কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন: আবারও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ভারত
কাশ্মির
ইস্যুতে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
তুলেছে জাতিসংঘ। আহ্বান জানানো হয়েছে এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি
অভ্যন্তরীণ কমিশন গঠনের। গত ৮ জুলাই সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মিরের এই পরিস্থিতির জন্য ভারত-পাকিস্তান দুই
পক্ষই দায়ী।
গত ৮ জুলাই সোমবার জাতিসংঘ হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউএনএইচসিআর) কাশ্মিরের মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৪৩ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান হাইকমিশনার। গত বছরও ৪৯ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলো জাতিসংঘ কমিশন।
মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরকে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। সেখানে কর্তৃত্ব জাহিরে এখন পর্যন্ত দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে দেশটি দুটি। চলতি বছরের শুরুর দিকে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধ শুরুই হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, ২০১৬ সালে কমান্ডার বুরহান ওয়ানির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বেসামরিক হত্যার বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। সেসময় পাঁচ মাস ধরে চলা ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভে শতাধিক আন্দোলকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। বিরোধপূর্ণ ওই অঞ্চলে নিরাপত্তাও জোরদার করেছিলো ভারত।
জম্মু ও কাশ্মির কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর কাশ্মিরে ১৬০ জন বেসামরিক, ২৬৭ জন বিদ্রোহী ও ১৫৯ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৫৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২০০৮ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মিরের পুলাওয়ামাতে ফেব্রুয়ারিতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বলা হয়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক ভিন্ন মতালম্বী এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে বিনা বিচারে আটকের বিভিন্ন ধরন ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ আইন ব্যবহারের সমালোচনা করা হয়। বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (এএফএসপিএ) নামের বিশেষ ওই আইন বাতিলের আহ্বান জানানো হয় প্রতিবেদনে। বলা হয়, এই আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করাকে ‘কার্যত অস্তিত্বহীন’ করে ফেলেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর কোনও এক সদস্যকেও বেসামরিক আদালতে বিচারের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থলের কাছে বহু সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হত্যার শিকার হলেও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের কারণে এসব হতাহতের ঘটনায় নতুন কোনও তদন্তের তথ্য নেই। রিপোর্টে বলা হয়, কোনও বিচারের খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের ভীড় নিয়ন্ত্রণের কৌশল পুর্নমূল্যায়ন বা পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে তাও দেখা যায়নি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, এই কমিশন কাশ্মিরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিস্তৃত, স্বাধীন এবং অভ্যন্তরীণ তদন্ত পরিচালনা করবে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুপারিশ হলো তদন্ত কমিশন। সাধারণত বড় ধরনের বৈশ্বিক সংকটের ক্ষেত্রে এই সুপারিশ করা হয়।
২০১৮ সালের জুনে প্রথমবারের মতো কাশ্মির ইস্যুতে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। এবছরের প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, গত বছরের জুনের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি উদ্বেগ তুলে ধরা হলেও তা নিরসনে ভারত বা পাকিস্তান কেউই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে মূলত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। তারপরেও ইসলামাবাদ নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বিদ্রোহীদের আটক নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গুম করে ফেলার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে জাতিসংঘ।
গত ৮ জুলাই সোমবার জাতিসংঘ হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউএনএইচসিআর) কাশ্মিরের মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৪৩ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান হাইকমিশনার। গত বছরও ৪৯ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলো জাতিসংঘ কমিশন।
মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরকে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। সেখানে কর্তৃত্ব জাহিরে এখন পর্যন্ত দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে দেশটি দুটি। চলতি বছরের শুরুর দিকে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধ শুরুই হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, ২০১৬ সালে কমান্ডার বুরহান ওয়ানির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বেসামরিক হত্যার বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। সেসময় পাঁচ মাস ধরে চলা ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভে শতাধিক আন্দোলকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। বিরোধপূর্ণ ওই অঞ্চলে নিরাপত্তাও জোরদার করেছিলো ভারত।
জম্মু ও কাশ্মির কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর কাশ্মিরে ১৬০ জন বেসামরিক, ২৬৭ জন বিদ্রোহী ও ১৫৯ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৫৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২০০৮ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মিরের পুলাওয়ামাতে ফেব্রুয়ারিতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বলা হয়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক ভিন্ন মতালম্বী এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে বিনা বিচারে আটকের বিভিন্ন ধরন ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ আইন ব্যবহারের সমালোচনা করা হয়। বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (এএফএসপিএ) নামের বিশেষ ওই আইন বাতিলের আহ্বান জানানো হয় প্রতিবেদনে। বলা হয়, এই আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করাকে ‘কার্যত অস্তিত্বহীন’ করে ফেলেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর কোনও এক সদস্যকেও বেসামরিক আদালতে বিচারের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থলের কাছে বহু সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হত্যার শিকার হলেও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের কারণে এসব হতাহতের ঘটনায় নতুন কোনও তদন্তের তথ্য নেই। রিপোর্টে বলা হয়, কোনও বিচারের খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের ভীড় নিয়ন্ত্রণের কৌশল পুর্নমূল্যায়ন বা পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে তাও দেখা যায়নি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, এই কমিশন কাশ্মিরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিস্তৃত, স্বাধীন এবং অভ্যন্তরীণ তদন্ত পরিচালনা করবে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুপারিশ হলো তদন্ত কমিশন। সাধারণত বড় ধরনের বৈশ্বিক সংকটের ক্ষেত্রে এই সুপারিশ করা হয়।
২০১৮ সালের জুনে প্রথমবারের মতো কাশ্মির ইস্যুতে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। এবছরের প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, গত বছরের জুনের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি উদ্বেগ তুলে ধরা হলেও তা নিরসনে ভারত বা পাকিস্তান কেউই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে মূলত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। তারপরেও ইসলামাবাদ নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বিদ্রোহীদের আটক নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গুম করে ফেলার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে জাতিসংঘ।
গত বছর এক বিক্ষোভে কাশ্মিরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছে পুলিশ |
No comments