অভ্যন্তরীণ ইস্যু: আসামের এনআরসি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এস জয়শঙ্কর ঢাকায় মঙ্গলবার বলেছেন যে, ভারতের আসামে শিগগিরই যে ন্যাশনাল
রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, সেটা ভারতের
অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং যাদের নাম এনআরসিতে থাকবে না তাদের বাংলাদেশে ফেরত
পাঠানোর কোন বিষয় এখানে নেই। সুপ্রিম কোর্ট বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এটা
যাচাই করতে বলেছে যে, বাদ পড়া ব্যক্তিদের বাংলাদেশ ফেরত নেবে কি না, এনআরসি
প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যাদেরকে বিদেশী ঘোষণা করা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট
কয়েকবার বলেছে যে, এই ইস্যুটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কখনও বাংলাদেশের সাথে
সেভাবে আলোচনাতেও বসেনি। এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ
করে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশের একটা বক্তব্য স্বীকার করে
নিয়েছেন, যেটা ঢাকা সবসময় বলে এসেছে – যে ৪০ লাখের মতো মানুষ এনআরসি থেকে
বাদ পড়েছে, যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়, এবং তাদের জন্য বাংলাদেশের কোন দায়
নেই। আসলে বাংলাদেশ কখনও স্বীকারই করেনি যে, কোন অভিবাসী বাংলাদেশ থেকে
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে
মন্তব্য করা ছাড়াও ডেইলি স্টার সংবাদপত্র বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে
আব্দুল মোমেনকে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে, তিনি বলেছেন যে, মি জয়শঙ্কর তাকে
এনআরসি ইস্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে বলেছেন। এনআরসি নিয়ে নয়াদিল্লীর
অবস্থানে সন্তুষ্ট হতে পারে বাংলাদেশ, কিন্তু ভারত একটা প্রাজ্ঞ নয়, কারণ
কয়েক লাখ হিন্দু ও মুসলিমকে নিয়ে কি করা হবে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের কোন
পরিকল্পনা নেই। ৩১ আগস্টে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর এরা সেখানে তাদের নাম
খুঁজে পাবে না।
বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে যে আসাম এবং ভারতের অন্যান্য জায়গা থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বহু বছর ধরে তারা এ কথা বলে আসছে। কিন্তু মি জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে যেটা বলেছেন, তার সাথে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দলটি একইসাথে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যেসব অমুসলিমের নাম এনআরসিতে আসেনি, আইন সংশোধন করে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এর বাইরে, বাকি বহু লাখ মানুষকে নিয়ে সরকার কি করবে, সে ব্যাপারে কোন স্পষ্ট বক্তব্য নেই, এনআরসি তালিকা শেষ হওয়ার পর যারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে যাচ্ছে। যদিও এই ব্যক্তিদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের একটা পরিকল্পনা রয়েছে যে কিভাবে তারা আসামের আসন্ন মানবিক সঙ্কটের মোকাবেলা করবে। এই ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই চরম দরিদ্র। এদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই যে কিভাবে এনআরসি প্রক্রিয়ার কাজ হচ্ছে। তারা নিজেদের এবং নিজেদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এ দেশে প্রবেশ করেছিল। ভারত সরকার ও সুপ্রিম কোর্টকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই ব্যক্তিদের সাথে সম্মানজনক আচরণ করা হয়। তাছাড়া এনআরসিতে যে সব সম্প্রদায়ের মানুষজন অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি, তাদের সাথেও ভালো আচরণ করতে হবে সরকারকে।
বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে যে আসাম এবং ভারতের অন্যান্য জায়গা থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বহু বছর ধরে তারা এ কথা বলে আসছে। কিন্তু মি জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে যেটা বলেছেন, তার সাথে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দলটি একইসাথে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যেসব অমুসলিমের নাম এনআরসিতে আসেনি, আইন সংশোধন করে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এর বাইরে, বাকি বহু লাখ মানুষকে নিয়ে সরকার কি করবে, সে ব্যাপারে কোন স্পষ্ট বক্তব্য নেই, এনআরসি তালিকা শেষ হওয়ার পর যারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে যাচ্ছে। যদিও এই ব্যক্তিদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের একটা পরিকল্পনা রয়েছে যে কিভাবে তারা আসামের আসন্ন মানবিক সঙ্কটের মোকাবেলা করবে। এই ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই চরম দরিদ্র। এদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই যে কিভাবে এনআরসি প্রক্রিয়ার কাজ হচ্ছে। তারা নিজেদের এবং নিজেদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এ দেশে প্রবেশ করেছিল। ভারত সরকার ও সুপ্রিম কোর্টকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই ব্যক্তিদের সাথে সম্মানজনক আচরণ করা হয়। তাছাড়া এনআরসিতে যে সব সম্প্রদায়ের মানুষজন অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি, তাদের সাথেও ভালো আচরণ করতে হবে সরকারকে।
No comments