কামান ধ্বংসকারী ‘নাগ’-এর সফল পরীক্ষা করল ভারত, ৫০০ কি.মি. পাল্লার আপগ্রেডেড ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র প্রস্তুত: ব্রহ্মস এরোস্পেস
ব্রহ্মস
ক্ষেপনাস্ত্রের ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার আপগ্রেড সংস্করণ প্রস্তত হয়ে গেছে
বলে জানিয়েছেন ব্রহ্মস এরোস্পেসের সিইও সুধীর কুমার মিশ্র। গত রোববার
দুরদর্শনের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
মিশ্র বলেন, ভারত এখন মিসাইল টেকনজি কন্ট্রোল রেজিমের (এমটিসিআর) অংশ হওয়ায় ক্ষেপনাস্ত্রটির পাল্লা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ভারত সফলতার সঙ্গে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রের ভার্টিক্যাল ডিপ ডাইভ সংস্করণ পরীক্ষা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা হলো বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, যা প্রচলিত যুদ্ধের গতিশীলতাকেই বদলে দেবে। ক্ষেপনাস্ত্রটির ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার আপগ্রেড সংস্করণ প্রস্তুত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখুই ৩০ এয়ারক্রাফট থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করার পর ভারত হলো বিশ্বে একমাত্র দেশ যে কিনা জঙ্গিবিমানে দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র সংযোজন করবে।
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতিতে ছুটতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র হবে সু-৩০ জঙ্গিবিমানে মোতায়েন করা সবচেয়ে ভারি অস্ত্র।
মিশ্র বলেন, আমরা সাগরে থাকা কোন জাহাজকে ৩০০-৪০০ কিলোমিটার এমনকি তারচেয়েও বেশি দূর থেকে আঘাত হানতে পারবো। আমরা শত শত কিলোমিটার দূর থেকে স্থলভাগের টার্গেটে আঘাত করতে পারবো।
তিনি বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সবার পছন্দের অস্ত্র হলো ব্রহ্মস। এর ৯০-ডিগ্রি সংস্করণ চূড়ান্তভাবে বিমানবাহী রণতরী ঘাতকে পরিণত হয়েছে। ব্রহ্মস এরোস্পেস যে প্রযুক্তি হাসিল করেছে তা এর আগে ভারত বা রাশিয়া কারো কাছেই ছিলো না।
ভারত ও রাশিয়া সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ কোম্পানি হলো ব্রহ্মস এরোস্পেস। এই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক উপ-প্রধান লে. জেনারেল সুব্রত সাহা বলেন, এই ক্ষেপনাস্ত্রের স্টিপ ডাইভ ভার্সন (কারগিরল যুদ্ধক্ষেত্রের মতো) পার্বত্য এলাকার যুদ্ধের জন্য একটি গেম চেঞ্জার।
মিশ্র বলেন, ভারত এখন মিসাইল টেকনজি কন্ট্রোল রেজিমের (এমটিসিআর) অংশ হওয়ায় ক্ষেপনাস্ত্রটির পাল্লা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ভারত সফলতার সঙ্গে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রের ভার্টিক্যাল ডিপ ডাইভ সংস্করণ পরীক্ষা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা হলো বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, যা প্রচলিত যুদ্ধের গতিশীলতাকেই বদলে দেবে। ক্ষেপনাস্ত্রটির ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার আপগ্রেড সংস্করণ প্রস্তুত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখুই ৩০ এয়ারক্রাফট থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করার পর ভারত হলো বিশ্বে একমাত্র দেশ যে কিনা জঙ্গিবিমানে দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র সংযোজন করবে।
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতিতে ছুটতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র হবে সু-৩০ জঙ্গিবিমানে মোতায়েন করা সবচেয়ে ভারি অস্ত্র।
মিশ্র বলেন, আমরা সাগরে থাকা কোন জাহাজকে ৩০০-৪০০ কিলোমিটার এমনকি তারচেয়েও বেশি দূর থেকে আঘাত হানতে পারবো। আমরা শত শত কিলোমিটার দূর থেকে স্থলভাগের টার্গেটে আঘাত করতে পারবো।
তিনি বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সবার পছন্দের অস্ত্র হলো ব্রহ্মস। এর ৯০-ডিগ্রি সংস্করণ চূড়ান্তভাবে বিমানবাহী রণতরী ঘাতকে পরিণত হয়েছে। ব্রহ্মস এরোস্পেস যে প্রযুক্তি হাসিল করেছে তা এর আগে ভারত বা রাশিয়া কারো কাছেই ছিলো না।
ভারত ও রাশিয়া সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ কোম্পানি হলো ব্রহ্মস এরোস্পেস। এই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক উপ-প্রধান লে. জেনারেল সুব্রত সাহা বলেন, এই ক্ষেপনাস্ত্রের স্টিপ ডাইভ ভার্সন (কারগিরল যুদ্ধক্ষেত্রের মতো) পার্বত্য এলাকার যুদ্ধের জন্য একটি গেম চেঞ্জার।
ভোর রাতে কামান ধ্বংসকারী ‘নাগ’-এর সফল পরীক্ষা করল ভারত
শীঘ্র
ভারতের হাতে উঠছে কামান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’। গত রবিবার রাজস্থানের
পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে এই ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সফল পরীক্ষা করেছে ডিফেন্স
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। মধ্য রাত থেকে সকাল
পর্যন্ত দফায় দফায় এই তিনটি পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে ডিআরডিও-র তরফে বিবৃতিতে
জানানো হয়েছে।
এ দিন ডিআরডিও-র বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাতের অন্ধকারে এবং দিনের আলোয় এই পরীক্ষা করা হয়েছে রবিবার। তিনটি পরীক্ষাই সফল হয়েছে।’ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাগের অন্তর্ভুক্তি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা যাচাই করে দেখতে সোমবারও একদফা পরীক্ষার কথা ছিল, তবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি ডিআরডিও।
গত বছর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল সেনাবাহিনীতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির(নেমিস)অন্তর্ভুক্তিতে সায় দেয়। ডিআরডিও-ই এই ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা এবং নির্মাণ করে। তাতে লঞ্চপ্যাড থেকে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যান রয়েছে। সেগুলি হাতে পেতে খরচ পড়ছে ৫২৪ কোটি টাকা। দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকারে, লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
১৯৮০ নাগাদ ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, নাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় বাকি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হল অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ এবং ত্রিশূল। যার মধ্যে অগ্নি, পৃথ্বী এবং আকাশ ইতিমধ্যেই সেনার হাতে পৌঁছেছে। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাণ।
এ দিন ডিআরডিও-র বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাতের অন্ধকারে এবং দিনের আলোয় এই পরীক্ষা করা হয়েছে রবিবার। তিনটি পরীক্ষাই সফল হয়েছে।’ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাগের অন্তর্ভুক্তি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা যাচাই করে দেখতে সোমবারও একদফা পরীক্ষার কথা ছিল, তবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি ডিআরডিও।
গত বছর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল সেনাবাহিনীতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির(নেমিস)অন্তর্ভুক্তিতে সায় দেয়। ডিআরডিও-ই এই ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা এবং নির্মাণ করে। তাতে লঞ্চপ্যাড থেকে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যান রয়েছে। সেগুলি হাতে পেতে খরচ পড়ছে ৫২৪ কোটি টাকা। দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকারে, লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
১৯৮০ নাগাদ ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, নাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় বাকি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হল অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ এবং ত্রিশূল। যার মধ্যে অগ্নি, পৃথ্বী এবং আকাশ ইতিমধ্যেই সেনার হাতে পৌঁছেছে। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাণ।
সফল পরীক্ষা নাগের। ছবি: প্রসার ভারতীর টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত। |
No comments