শ্রীলংকার আইজিপি ও প্রতিরক্ষাসচিবকে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে
যদি
বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় শ্রীলঙ্কানরা রহস্যময় সময় অতিক্রম করছে, তবে কমই বলা
হবে। দ্বীপ দেশটিতে রাজনৈতিক চক্রান্ত নিয়মেই পরিণত হয়ে গেছে। তবে ইস্টার
সানডের বোমা হামলার পর থেকে বিভ্রান্তির চাদর পুরো দেশকে ছেয়ে ফেলেছে,
গতকাল যারা ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা আর প্রতিরক্ষা বাহিনী পরিচালনার শীর্ষ
ব্যক্তিত্ব, আজ তারা নিজেরাই কারাবন্দী।
গত সপ্তাহে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পুজিথা জয়াসুন্দরাকে গ্রেফতার করা হয়। তার সাথে প্রতিরক্ষাসচিব হেমাসিরি ফারনান্ডোকেও আটক করা হয়। ইস্টার সানডে হামলার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ওই হামলায় ২৫০ জন নিহত ও ৫ শতাধিক লোক আহত হয়। আইএসআইএয়ের ওই হামলা সম্পর্কে আগাম তথ্য পাওয়ার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে খুনে জড়িত থাকা এবং তাদের অবহেলার কারণেই এত মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে আইজিপি ও প্রতিরক্ষাসচিবকে গ্রেফতার করা আসলে শ্রীলঙ্কার তালগোল পাকানোর রাজনৈতিক সঙ্কটের একটি সামান্য অংশমাত্র।
দেশটির প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। হামলা তদন্তে পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট।
মজার ব্যাপার হলো, দেশটির ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট এখন ২০১৭ সালের একটি ঘটনা তদন্তে নেমেছে। ওই ঘটনায় আইজিপির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে পুলিশ সদরদফতরে লিফট অপারেটর হিসেবে দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে আক্রমণ করেছিলেন এই আইজিপি। ঘটনাটি ঘটার অল্প সময়ের মধ্যেই তা চাপা পড়ে গিয়েছিল। এখন আবার তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত হচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকেরা অবশ্য অস্বীকার করছেন না যে ইস্টার সানডে হামলার আগে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে অবহেলার কারণে আইজিপি ও প্রতিরক্ষাসচিবকে আইনের আওতায় আনা উচিত, কিন্তু যে অন্তঃদ্বন্দ্ব, ইগো, দুর্নীতির কারণে ইস্টার হামলার প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছিল, তাতে করে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ বেশিই হয়ে যায়।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছেন, তিনি পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি (পিএসসি)’র সামনে হাজির হবেন না। তিনি বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড বিধান প্রবর্তনের চেষ্টা করছেন। তিনি নিজেদের দেশের ত্রাণকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করছেন। তিনি দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মাদক সমস্যাকে বিবেচনা করছেন।
ইস্টার সন্ত্রাসের মূল হোতা জারান হাশিমের সঙ্গে কথিত সংযোগের অভিযোগে কয়েকজন শীর্ষ মুসলিম রাজনীতিকের বিরুদ্ধে তদন্তে নিয়োজিত পিএসসি উল্লেখ করে যে হাসিশের হুমকির মুখে ছিলেন মুসলিম রাজনীতিকরা।
গত সপ্তাহে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পুজিথা জয়াসুন্দরাকে গ্রেফতার করা হয়। তার সাথে প্রতিরক্ষাসচিব হেমাসিরি ফারনান্ডোকেও আটক করা হয়। ইস্টার সানডে হামলার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ওই হামলায় ২৫০ জন নিহত ও ৫ শতাধিক লোক আহত হয়। আইএসআইএয়ের ওই হামলা সম্পর্কে আগাম তথ্য পাওয়ার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে খুনে জড়িত থাকা এবং তাদের অবহেলার কারণেই এত মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে আইজিপি ও প্রতিরক্ষাসচিবকে গ্রেফতার করা আসলে শ্রীলঙ্কার তালগোল পাকানোর রাজনৈতিক সঙ্কটের একটি সামান্য অংশমাত্র।
দেশটির প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। হামলা তদন্তে পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট।
মজার ব্যাপার হলো, দেশটির ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট এখন ২০১৭ সালের একটি ঘটনা তদন্তে নেমেছে। ওই ঘটনায় আইজিপির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে পুলিশ সদরদফতরে লিফট অপারেটর হিসেবে দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে আক্রমণ করেছিলেন এই আইজিপি। ঘটনাটি ঘটার অল্প সময়ের মধ্যেই তা চাপা পড়ে গিয়েছিল। এখন আবার তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত হচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকেরা অবশ্য অস্বীকার করছেন না যে ইস্টার সানডে হামলার আগে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে অবহেলার কারণে আইজিপি ও প্রতিরক্ষাসচিবকে আইনের আওতায় আনা উচিত, কিন্তু যে অন্তঃদ্বন্দ্ব, ইগো, দুর্নীতির কারণে ইস্টার হামলার প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছিল, তাতে করে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ বেশিই হয়ে যায়।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছেন, তিনি পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি (পিএসসি)’র সামনে হাজির হবেন না। তিনি বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড বিধান প্রবর্তনের চেষ্টা করছেন। তিনি নিজেদের দেশের ত্রাণকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করছেন। তিনি দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মাদক সমস্যাকে বিবেচনা করছেন।
ইস্টার সন্ত্রাসের মূল হোতা জারান হাশিমের সঙ্গে কথিত সংযোগের অভিযোগে কয়েকজন শীর্ষ মুসলিম রাজনীতিকের বিরুদ্ধে তদন্তে নিয়োজিত পিএসসি উল্লেখ করে যে হাসিশের হুমকির মুখে ছিলেন মুসলিম রাজনীতিকরা।
আইজিপি পুজিথা জয়াসুন্দরাকে ও সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব হেমাসিরি ফারনান্ডো |
No comments