ইন্দিরা গান্ধীর ১৯৭৭ সালের পতন পুনরাবৃত্তি থেকে একটি অর্থনৈতিক সঙ্কট দূরে আছে মোদি ও অমিতের বিজেপি
ভারতের
বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপট নজিরবিহীন। বিজেপিসহ সব রাজনৈতিক দল এখন
সাম্প্রতিক লোকসভার নির্বাচনের ফলাফলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনের কোনো তুলনা নেই, এর সাথে কোনো কিছুকে মেলানো যায় না। এবারই যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ফলাফল দল আর ভোটারদের হতবুদ্ধিকর অবস্থায় ফেলেছে, তা নয়। গত চার দশক ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারীরা রাজনৈতিক ভূমিকম্পের সাথে পরিচিত। কিন্তু এবার যেভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলো অবয়ব নিচ্ছে, তা নতুন।
বর্তমানে বিজেপির আধিপত্য সম্পূর্ণ হয়েছে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লির আসন্ন রাজ্য বিধান সভার নির্বাচন নিয়ে হয়তো কিছু আগ্রহ থাকবে, কিন্তু ফলাফল দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে। মিডিয়া সম্ভবত কিছু কৃত্রিম উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, সামাজিক মাধ্যম হয়তো নাচানাচি করবে, ট্রোল হবে, কিন্তু রহস্য উধাও হয়ে গেছে।
ইতিহাস কি ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে?
১৯৭১ সালের মার্চে ইন্দিরা গান্ধীর অবাক করা জয় ভারতের রাজনীতির চরিত্রকে বদলে দিয়েছিল। প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক মুদ্রা হিসেবে ‘ঢেউ’ পরিভাষাটি সামনে আসে। ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগান দিয়ে বিপুলভাবে ক্ষমতায় আসেন ইন্দিরা গান্ধী। আট মাস পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, এতে ইন্দিরার মর্যাদা আরো জোরদার হয়।
কিন্তু এর মাত্র দুই বছর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যায় দ্রুত। এই সময়েই ‘শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ খরায়’ ব্যাপক দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করে।
এর জের ধরে সৃষ্টি হয় ব্যাপক সামাজিক উত্তেজনা। এতে করে জয় প্রকাশ নারায়ণকে সামনে নিয়ে আসে। জয়প্রকাশ ও ইন্দিরার মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্ঘাত দেখা দিলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি হয়।
ইন্দিরার একনায়কতন্ত্র প্রায়ই মোদির স্বৈরতান্ত্রিক স্টাইলের সাথে তুলনা করা হয়। কিন্তু দুই নেতা তাদের আমলে ছিলেন ভিন্ন।
ইন্দিরা ও সঞ্জয় গান্ধীর ১৯৭৭ সালের মার্চে রায়বেরেলি ও আমেথিতে পরাজয় ছিল কষ্টকর। তবে রাজনীতি গুণগতভাবে বদলায়নি। জয়প্রকাশ আন্দোলন ও জনতা পার্টি সার্বিকভাবে কংগ্রেসের সংস্কৃতির মধ্যেই ছিল। জয়প্রকাশ স্বাধীনতা আন্দোলন, তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী মোরাজি দেশাই ও জগজীবন রাম কংগ্রেসের মূল্যবোধই অটুট রাখেন।
তরুণদের মধ্যে জেপি আন্দোলনের জনপ্রিয়তা বর্তমানে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে পাগলামির সাথে তুলনা না করা গেলে একটি মিল আছে। তাহলো পুরনো রীতিনীতির অবসান ঘটিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের চেষ্ট এবং অজানার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুতি। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় তরুণ ‘মুসলিমবিরোধী হিন্দুত্ববাদীর’ জন্য প্রস্তুত থাকলেও তাদের জীবনের আকাঙ্ক্ষা আধ্যাত্মিক নয়, বরং বস্তুবাদী।
তারা হয়তো অযোধ্যার রাম মন্দির ধারণায় আচ্ছন্ন, মেরুকরণ করা ভাবাবেগে প্রভাবিত, কিন্তু আসলে উন্মাদগ্রস্ত। প্রবল স্রোতে সমীহ জাগলেও যখন পানি কমতে শুরু করে তখন কঠোর বাস্তবতা সামনে আসে, বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষতি চোখের সামনে চলে আসে।
নতুন পথ খুঁজতে হবে দলকে
আসন্ন রাজ্য বিধান সভাগুলোর নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই অর্থনৈতিক সাইক্লোন ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিধ্বস্ত অবস্থা দৃশ্যমান হবে। ব্যাংকগুলোর দৈন্যদশা আর গোপন করা যাবে না।
নেহরু-গান্ধী পরিবার বা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও এ থেকে ফায়দা পাবে না বিজেপি। কারণ কংগ্রেস রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না। দলটি বিভ্রান্তি আর জটিলতায় রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে হিন্দুত্ববাদ মুক্তি দেবে না বা ভারতীয় মুসলিম বা সন্ত্রাসাদের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে পার পাওয়া যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন হয়তো সংহিস সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কিছু অবকাশ দেবে, কিন্তু এর ব্যাপ্তি হবে সীমিত।
মুদ্রা বাতিলকরণ বা এমনকি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকও আর শিরোনামে আসতে পারবে না। অর্নব গোস্বামী ও রজত শর্মারাও তেমন ঢেউ সৃষ্টি করতে পারবে না।
অপ্রতিরোধ্য জুটি ও নতুন ‘হিন্দু সম্রাট’ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ কংগ্রেস, রাহুল গান্ধী, হিন্দুত্ববাদ বা পাকিস্তানের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাবেন না। শিরোনাম ব্যবস্থাপনা বা গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফরে তাদের ‘দক্ষতাও’ আকর্ষণ সৃষ্টি করবে না।
জানা ও অজানা
যা কিছুই ঘটুক না কেন, বিজেপি বিভক্ত হবে না। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপর তার প্রাধান্য বিস্তার করে থাকবে। নির্বাচন কমিশন বশেই থাকবে। বিচার বিভাগ সহযোগিতামূলক ও দায়িত্বশীলই থাকবে। রিজার্ভ ব্যাংক বা সিবিআইও তাদের সাথেই থাকবে। মিডিয়াও মোটামুটিভাবে তাদের হাতেই থাকবে।
তবে কেউ যে বিষয়টির পূর্বাভাস দিতে পারছে না তা হলো আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করবেন, বিশ্ববাণিজ্য ভারতের আমদানি রফতানিতে কী করবে কেউ জানে না। পাকিস্তান বা এর অ-রাষ্ট্রীয় উপাদানগুলো কী করবে, ভারত কিভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা অজানা। আমাদের প্রতিবেশীরা কী করবে, চীন কিভাবে বিশ্ব ও ভারতের ওপর প্রভাব ফেলবে, তাও অজানা।
নরেন্দ্র মোদির গলাবাজী বা অমিত শাহ ও অমিত শাহের নির্মম কৌশল, বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জয়শঙ্করের কূটনৈতিক দক্ষতায় নৈরাজ্য ধুয়ে মুছে যাবে না।
দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতে নিমজ্জিত। সম্ভবত এ কারণেই রাজনৈতিক শ্রেণি ও বিশেষজ্ঞরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। তারাও আলোহীন একটি অন্ধকার গুহায় প্রবেশ করেছেন।
>>>(লেখক: সাবেক সম্পাদক, কংগ্রেস সদস্য, রাজ্য সভা)
২০১৯ সালের নির্বাচনের কোনো তুলনা নেই, এর সাথে কোনো কিছুকে মেলানো যায় না। এবারই যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ফলাফল দল আর ভোটারদের হতবুদ্ধিকর অবস্থায় ফেলেছে, তা নয়। গত চার দশক ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারীরা রাজনৈতিক ভূমিকম্পের সাথে পরিচিত। কিন্তু এবার যেভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলো অবয়ব নিচ্ছে, তা নতুন।
বর্তমানে বিজেপির আধিপত্য সম্পূর্ণ হয়েছে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লির আসন্ন রাজ্য বিধান সভার নির্বাচন নিয়ে হয়তো কিছু আগ্রহ থাকবে, কিন্তু ফলাফল দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে। মিডিয়া সম্ভবত কিছু কৃত্রিম উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, সামাজিক মাধ্যম হয়তো নাচানাচি করবে, ট্রোল হবে, কিন্তু রহস্য উধাও হয়ে গেছে।
ইতিহাস কি ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে?
১৯৭১ সালের মার্চে ইন্দিরা গান্ধীর অবাক করা জয় ভারতের রাজনীতির চরিত্রকে বদলে দিয়েছিল। প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক মুদ্রা হিসেবে ‘ঢেউ’ পরিভাষাটি সামনে আসে। ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগান দিয়ে বিপুলভাবে ক্ষমতায় আসেন ইন্দিরা গান্ধী। আট মাস পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, এতে ইন্দিরার মর্যাদা আরো জোরদার হয়।
কিন্তু এর মাত্র দুই বছর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যায় দ্রুত। এই সময়েই ‘শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ খরায়’ ব্যাপক দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করে।
এর জের ধরে সৃষ্টি হয় ব্যাপক সামাজিক উত্তেজনা। এতে করে জয় প্রকাশ নারায়ণকে সামনে নিয়ে আসে। জয়প্রকাশ ও ইন্দিরার মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্ঘাত দেখা দিলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি হয়।
ইন্দিরার একনায়কতন্ত্র প্রায়ই মোদির স্বৈরতান্ত্রিক স্টাইলের সাথে তুলনা করা হয়। কিন্তু দুই নেতা তাদের আমলে ছিলেন ভিন্ন।
ইন্দিরা ও সঞ্জয় গান্ধীর ১৯৭৭ সালের মার্চে রায়বেরেলি ও আমেথিতে পরাজয় ছিল কষ্টকর। তবে রাজনীতি গুণগতভাবে বদলায়নি। জয়প্রকাশ আন্দোলন ও জনতা পার্টি সার্বিকভাবে কংগ্রেসের সংস্কৃতির মধ্যেই ছিল। জয়প্রকাশ স্বাধীনতা আন্দোলন, তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী মোরাজি দেশাই ও জগজীবন রাম কংগ্রেসের মূল্যবোধই অটুট রাখেন।
তরুণদের মধ্যে জেপি আন্দোলনের জনপ্রিয়তা বর্তমানে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে পাগলামির সাথে তুলনা না করা গেলে একটি মিল আছে। তাহলো পুরনো রীতিনীতির অবসান ঘটিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের চেষ্ট এবং অজানার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুতি। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় তরুণ ‘মুসলিমবিরোধী হিন্দুত্ববাদীর’ জন্য প্রস্তুত থাকলেও তাদের জীবনের আকাঙ্ক্ষা আধ্যাত্মিক নয়, বরং বস্তুবাদী।
তারা হয়তো অযোধ্যার রাম মন্দির ধারণায় আচ্ছন্ন, মেরুকরণ করা ভাবাবেগে প্রভাবিত, কিন্তু আসলে উন্মাদগ্রস্ত। প্রবল স্রোতে সমীহ জাগলেও যখন পানি কমতে শুরু করে তখন কঠোর বাস্তবতা সামনে আসে, বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষতি চোখের সামনে চলে আসে।
নতুন পথ খুঁজতে হবে দলকে
আসন্ন রাজ্য বিধান সভাগুলোর নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই অর্থনৈতিক সাইক্লোন ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিধ্বস্ত অবস্থা দৃশ্যমান হবে। ব্যাংকগুলোর দৈন্যদশা আর গোপন করা যাবে না।
নেহরু-গান্ধী পরিবার বা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও এ থেকে ফায়দা পাবে না বিজেপি। কারণ কংগ্রেস রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না। দলটি বিভ্রান্তি আর জটিলতায় রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে হিন্দুত্ববাদ মুক্তি দেবে না বা ভারতীয় মুসলিম বা সন্ত্রাসাদের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে পার পাওয়া যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন হয়তো সংহিস সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কিছু অবকাশ দেবে, কিন্তু এর ব্যাপ্তি হবে সীমিত।
মুদ্রা বাতিলকরণ বা এমনকি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকও আর শিরোনামে আসতে পারবে না। অর্নব গোস্বামী ও রজত শর্মারাও তেমন ঢেউ সৃষ্টি করতে পারবে না।
অপ্রতিরোধ্য জুটি ও নতুন ‘হিন্দু সম্রাট’ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ কংগ্রেস, রাহুল গান্ধী, হিন্দুত্ববাদ বা পাকিস্তানের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাবেন না। শিরোনাম ব্যবস্থাপনা বা গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফরে তাদের ‘দক্ষতাও’ আকর্ষণ সৃষ্টি করবে না।
জানা ও অজানা
যা কিছুই ঘটুক না কেন, বিজেপি বিভক্ত হবে না। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপর তার প্রাধান্য বিস্তার করে থাকবে। নির্বাচন কমিশন বশেই থাকবে। বিচার বিভাগ সহযোগিতামূলক ও দায়িত্বশীলই থাকবে। রিজার্ভ ব্যাংক বা সিবিআইও তাদের সাথেই থাকবে। মিডিয়াও মোটামুটিভাবে তাদের হাতেই থাকবে।
তবে কেউ যে বিষয়টির পূর্বাভাস দিতে পারছে না তা হলো আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করবেন, বিশ্ববাণিজ্য ভারতের আমদানি রফতানিতে কী করবে কেউ জানে না। পাকিস্তান বা এর অ-রাষ্ট্রীয় উপাদানগুলো কী করবে, ভারত কিভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা অজানা। আমাদের প্রতিবেশীরা কী করবে, চীন কিভাবে বিশ্ব ও ভারতের ওপর প্রভাব ফেলবে, তাও অজানা।
নরেন্দ্র মোদির গলাবাজী বা অমিত শাহ ও অমিত শাহের নির্মম কৌশল, বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জয়শঙ্করের কূটনৈতিক দক্ষতায় নৈরাজ্য ধুয়ে মুছে যাবে না।
দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতে নিমজ্জিত। সম্ভবত এ কারণেই রাজনৈতিক শ্রেণি ও বিশেষজ্ঞরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। তারাও আলোহীন একটি অন্ধকার গুহায় প্রবেশ করেছেন।
>>>(লেখক: সাবেক সম্পাদক, কংগ্রেস সদস্য, রাজ্য সভা)
No comments