রাষ্ট্র মেরামতে সুজনের ১৮ প্রস্তাব
জনকল্যাণমুখী
রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন বলে
মন্তব্য করেছেন সুজন-এর নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের পক্ষ
থেকে ১৮টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক
অনুষ্ঠানে তারা প্রস্তাব তুলে ধরেন। ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও নাগরিক
ভাবনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন-এর
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, অসামপ্রদায়িক ও সামাজিক ন্যায়
বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সৃষ্টি, যার স্বীকৃতি
আমাদের সংবিধানে রয়েছে। এছাড়াও আমাদের মূল সংবিধানে রাজনীতিতে ধর্মের
ব্যবহার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল।
কিন্তু সংবিধানের সেই অসামপ্রদায়িক চরিত্র আমরা ধরে রাখতে পারিনি। প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ। তাই আমাদের রাজনীতিতে আজ জরুরি ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সুস্থ ধারার শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার রাজনীতি ফিরিয়ে আনা দরকার, ‘যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে’ (বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা)। প্রতিষ্ঠা করা দরকার প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার পরিবর্তে অর্ন্তভুক্তিমূলক ও সহিষ্ণুতা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি; দ্বিতীয়-নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সম্মতির শাসন তথা গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনা হয়।
তাই এ নির্বাচন হওয়া দরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনটি ছিলো একতরফা ও বিতর্কিত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েকটি স্থানীয় সরকার ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ব্যাপক কারচুপি ও মানুষের ভোটাধিকার অধিকার হরণের। তাই গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের লক্ষ্যে আমাদের নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ হওয়া জরুরি। আর নির্বাচন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত ও পরিশুদ্ধ করতে এবং নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন এর কতগুলো সংস্কার, যার জন্য আবশ্যক হবে আইন সংশোধন ও নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন; তৃতীয়-কার্যকর জাতীয় সংসদ প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় সংসদকে একটি স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা দরকার, যাতে এটি রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণসহ নির্বাহী বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। সংসদকে কার্যকর করার জন্য অনেকগুলো বিষয় সমপর্কে ভাবা দরকার। দরকার সংসদীয় কমিটিগুলো সংসদের প্রাণকেন্দ্র, তাই এগুলোকে সক্রিয় ও কার্যকর করা। কমিটির সদস্যদের যেন কোনোরূপ স্বার্থের দ্বন্দ্ব না থাকে তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। সংখ্যাগত দিক থেকে বিরোধীদের শক্তি যত সীমিতই হোক, তাদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া আবশ্যক।
সংসদ সদস্যদের জন্য অনতিবিলম্বে ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন’ ও ‘সংসদ সদস্যদের অধিকার ও দায়মুক্তি আইন’ প্রণয়ন করা দরকার; চতুর্থ-স্বাধীন বিচার বিভাগ বিষয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন বিচার বিভাগের সত্যিকারের পৃথকীকরণ এবং আইনের শাসন কায়েম করা। এর জন্য প্রযোজন হবে ধ্বংস প্রায় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে কার্যকর করা। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ ও অপসারণের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা। আদালতকে, বিশেষত নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করার, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা রুজুর ও রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহারের সংস্কৃতির অবসান করা; নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন বিষয়ে সুজনের প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার জন্য প্রয়োজন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে সঠিক ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রদান। সকল নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনকে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা প্রদান ও আইনি কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা। জনপ্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের পরিবর্তে পৃথক ক্যাডার সৃষ্টি করা।
এছাড়া সাংবিধানিক সংস্কার,গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল, স্বাধীন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতি বিরোধী সর্বাত্মক অভিযান, যথাযথ প্রশাসনিক সংস্কার, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার,গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শক্তিশালী নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংরক্ষণ, একটি নতুন সামাজিক চুক্তি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং তরুণদের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। মূল প্রবন্ধে দিলীপ কুমার সরকার আরো বলেন, গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ে আমাদের তরুণরা ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ দাবি তুলেছিল। সামপ্রতিক নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে এটি সুসপষ্ট যে, রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগের রাতে কেউ যাতে ভোট না দিতে পারে সেজন্য ভোট সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হওয়া দরকার এবং ভোটের দিন সকালেই ব্যালট বক্স কেন্দ্রে পাঠানো দরকার। তিনি বলেন, উদার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা ক্রমেই সঙ্কুচিত করে ফেলছি। এর ফলে সংক্রামকের মতো উগ্রবাদের উত্থান ঘটতে পারে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ব করে ফেলা হচ্ছে।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা মনে করি, আইন-কানুন সঠিকভাবে কাজ করলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের পর্যালোচনা করে দেখা দরকার, আইন-কানুন সঠিকভাবে প্রণয়ন হচ্ছে কি-না, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর কি-না এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে কিনা। তিনি বলেন, আমাদের শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাই শাসনব্যবস্থা ঠিক করা তথা রাষ্ট্রকে মেরামতের জন্য আমাদের সম্মানিত রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সদিচ্ছা প্রদর্শন করবেন, যাতে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো যায়। সুজন সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম, সুজন-এর জাতীয় কমিটির সদস্য ড. সিআর আবরার প্রমুখ।
কিন্তু সংবিধানের সেই অসামপ্রদায়িক চরিত্র আমরা ধরে রাখতে পারিনি। প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ। তাই আমাদের রাজনীতিতে আজ জরুরি ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সুস্থ ধারার শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার রাজনীতি ফিরিয়ে আনা দরকার, ‘যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে’ (বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা)। প্রতিষ্ঠা করা দরকার প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার পরিবর্তে অর্ন্তভুক্তিমূলক ও সহিষ্ণুতা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি; দ্বিতীয়-নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সম্মতির শাসন তথা গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনা হয়।
তাই এ নির্বাচন হওয়া দরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনটি ছিলো একতরফা ও বিতর্কিত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েকটি স্থানীয় সরকার ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ব্যাপক কারচুপি ও মানুষের ভোটাধিকার অধিকার হরণের। তাই গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের লক্ষ্যে আমাদের নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ হওয়া জরুরি। আর নির্বাচন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত ও পরিশুদ্ধ করতে এবং নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন এর কতগুলো সংস্কার, যার জন্য আবশ্যক হবে আইন সংশোধন ও নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন; তৃতীয়-কার্যকর জাতীয় সংসদ প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় সংসদকে একটি স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা দরকার, যাতে এটি রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণসহ নির্বাহী বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। সংসদকে কার্যকর করার জন্য অনেকগুলো বিষয় সমপর্কে ভাবা দরকার। দরকার সংসদীয় কমিটিগুলো সংসদের প্রাণকেন্দ্র, তাই এগুলোকে সক্রিয় ও কার্যকর করা। কমিটির সদস্যদের যেন কোনোরূপ স্বার্থের দ্বন্দ্ব না থাকে তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। সংখ্যাগত দিক থেকে বিরোধীদের শক্তি যত সীমিতই হোক, তাদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া আবশ্যক।
সংসদ সদস্যদের জন্য অনতিবিলম্বে ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন’ ও ‘সংসদ সদস্যদের অধিকার ও দায়মুক্তি আইন’ প্রণয়ন করা দরকার; চতুর্থ-স্বাধীন বিচার বিভাগ বিষয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন বিচার বিভাগের সত্যিকারের পৃথকীকরণ এবং আইনের শাসন কায়েম করা। এর জন্য প্রযোজন হবে ধ্বংস প্রায় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে কার্যকর করা। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ ও অপসারণের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা। আদালতকে, বিশেষত নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করার, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা রুজুর ও রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহারের সংস্কৃতির অবসান করা; নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন বিষয়ে সুজনের প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার জন্য প্রয়োজন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে সঠিক ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রদান। সকল নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনকে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা প্রদান ও আইনি কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা। জনপ্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের পরিবর্তে পৃথক ক্যাডার সৃষ্টি করা।
এছাড়া সাংবিধানিক সংস্কার,গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল, স্বাধীন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতি বিরোধী সর্বাত্মক অভিযান, যথাযথ প্রশাসনিক সংস্কার, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার,গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শক্তিশালী নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংরক্ষণ, একটি নতুন সামাজিক চুক্তি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং তরুণদের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। মূল প্রবন্ধে দিলীপ কুমার সরকার আরো বলেন, গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ে আমাদের তরুণরা ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ দাবি তুলেছিল। সামপ্রতিক নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে এটি সুসপষ্ট যে, রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগের রাতে কেউ যাতে ভোট না দিতে পারে সেজন্য ভোট সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হওয়া দরকার এবং ভোটের দিন সকালেই ব্যালট বক্স কেন্দ্রে পাঠানো দরকার। তিনি বলেন, উদার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা ক্রমেই সঙ্কুচিত করে ফেলছি। এর ফলে সংক্রামকের মতো উগ্রবাদের উত্থান ঘটতে পারে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ব করে ফেলা হচ্ছে।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা মনে করি, আইন-কানুন সঠিকভাবে কাজ করলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের পর্যালোচনা করে দেখা দরকার, আইন-কানুন সঠিকভাবে প্রণয়ন হচ্ছে কি-না, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর কি-না এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে কিনা। তিনি বলেন, আমাদের শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাই শাসনব্যবস্থা ঠিক করা তথা রাষ্ট্রকে মেরামতের জন্য আমাদের সম্মানিত রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সদিচ্ছা প্রদর্শন করবেন, যাতে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো যায়। সুজন সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম, সুজন-এর জাতীয় কমিটির সদস্য ড. সিআর আবরার প্রমুখ।
No comments