পাকিস্তানে মিডিয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ
যেসব
রাজনীতিকের বিচার চলছে অথবা সাজা হয়েছে তাদের সাক্ষাৎকার বা সংবাদ সম্মেলন
সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মিডিয়া
নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এ নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ। সাবেক
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের একটি সংবাদ সম্মেলন সরাসরি
সম্প্রচার করার কারণে সরকার বন্ধ করে দেয় তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল- আবতক
টিভি, ২৪ নিউজ ও ক্যাপিটাল টিভি। এ ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের
অধিকারবিষয়ক গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারর্স (আরএসএফ) ও কমিটি টু
প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মেহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি যদি মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন তার বিষয়ে আমরা নতুন নীতি গ্রহণ করেছি। তার ভাষায়, আপনি জেলে ছিলেন। দেশের অর্থ লুটের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। আর যখন আপনি জেল থেকে বেরিয়ে এলেন এবং সবার সাথে সাক্ষাৎকার দেবেন- এটি কোনো গণতন্ত্রে ঘটতে পারে না।
তবে সরকারের এমন নীতির কড়া সমালোচনা করেছে আরএসএফ। তারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞাকে পাকিস্তানে বিরোধী দলকে দমন এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার আবতক টিভি, ২৪ নিউজ ও ক্যাপিটাল টিভি মরিয়ম নওয়াজের সংবাদ সম্মেলন সম্প্রচার করার পর তিনটি চ্যানেলরই সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ প্রথমে একে একটি কারিগরি ত্রুটি বলে বর্ণনা করেছিল; কিন্তু রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, এটি সেন্সরশিপ ছাড়া আর কিছু নয়। পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও অভিযোগ করছে আরএসএফ।
মাত্র গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের জিও নিউজ টিভিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির একটি সাক্ষাৎকার দেখানোর সময় মাঝপথে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে বহু বছর ধরেই এমন অভিযোগ আছে যে, সেখানে সামরিক বাহিনী গণমাধ্যমে স্পর্শকাতর ও সমালোচনামূলক খবর বন্ধে চাপ দিয়ে থাকে। সামরিক বাহিনী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। ডন
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মেহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি যদি মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন তার বিষয়ে আমরা নতুন নীতি গ্রহণ করেছি। তার ভাষায়, আপনি জেলে ছিলেন। দেশের অর্থ লুটের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। আর যখন আপনি জেল থেকে বেরিয়ে এলেন এবং সবার সাথে সাক্ষাৎকার দেবেন- এটি কোনো গণতন্ত্রে ঘটতে পারে না।
তবে সরকারের এমন নীতির কড়া সমালোচনা করেছে আরএসএফ। তারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞাকে পাকিস্তানে বিরোধী দলকে দমন এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার আবতক টিভি, ২৪ নিউজ ও ক্যাপিটাল টিভি মরিয়ম নওয়াজের সংবাদ সম্মেলন সম্প্রচার করার পর তিনটি চ্যানেলরই সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ প্রথমে একে একটি কারিগরি ত্রুটি বলে বর্ণনা করেছিল; কিন্তু রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, এটি সেন্সরশিপ ছাড়া আর কিছু নয়। পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও অভিযোগ করছে আরএসএফ।
মাত্র গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের জিও নিউজ টিভিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির একটি সাক্ষাৎকার দেখানোর সময় মাঝপথে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে বহু বছর ধরেই এমন অভিযোগ আছে যে, সেখানে সামরিক বাহিনী গণমাধ্যমে স্পর্শকাতর ও সমালোচনামূলক খবর বন্ধে চাপ দিয়ে থাকে। সামরিক বাহিনী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। ডন
No comments