বাংলাদেশি পর্যটনের পুনর্জাগরন দেখছে দ্য ইকোনমিস্ট
তানভির
আরেফিন লিঙ্কন যখন পাহাড়ঘেঁষা চা-রাজ্য শ্রীমঙ্গলের বনে শান্তি বাড়ি
ইকোরিসোর্ট গড়ে তোলেন, তখন সেখানে আসা অতিথিদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশী।
আধুনিক সুযোগ সুবিধা সেখানে ছিল অপ্রতুল। ফলে স্থানীয়রা এতে আগ্রহী ছিলেন
না। তারা বলতেন, ‘টিভি কোথায়? এসি কোথায়? কেন আমরা শুধু শুধু টাকা ঢালবো?’
লিঙ্কন জবাবে বলতেন, ’ঝোঁনাকি পোকা, খোলা আকাশের নিচে বসে চাঁদ-তারা দেখার
জন্য টাকা খরচ করবেন। বিলাসী পরিবেশের জন্য খরচ করবেন। বিলাসবহুল রুমের
জন্য নয়।’ এটা ছিল ৫ বছর আগের ঘটনা। আর এখন শান্তি বাড়ির বেশিরভাগ পর্যটকই
বাংলাদেশি। ‘ডোমেস্টিক ট্রাভেলার্স হ্যাভ রিভাইভড বাংলাদেশি ট্যুরিজম
ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের ভূমিকায় এমনটা লিখেছে প্রভাবশালী বৃটিশ
ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট।
এতে বলা হয়, ২০০০ সালে মাত্র ৩ লাখ বাংলাদেশি নিজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বেরিয়েছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা ৭০ লাখে পৌঁছে গেছে। গত বছর ও এই বছর এই সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরযটন বোর্ডের প্রধান ভূবন বিশ্বাস। তার ভাষায়, ‘ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। এজন্য দায়ী রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ, বিশেষ করে ২০১৬ সালে রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত সেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তো আছেই। কিন্তু বিদেশীরা ভয়ে না আসলেও, তাদের জায়গা নিয়েছেন স্থানীয় ভ্রমণপিয়াসুরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ রাশিদুল হাসান বলেন, গত ১০ বছর আয় বেড়েছে ৩-৪ গুণ। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আগে পরিবারগুলো কিছু টাকা জমাতে পারলে ঘরের আসবাবপত্রের পেছনে ব্যয় করতো। কিন্তু আয় যেহেতু বেড়েই চলেছে, তারা এখন ছুটিতে বের হচ্ছে, বিভিন্ন সেবাখাতে অর্থ ব্যয় করছে।
শান্তি বাড়ি যাওয়ার পথেই আছে গ্রান্ড সুলতান ও প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট। মার্বেল মোড়ানো ভবন এসব রিসোর্টে। আছে সুইমিং পুল, প্লেস্টেশন সহ গেম রুম।
এমন ব্যায়বহুল হোটেল অন্যত্রও গড়ে উঠছে। বিশেষ করে ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে শান্তি বাড়ির সাফল্য দেখে বোঝা যায়, পরিবেশবান্ধব ও অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন নিয়েও আগ্রহ বাড়ছে। ঢাকার বাইরেও ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে খেলাধুলার সুযোগসুবিধা সমেত নানা রিসোর্ট।
প্রথমে স্থানীয়রা আসে, এরপর বিদেশীরাও আসবে। এভাবেই চিন্তা করছে সরকার। কক্সবাজারে বিদেশী পর্যটকদের জন্য বিশেষ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ভূবন বিশ্বাস বলেন, এর উদ্দেশ্য হলো বিদেশীরা যাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তা নিশ্চিত করা। এসব জায়গায় তারা নিজেদের ইচ্ছামতো আচরণ করতে পারবেন, যেটা হয়তো অন্যত্র করলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিদেশী পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশের দেওয়ার আছে অনেককিছু। তবে বাংলাদেশিরা সম্ভবত এখনও বিকিনি দেখার জন্য প্রস্তুত নয়।’
এতে বলা হয়, ২০০০ সালে মাত্র ৩ লাখ বাংলাদেশি নিজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বেরিয়েছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা ৭০ লাখে পৌঁছে গেছে। গত বছর ও এই বছর এই সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরযটন বোর্ডের প্রধান ভূবন বিশ্বাস। তার ভাষায়, ‘ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। এজন্য দায়ী রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ, বিশেষ করে ২০১৬ সালে রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত সেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তো আছেই। কিন্তু বিদেশীরা ভয়ে না আসলেও, তাদের জায়গা নিয়েছেন স্থানীয় ভ্রমণপিয়াসুরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ রাশিদুল হাসান বলেন, গত ১০ বছর আয় বেড়েছে ৩-৪ গুণ। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আগে পরিবারগুলো কিছু টাকা জমাতে পারলে ঘরের আসবাবপত্রের পেছনে ব্যয় করতো। কিন্তু আয় যেহেতু বেড়েই চলেছে, তারা এখন ছুটিতে বের হচ্ছে, বিভিন্ন সেবাখাতে অর্থ ব্যয় করছে।
শান্তি বাড়ি যাওয়ার পথেই আছে গ্রান্ড সুলতান ও প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট। মার্বেল মোড়ানো ভবন এসব রিসোর্টে। আছে সুইমিং পুল, প্লেস্টেশন সহ গেম রুম।
এমন ব্যায়বহুল হোটেল অন্যত্রও গড়ে উঠছে। বিশেষ করে ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে শান্তি বাড়ির সাফল্য দেখে বোঝা যায়, পরিবেশবান্ধব ও অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন নিয়েও আগ্রহ বাড়ছে। ঢাকার বাইরেও ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে খেলাধুলার সুযোগসুবিধা সমেত নানা রিসোর্ট।
প্রথমে স্থানীয়রা আসে, এরপর বিদেশীরাও আসবে। এভাবেই চিন্তা করছে সরকার। কক্সবাজারে বিদেশী পর্যটকদের জন্য বিশেষ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ভূবন বিশ্বাস বলেন, এর উদ্দেশ্য হলো বিদেশীরা যাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তা নিশ্চিত করা। এসব জায়গায় তারা নিজেদের ইচ্ছামতো আচরণ করতে পারবেন, যেটা হয়তো অন্যত্র করলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিদেশী পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশের দেওয়ার আছে অনেককিছু। তবে বাংলাদেশিরা সম্ভবত এখনও বিকিনি দেখার জন্য প্রস্তুত নয়।’
No comments