এই কিশোরীর পরিণতি কী?
দুই
কিশোরের ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক কিশোরী (১৩)। কিন্তু
ওই দুই কিশোর তাকে ছুরি নিয়ে ভয় দেখানোয় এ ঘটনা শুরুতে কাউকে জানায়নি সে।
এখন জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামের মাতবরদের পেছনে ঘুরে বিচার না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে
বিপাকে পড়েছেন ওই কিশোরীর মা-বাবা। গ্রামের কেউ মেয়েটির সহায়তায় এগিয়ে আসছে
না। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই ঘটনাটি
ঘটে।
মেয়েটির পরিবার দরিদ্র। তার বাবা দিনমজুর। মা নরসিংদীতে নানা ছুটা কাজ করেন। ১৭ এপ্রিল করা একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কিশোরী এখন প্রায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটি নিজেকে ঘরের ভেতর লুকিয়ে রেখেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামে গেলে মেয়েটি জানায়, কয়েক মাস আগে নিজ বসতঘর থেকে বের হয়ে সামনের বাড়িতে টেলিভিশন দেখার জন্য যাচ্ছিল। এ সময় অন্ধকারে তার গলায় ছুরি ধরে প্রতিবেশী দুই কিশোর। তারা তাকে ঘরের পেছন দিকে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। এ সময় ছুরি দেখিয়ে শাসায় তারা। ঘটনা জানাজানি হলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মেয়েটি ভয়ে ধর্ষণের ঘটনা কারও কাছে বলেনি। কিন্তু দেহে পরিবর্তন আসতে শুরু করলে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
ওই কিশোরীর বাবার ভাষ্য, মেয়ের অবস্থা তিনি এলাকার ইউপি সদস্য মো. সাইদুর রহমান, সাবেক সদস্য আবুল কালাম ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে জানিয়ে প্রতিকার চান। তাঁদের পরামর্শে মেয়ের আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। প্রতিবেদন দেখার পর জনপ্রতিনিধিরা সাহায্য করতে রাজি হননি। আইনি প্রতিকার নেওয়ার জন্যও তাঁরা কেউ এগিয়ে আসেননি।
ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৪৫), লাল মিয়া (৬৫) ও আজিম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ শুনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক কিশোরকে স্থানীয় মাতবরেরা জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা (জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ) আর এগোননি।’ ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনা মীমাংসা করার মতো নয়। তাই তাঁরা পিছিয়ে গেছেন।
ওই দুই কিশোরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এক কিশোরের মা মোছা. ফরিদা খাতুন (৪০) বলেন, তাঁর ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে সে কোথায় গেছে, তা তিনি বলতে পারবেন না।
আরেক কিশোরের মা মোছা. নাসরিন আক্তার (৪২) দাবি করেন, ‘আমার ছেলে ছোট মানুষ। সে এসব কাজ কিছুতেই করতে পারে না।’
প্রতিবেশীদের ভাষ্য, কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়ার পর দুই কিশোর গা ঢাকা দিয়েছে।
মেয়েটির পরিবার দরিদ্র। তার বাবা দিনমজুর। মা নরসিংদীতে নানা ছুটা কাজ করেন। ১৭ এপ্রিল করা একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কিশোরী এখন প্রায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটি নিজেকে ঘরের ভেতর লুকিয়ে রেখেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামে গেলে মেয়েটি জানায়, কয়েক মাস আগে নিজ বসতঘর থেকে বের হয়ে সামনের বাড়িতে টেলিভিশন দেখার জন্য যাচ্ছিল। এ সময় অন্ধকারে তার গলায় ছুরি ধরে প্রতিবেশী দুই কিশোর। তারা তাকে ঘরের পেছন দিকে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। এ সময় ছুরি দেখিয়ে শাসায় তারা। ঘটনা জানাজানি হলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মেয়েটি ভয়ে ধর্ষণের ঘটনা কারও কাছে বলেনি। কিন্তু দেহে পরিবর্তন আসতে শুরু করলে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
ওই কিশোরীর বাবার ভাষ্য, মেয়ের অবস্থা তিনি এলাকার ইউপি সদস্য মো. সাইদুর রহমান, সাবেক সদস্য আবুল কালাম ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে জানিয়ে প্রতিকার চান। তাঁদের পরামর্শে মেয়ের আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। প্রতিবেদন দেখার পর জনপ্রতিনিধিরা সাহায্য করতে রাজি হননি। আইনি প্রতিকার নেওয়ার জন্যও তাঁরা কেউ এগিয়ে আসেননি।
ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৪৫), লাল মিয়া (৬৫) ও আজিম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ শুনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক কিশোরকে স্থানীয় মাতবরেরা জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা (জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ) আর এগোননি।’ ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনা মীমাংসা করার মতো নয়। তাই তাঁরা পিছিয়ে গেছেন।
ওই দুই কিশোরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এক কিশোরের মা মোছা. ফরিদা খাতুন (৪০) বলেন, তাঁর ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে সে কোথায় গেছে, তা তিনি বলতে পারবেন না।
আরেক কিশোরের মা মোছা. নাসরিন আক্তার (৪২) দাবি করেন, ‘আমার ছেলে ছোট মানুষ। সে এসব কাজ কিছুতেই করতে পারে না।’
প্রতিবেশীদের ভাষ্য, কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়ার পর দুই কিশোর গা ঢাকা দিয়েছে।
No comments