বিএলএকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী ঘোষণা: স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান, চীন
মার্কিন
পররাষ্ট্র দফতর গত সপ্তাহে বালুচিস্তান লিবারেশান আর্মিকে (বিএলএ)
স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানে সাধারণ
নাগরিক ও নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার চালানোর
প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার ২০০৬ সালে এই গ্রুপটিকে নিষিদ্ধ করে।
ওয়াশিংটন কর্তৃক এবং বিএলএ-কে সন্ত্রাসী ঘোষণা দেয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। যে সময়ে এই ঘোষণা আসলো, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফলে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সফরকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে একই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
বিএলএ গঠিত হয় ২০০০ সালে। বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি। পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ বা প্রদেশের ভেতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তাদের তৎপরতা সীমাবদ্ধ ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কতগুলো সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বিএলএ। এর মধ্যে ২০১৮ সালের আগস্টে বালুচিস্তানে আত্মঘাতী হামলা চালায় গ্রুপটি। হামলায় তিন চীনা প্রকৌশলী আহত হয়। গত বছরের নভেম্বরে তারা করাচির চীনা কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দুজন পুলিশ সদস্য ও দুজন পাকিস্তানী নাগরিককে হত্যা করে।
বালুচিস্তানের বাইরে এটাই ছিল বিএলএ’র প্রথম হামলা। দুই মাস আগে, গোয়াদর বন্দর এলাকার একমাত্র পাঁচতারা হোটেলটিতে হামলা করে। হামলায় পাঁচজন নিহত হয়। চীনা নাগরিকদের টার্গেট করে হামলার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ২০০৪ সালে প্রথম চীনা কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। গোয়াদরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে সে বার তিনজন চীনা প্রকৌশলী নিহত হয়েছিল।
২০১৫ সালে সিপিইসির যাত্রা শুরুর পর থেকে পাকিস্তান সরকার এতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, ইসলামাবাদ সেটাকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দিতে পারে না। এ কারণেই ওয়াশিংটন বিএলএকে সন্ত্রাসী ঘোষণা দেয়ায় বেইজিং ও ইসলামাবাদ একে এতটা স্বাগত জানিয়েছে। এই ঘোষণার কারণে পাকিস্তান সরকার এখন বিএলএ’র বিরুদ্ধে আরও জোরেসোরে ষাঁড়াশি অভিযান চালাতে পারবে।
গুরুত্বপূর্ণ হলো, পাকিস্তানকে অবশ্যই অক্টোবরের মধ্যেই এটা দেখাতে হবে যে, তারা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্যারিস ভিত্তিক ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সের কালো তালিকাভুক্তি থেকে বাঁচতে হলে তাদেরকে এই পদক্ষেপ নিতে হবে। কালো তালিকাভুক্ত হলে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের মতো সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নেয়াটা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বেড়ে গেছে যখন চীন শেষ পর্যন্ত জয়শ-ই-মোহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সম্মতি দেয়। ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছিল এই গ্রুপটি।
ওয়াশিংটন যদিও বেইজিংয়ের সাথে পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে মোটেই খুশি নয়, কিন্তু খানের ওয়াশিংটন সফরে তার প্রভাব তেমন পড়বে না। পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী জানেন, তার হাতে বেশ কিছু ট্রাম্প কার্ড রয়েছে। প্রথমত, ওয়াশিংটন ভালোভাবেই জানে যে, তালেবানদের আলোচনার টেবিলে বসাতে পাকিস্তান কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া আফগান শান্তি আলোচনার জন্যও পাকিস্তানের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তানে অবস্থানরত পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর কাছে রসদ পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে শর্টকাট রাস্তাটি পাকিস্তানের উপর দিয়েই গেছে। এর বিকল্প হলো উত্তরে রাশিয়া ও মধ্য এশিয়া দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা। কিন্তু সেই পথ দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল। ওয়াশিংটন জানে যে, দরকার হলে ইসলামাবাদ এই সড়ক বন্ধ করে দিতে পারে, যেটা অতীতে তারা করেছে।
ওয়াশিংটন কর্তৃক এবং বিএলএ-কে সন্ত্রাসী ঘোষণা দেয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। যে সময়ে এই ঘোষণা আসলো, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফলে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সফরকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে একই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
বিএলএ গঠিত হয় ২০০০ সালে। বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি। পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ বা প্রদেশের ভেতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তাদের তৎপরতা সীমাবদ্ধ ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কতগুলো সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বিএলএ। এর মধ্যে ২০১৮ সালের আগস্টে বালুচিস্তানে আত্মঘাতী হামলা চালায় গ্রুপটি। হামলায় তিন চীনা প্রকৌশলী আহত হয়। গত বছরের নভেম্বরে তারা করাচির চীনা কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দুজন পুলিশ সদস্য ও দুজন পাকিস্তানী নাগরিককে হত্যা করে।
বালুচিস্তানের বাইরে এটাই ছিল বিএলএ’র প্রথম হামলা। দুই মাস আগে, গোয়াদর বন্দর এলাকার একমাত্র পাঁচতারা হোটেলটিতে হামলা করে। হামলায় পাঁচজন নিহত হয়। চীনা নাগরিকদের টার্গেট করে হামলার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ২০০৪ সালে প্রথম চীনা কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। গোয়াদরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে সে বার তিনজন চীনা প্রকৌশলী নিহত হয়েছিল।
২০১৫ সালে সিপিইসির যাত্রা শুরুর পর থেকে পাকিস্তান সরকার এতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, ইসলামাবাদ সেটাকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দিতে পারে না। এ কারণেই ওয়াশিংটন বিএলএকে সন্ত্রাসী ঘোষণা দেয়ায় বেইজিং ও ইসলামাবাদ একে এতটা স্বাগত জানিয়েছে। এই ঘোষণার কারণে পাকিস্তান সরকার এখন বিএলএ’র বিরুদ্ধে আরও জোরেসোরে ষাঁড়াশি অভিযান চালাতে পারবে।
গুরুত্বপূর্ণ হলো, পাকিস্তানকে অবশ্যই অক্টোবরের মধ্যেই এটা দেখাতে হবে যে, তারা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্যারিস ভিত্তিক ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সের কালো তালিকাভুক্তি থেকে বাঁচতে হলে তাদেরকে এই পদক্ষেপ নিতে হবে। কালো তালিকাভুক্ত হলে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের মতো সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নেয়াটা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বেড়ে গেছে যখন চীন শেষ পর্যন্ত জয়শ-ই-মোহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সম্মতি দেয়। ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছিল এই গ্রুপটি।
ওয়াশিংটন যদিও বেইজিংয়ের সাথে পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে মোটেই খুশি নয়, কিন্তু খানের ওয়াশিংটন সফরে তার প্রভাব তেমন পড়বে না। পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী জানেন, তার হাতে বেশ কিছু ট্রাম্প কার্ড রয়েছে। প্রথমত, ওয়াশিংটন ভালোভাবেই জানে যে, তালেবানদের আলোচনার টেবিলে বসাতে পাকিস্তান কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া আফগান শান্তি আলোচনার জন্যও পাকিস্তানের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তানে অবস্থানরত পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর কাছে রসদ পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে শর্টকাট রাস্তাটি পাকিস্তানের উপর দিয়েই গেছে। এর বিকল্প হলো উত্তরে রাশিয়া ও মধ্য এশিয়া দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা। কিন্তু সেই পথ দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল। ওয়াশিংটন জানে যে, দরকার হলে ইসলামাবাদ এই সড়ক বন্ধ করে দিতে পারে, যেটা অতীতে তারা করেছে।
No comments