ফেনীর কাজিরবাগে চালু হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক by রফিকুল ইসলাম
ফেনীর ইকোপার্ক |
ফেনীর
কাজিরবাগ এলাকায় জেলার সামাজিক বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হলো
দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক। এতে বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি থাকছে বিভিন্ন বিরল
প্রজাতির উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণীসহ অনেক কিছু। জেলা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার
দূরে নির্মল পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য
খুলে দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এটি।
ইকোপার্কটিকে ঘিরে ফেনীসহ আশেপাশের মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। সপরিবারে পার্কে বেড়াতে উন্মুখ হয়ে আছেন তারা। অনেকে এখন প্রতিদিন বাইরে ভিড় জমান। অনেকেই পার্কের গেটে দাঁড়িয়ে উঁকিঝুকি দিয়ে ভেতরের দৃশ্য দেখেন।
ইকোপার্কের শেষ প্রান্তে পশু-পাখির জন্য চিড়িয়াখানার আদলে আলাদা কর্নার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে ছয়টি বানর লাফাচ্ছে। ছয়টি ভারতীয় ময়ূরের কর্নারের ঠিক পাশে আটটি খরগোশকে ছুটোছুটি করতে দেখা গেলো। একটি বড় খাঁচায় রয়েছে তিতির, টার্কি ও বনমোরগ। একটু দূরে আছে হরিণের একটি বড় বেষ্টনী। সেখানে চারটি হরিণ চোখে পড়বে। পাশেই বিচরণ করছে সাদা রাজহাঁস। টিয়া-ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উড়ে বেড়ায় পার্কজুড়ে।
পার্কে ঢুকলে চোখে পড়ে নানান রকম সুদৃশ্য ফুলের বাগান, হাঁটার জন্য পাকা সড়ক, পথের পাশে ও বাগানের চারপাশে বসে গল্প করার জন্য ২০টি বেঞ্চ, বিভিন্ন পশু-পাখির আদলে ডাস্টবিন। দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চের ওপর ছায়ার জন্য রয়েছে ছাতা।
ছোট্ট সোনামনিদের জন্য শিশু কর্নারে আছে মেরি গো রাউন্ড (ঘূর্ণায়মান), স্লিপার, ঢেঁকি, দোলনা, ব্যাঙের ছাতাসহ আনন্দ উপভোগের সুযোগ। এছাড়া পার্কের ভেতরেই দর্শনার্থীদের খাওয়ার সুবিধার্থে রয়েছে একটি রেস্তোরাঁ।
বিশ্রামাগারের সামনে একটি সুদৃশ্য ফোয়ারা। পাশের পুকুরে চারটি পাকা ঘাট। পুকুরে ভ্রমণপিপাসুদের বেড়ানোর জন্য রয়েছে একটি সুন্দর নৌকা। এতে একসঙ্গে ২০ জন ওঠা যাবে। পার্কে আরও আছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির আদর্শ বাগান, নার্সারি সেন্টার, বিভিন্ন বনজ, ফলদ, ঔষধি, বিরল ও বিলুপ্ত প্রজাতির সমন্বয়ে একটি মিনি বোটানিক্যাল গার্ডেন।
পার্কের মাঝখানে প্রায় ৫০ ফুট উঁচু একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এর ওপর উঠে আশপাশের গ্রামসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। ইকোপার্কটির প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা আর শিশু ও শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টাকা।
ফেনী সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তপন কুমার দেবনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কাজিরবাগ গ্রামে ৪ একর ৭৫ শতক জমির ওপর ইকোপার্কটি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে গত বছরের জুনে কাজটি শেষ হয়। প্রকল্পের বাইরে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ইকোপার্কের অভ্যন্তরে একটি দ্বিতল বিশ্রামাগার (রেস্টহাউস) রাখা হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগ ফেনীর কর্মকর্তা এস এম কায়সার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কাজিরবাগ ইকোপার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য কী কী উন্নয়ন করা যেতে পারে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে।’
নবনির্মিত ইকোপার্ক চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে গতি আসবে বলে মনে করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৯২৮ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট জেলা ফেনী। দেশের অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে অবদান রাখলেও এখানে কোনও বিনোদনকেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। এ নিয়ে অতৃপ্তি ছিল বাসিন্দাদের। সেই আক্ষেপ ঘোচাতে পারে সদর উপজেলার এই ইকোপার্ক।’
ইকোপার্কটিকে ঘিরে ফেনীসহ আশেপাশের মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। সপরিবারে পার্কে বেড়াতে উন্মুখ হয়ে আছেন তারা। অনেকে এখন প্রতিদিন বাইরে ভিড় জমান। অনেকেই পার্কের গেটে দাঁড়িয়ে উঁকিঝুকি দিয়ে ভেতরের দৃশ্য দেখেন।
ইকোপার্কের শেষ প্রান্তে পশু-পাখির জন্য চিড়িয়াখানার আদলে আলাদা কর্নার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে ছয়টি বানর লাফাচ্ছে। ছয়টি ভারতীয় ময়ূরের কর্নারের ঠিক পাশে আটটি খরগোশকে ছুটোছুটি করতে দেখা গেলো। একটি বড় খাঁচায় রয়েছে তিতির, টার্কি ও বনমোরগ। একটু দূরে আছে হরিণের একটি বড় বেষ্টনী। সেখানে চারটি হরিণ চোখে পড়বে। পাশেই বিচরণ করছে সাদা রাজহাঁস। টিয়া-ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উড়ে বেড়ায় পার্কজুড়ে।
পার্কে ঢুকলে চোখে পড়ে নানান রকম সুদৃশ্য ফুলের বাগান, হাঁটার জন্য পাকা সড়ক, পথের পাশে ও বাগানের চারপাশে বসে গল্প করার জন্য ২০টি বেঞ্চ, বিভিন্ন পশু-পাখির আদলে ডাস্টবিন। দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চের ওপর ছায়ার জন্য রয়েছে ছাতা।
ছোট্ট সোনামনিদের জন্য শিশু কর্নারে আছে মেরি গো রাউন্ড (ঘূর্ণায়মান), স্লিপার, ঢেঁকি, দোলনা, ব্যাঙের ছাতাসহ আনন্দ উপভোগের সুযোগ। এছাড়া পার্কের ভেতরেই দর্শনার্থীদের খাওয়ার সুবিধার্থে রয়েছে একটি রেস্তোরাঁ।
বিশ্রামাগারের সামনে একটি সুদৃশ্য ফোয়ারা। পাশের পুকুরে চারটি পাকা ঘাট। পুকুরে ভ্রমণপিপাসুদের বেড়ানোর জন্য রয়েছে একটি সুন্দর নৌকা। এতে একসঙ্গে ২০ জন ওঠা যাবে। পার্কে আরও আছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির আদর্শ বাগান, নার্সারি সেন্টার, বিভিন্ন বনজ, ফলদ, ঔষধি, বিরল ও বিলুপ্ত প্রজাতির সমন্বয়ে একটি মিনি বোটানিক্যাল গার্ডেন।
পার্কের মাঝখানে প্রায় ৫০ ফুট উঁচু একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এর ওপর উঠে আশপাশের গ্রামসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। ইকোপার্কটির প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা আর শিশু ও শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টাকা।
ফেনী সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তপন কুমার দেবনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কাজিরবাগ গ্রামে ৪ একর ৭৫ শতক জমির ওপর ইকোপার্কটি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে গত বছরের জুনে কাজটি শেষ হয়। প্রকল্পের বাইরে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ইকোপার্কের অভ্যন্তরে একটি দ্বিতল বিশ্রামাগার (রেস্টহাউস) রাখা হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগ ফেনীর কর্মকর্তা এস এম কায়সার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কাজিরবাগ ইকোপার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য কী কী উন্নয়ন করা যেতে পারে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে।’
নবনির্মিত ইকোপার্ক চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে গতি আসবে বলে মনে করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৯২৮ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট জেলা ফেনী। দেশের অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে অবদান রাখলেও এখানে কোনও বিনোদনকেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। এ নিয়ে অতৃপ্তি ছিল বাসিন্দাদের। সেই আক্ষেপ ঘোচাতে পারে সদর উপজেলার এই ইকোপার্ক।’
No comments