জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো ওরা
সংঘবদ্ধ
একটি অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন
(র্যাব)। তারা হলো, শাহ জালাল (৩২), মো. ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০) ও
রাকিব (২২)। এক ভুক্তভোগীর ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ একটি
অভিযানিক দল মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার দুর্গম চরের কাশবনের থেকে তাদেরকে
আটক করে। চক্রের এই সদস্যরা নতুন গাড়ি-প্রাইভেটকার দেখলেই মালিক কিংবা
চালককে টার্গেট করতো। এরপর সুকৌশলে তারা চালক-মালিককে অপহরণ করতো। নির্জন
স্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ি ও ভুক্তভোগীকে জিম্মি করে রাখতো। এরপর ভুক্তভোগীকে
নির্যাতন করে কান্নাকাটির শব্দ শুনিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়
করতো। শুক্রবার কাওরানবাজারের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানান র্যাব-৪ অধিনায়ক ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাকিতে কেনা একটি কার ভাড়ায় চালাতেন এনায়েত উল্লাহ (৩২) নামের এক ব্যক্তি। ১৯শে আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার রূপনগর থানার শিয়ালবাড়ি মোড় হতে মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে দুজন যাত্রী তার কারে উঠে। রাত ২টার দিকে পদ্মা নদী পার হয়ে কাঠাল বাড়ি এলাকায় কারটি পৌঁছায়। সেখানে আগে থেকেই অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য অপেক্ষা করছিলো। পরে তারা নিজেদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী শুরু করে। একপর্যায়ে তারা প্রাইভেট কারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। পরে চালক এনায়েত উল্লাহকে বেঁধে মাদারীপুরের শিবচর থানাধীন দত্তপাড়া চর এলাকায় কাশবনের একটি ছোট ঘরে আটকে রাখে। আর প্রাইভেট কারটি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্কিংয়ে লুকিয়ে রাখে। এদিকে অপহরণকারীরা এনায়েত উল্লাহকে চারদিন ধরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। মারধর করে মোবাইল ফোনে এনায়েত উল্লাহর কান্নার শব্দ তার পরিবারের লোকদের শুনিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে ভু্ক্তভোগীর বড় ভাই কেফায়েত উল্লাহর কাছেও মুক্তি ফোন চাইতে থাকে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। উপায়ন্তর না পেয়ে রূপনগর থানায় একটি জিডি করেন কেফায়েত উল্লাহ। পাশাপাশি র্যাব-৪ সহযোগীতা চান। পরে র্যাব শিবচরের দুর্গম এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার ভোরে জিম্মি এনায়েত উল্লাহ ও প্রাইভেট কার উদ্ধার ও এর সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের সঙ্গে জড়িত আরও ছয় জনের নাম প্রকাশ করেছে।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, গত কয়েক বছর যাবত এই অপহরণকারীরা বিভিন্ন কৌশলে গাড়িচালক, মালিক, ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অপহরণ করছে। তারপর তাদের পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মুক্তিপণ আদায় করে। ঢাকাসহ আশপাশ এলাকার বাস স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে তাদের গন্তব্য স্থান যাওয়ার কথা বলে মাইক্রো বা প্রাইভেটকার ভাড়া করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। তারা গাড়ির মূল্য, ভুক্তভোগীর বয়স ও আর্থিক অবস্থা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে চিহ্নিত করে। গাড়িতে উঠার পর গাড়ি চলা অবস্থায় ভুক্তভোগীকে অজ্ঞান করে অথবা হাত-পা বেঁধে অত্যন্ত সুকৌশলে তাদের পরিকল্পিত এলাকায় নিয়ে জিম্মি করে। অপহরণকারীরা সাধারনত নির্জন চর, আঁখ ক্ষেত বা কাশবন এলাকা বেছে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাকিতে কেনা একটি কার ভাড়ায় চালাতেন এনায়েত উল্লাহ (৩২) নামের এক ব্যক্তি। ১৯শে আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার রূপনগর থানার শিয়ালবাড়ি মোড় হতে মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে দুজন যাত্রী তার কারে উঠে। রাত ২টার দিকে পদ্মা নদী পার হয়ে কাঠাল বাড়ি এলাকায় কারটি পৌঁছায়। সেখানে আগে থেকেই অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য অপেক্ষা করছিলো। পরে তারা নিজেদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী শুরু করে। একপর্যায়ে তারা প্রাইভেট কারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। পরে চালক এনায়েত উল্লাহকে বেঁধে মাদারীপুরের শিবচর থানাধীন দত্তপাড়া চর এলাকায় কাশবনের একটি ছোট ঘরে আটকে রাখে। আর প্রাইভেট কারটি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্কিংয়ে লুকিয়ে রাখে। এদিকে অপহরণকারীরা এনায়েত উল্লাহকে চারদিন ধরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। মারধর করে মোবাইল ফোনে এনায়েত উল্লাহর কান্নার শব্দ তার পরিবারের লোকদের শুনিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে ভু্ক্তভোগীর বড় ভাই কেফায়েত উল্লাহর কাছেও মুক্তি ফোন চাইতে থাকে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। উপায়ন্তর না পেয়ে রূপনগর থানায় একটি জিডি করেন কেফায়েত উল্লাহ। পাশাপাশি র্যাব-৪ সহযোগীতা চান। পরে র্যাব শিবচরের দুর্গম এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার ভোরে জিম্মি এনায়েত উল্লাহ ও প্রাইভেট কার উদ্ধার ও এর সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের সঙ্গে জড়িত আরও ছয় জনের নাম প্রকাশ করেছে।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, গত কয়েক বছর যাবত এই অপহরণকারীরা বিভিন্ন কৌশলে গাড়িচালক, মালিক, ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অপহরণ করছে। তারপর তাদের পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মুক্তিপণ আদায় করে। ঢাকাসহ আশপাশ এলাকার বাস স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে তাদের গন্তব্য স্থান যাওয়ার কথা বলে মাইক্রো বা প্রাইভেটকার ভাড়া করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। তারা গাড়ির মূল্য, ভুক্তভোগীর বয়স ও আর্থিক অবস্থা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে চিহ্নিত করে। গাড়িতে উঠার পর গাড়ি চলা অবস্থায় ভুক্তভোগীকে অজ্ঞান করে অথবা হাত-পা বেঁধে অত্যন্ত সুকৌশলে তাদের পরিকল্পিত এলাকায় নিয়ে জিম্মি করে। অপহরণকারীরা সাধারনত নির্জন চর, আঁখ ক্ষেত বা কাশবন এলাকা বেছে নেয়।
No comments