আমেরিকা-ফ্রান্সের 'পরমাণু- কফিন' ছড়াচ্ছে তেজস্ক্রিয়তা: উদ্বিগ্ন গুতেরেস
প্রশান্ত
মহাসাগরে মারাত্মক পরমাণু তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার
উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
আমেরিকা এবং ফ্রান্স শীতল যুদ্ধের সময়ে চালানো পরমাণু বোমার পরীক্ষা থেকে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়-বর্জ্য চাপা দেয়ার জন্য কংক্রিটের আধার নির্মাণ করেছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের এনেউইটাক দ্বীপে নির্মাণ করা হয়েছিল এ আধার। একে 'পরমাণু- কফিন' হিসেবে উল্লেখ করেন গুতেরেস।
শীতল যুদ্ধের সময় আমেরিকা এবং ফ্রান্সের চালানো পরমাণু বোমার পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি যে অতীতেও প্রশান্ত মহাসাগর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অঞ্চলের কোনও কোনও এলাকার স্বাস্থ্য এবং পানি বিষিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এ সবের নাটকীয় প্রভাব পড়েছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিল্ড হেইনের সঙ্গে বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপবাসীদের পরমাণু বিক্রিয়া থেকে রক্ষার জন্য সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
১৯৪৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপপুঞ্জের বিকিনি এবং এনেউইটেক দ্বীপে আমেরিকা ৬৭টি পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এ অঞ্চলটি তখন মার্কিন প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া, একই এলাকায় ১৯৫৪ সালে 'ব্রাভো' নামের হাইড্রোজেন বোমারও পরীক্ষা করেছে আমেরিকা। হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল তার চেয়ে এটি ১০০০গুণ বেশি বড় ছিল।
পরমাণু বোমার পরীক্ষার জন্য এ সব এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। এ ছাড়া, আরও হাজার হাজার মানুষ সরাসরি বিকিরণের শিকার হয়েছে।
পরমাণু-বর্জ্য রাখার জন্য কংক্রিটের 'কফিন' রুনিট দ্বীপে গড়ে তোলা হয় ১৯৭০'এর দশকে। একটি খাদে এ 'কফিন' নির্মাণ করা হয়। আর খাদকে ঢেকে দেয়া হয় ৪৫ মিলিমিটার পুরো কংক্রিট দিয়ে। একে অস্থায়ী বর্জ্য-কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল বলে তলদেশে কংক্রিটের আস্তর দেয়ার প্রয়োজন তখন বোধ করা হয় নি। ফলে তলদেশ দিয়ে তেজস্ক্রিয়তা চুইয়ে বের হচ্ছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, কংক্রিটের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
পরমাণু বর্জ্য-কেন্দ্র নিয়ে কি করতে হবে সরাসরি সে কথা বলার সাহস দেখান নি জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ফরাসি পলিনেশীয় এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে যে সব পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে অনেক কিছুই করার আছে।
আমেরিকা এবং ফ্রান্স শীতল যুদ্ধের সময়ে চালানো পরমাণু বোমার পরীক্ষা থেকে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়-বর্জ্য চাপা দেয়ার জন্য কংক্রিটের আধার নির্মাণ করেছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের এনেউইটাক দ্বীপে নির্মাণ করা হয়েছিল এ আধার। একে 'পরমাণু- কফিন' হিসেবে উল্লেখ করেন গুতেরেস।
শীতল যুদ্ধের সময় আমেরিকা এবং ফ্রান্সের চালানো পরমাণু বোমার পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি যে অতীতেও প্রশান্ত মহাসাগর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অঞ্চলের কোনও কোনও এলাকার স্বাস্থ্য এবং পানি বিষিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এ সবের নাটকীয় প্রভাব পড়েছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিল্ড হেইনের সঙ্গে বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপবাসীদের পরমাণু বিক্রিয়া থেকে রক্ষার জন্য সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
১৯৪৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপপুঞ্জের বিকিনি এবং এনেউইটেক দ্বীপে আমেরিকা ৬৭টি পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এ অঞ্চলটি তখন মার্কিন প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া, একই এলাকায় ১৯৫৪ সালে 'ব্রাভো' নামের হাইড্রোজেন বোমারও পরীক্ষা করেছে আমেরিকা। হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল তার চেয়ে এটি ১০০০গুণ বেশি বড় ছিল।
পরমাণু বোমার পরীক্ষার জন্য এ সব এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। এ ছাড়া, আরও হাজার হাজার মানুষ সরাসরি বিকিরণের শিকার হয়েছে।
পরমাণু-বর্জ্য রাখার জন্য কংক্রিটের 'কফিন' রুনিট দ্বীপে গড়ে তোলা হয় ১৯৭০'এর দশকে। একটি খাদে এ 'কফিন' নির্মাণ করা হয়। আর খাদকে ঢেকে দেয়া হয় ৪৫ মিলিমিটার পুরো কংক্রিট দিয়ে। একে অস্থায়ী বর্জ্য-কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল বলে তলদেশে কংক্রিটের আস্তর দেয়ার প্রয়োজন তখন বোধ করা হয় নি। ফলে তলদেশ দিয়ে তেজস্ক্রিয়তা চুইয়ে বের হচ্ছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, কংক্রিটের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
পরমাণু বর্জ্য-কেন্দ্র নিয়ে কি করতে হবে সরাসরি সে কথা বলার সাহস দেখান নি জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ফরাসি পলিনেশীয় এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে যে সব পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে অনেক কিছুই করার আছে।
No comments