। কিন্তু অন-ক্যামেরা যাকে এভাবে অপমান অপদস্থ করা হচ্ছে, সেটা কি ঠিক?
শবনম ফারিয়া: অন্যরা কীভাবে ভাবেন, জানি না। কিন্তু আমার সামনে যে ছেলেটি অডিশন দিতে এসেছে, তাকে আমি অসম্মান করিনি। প্রথমত ধরেই নিয়েছি, যেহেতু তার স্বপ্ন অভিনয়, সেহেতু সে আমার দর্শক বা ভক্তও হতে পারে (আবার নাও হতে পারে)। বা আমাকে চেনেন।
যদি কেউ তাদের মধ্যে আমার ভক্তও হয়ে থাকেন, আমি চাইনি অভিনয় জগতের মানুষ হিসেবে আমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মাক বা অশ্রদ্ধা জন্মাক।
বিষয়টি আমি এভাবে ভাবি, যারা আমার সামনে এসেছেন, তাদের ভালোবাসার জন্যই হয়তো আমি অভিনেত্রী হয়ে বিচারকের আসনে বসেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।
শবনম ফারিয়া। ছবি: ওয়ালিউল বিশ্বাস |
No comments